খেলা
লক্ষ্য আন্তর্জাতিক
ছোটবেলা থেকেই দুরন্ত। খেলতে ভালবাসত। ঠাকুমা তাই ব্যাতড় ব্যায়াম সমিতির জিমন্যাস্টিক্স সেন্টারে ভর্তি করে দেন। ঠাকুমাই অনুশীলনে নিয়ে যেতেন। খেলাটা ভাল লেগে যায় দেবারতি দাসের। সাফল্যও আসতে শুরু করে।
বাবা ঠিকা শ্রমিক। যা আয়, তা দিয়ে টেনেটুনে সংসার চলে। জিমন্যাস্টিক্স সেন্টার সরঞ্জাম থেকে শুরু করে সব রকম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। দুই কোচ সঞ্জীব ও সুন্দরী পাত্রীর কাছে বছর দুয়েক অনুশীলনের পরে প্রতিযোগিতায় নামে দেবারতি। প্রথম আন্তঃজেলা মিটেই অনূর্ধ্ব-১০ বিভাগে একটি রুপো ও একটি ব্রোঞ্জ জেতে। সে বছরই রাজ্য চ্যাম্পিয়নশিপে ভল্টিং-এ রুপো জেতে। এর পরে ফিরে তাকাতে হয়নি। ধারাবাহিক ভাবে আন্তঃজেলা এবং রাজ্য প্রতিযোগিতায় সাফল্য আসে।
২০০৯-এ প্রথম জাতীয় প্রতিযোগিতায় নামার যোগ্যতা অর্জন করে। প্রথম বার রুপো জেতে। ২০১২-এর জাতীয় প্রতিযোগিতায় একটি সোনা একটি রুপো পায়। ২০১১-এর জাতীয় প্রতিযোগিতায় একটি সোনা দু’টি রুপো পায়।
কোচ সঞ্জীব পাত্রের কথায়: “ও যে ভাবে এগিয়ে চলেছে, তাতে আমি আশাবাদী।” ঠাকুমা পার্বতী দাস বলেন, “রুটিন মাফিক অনুশীলন করছে। পাশাপাশি পড়াশোনাও মনোযোগ রয়েছে।” মা ভারতী দাসের কথায়: “এই সাফল্যের সিংহভাগ কৃতিত্ব ব্যাতড় ব্যায়াম সমিতিতে ওঁর কোচ আর কর্মকর্তাদের।”
সাঁত্রাগাছি ভানুমতি গালর্স হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দেবারতি দাসের কথায়: “রাজ্য সরকার ৩ হাজার টাকা দিয়েছে। তবে স্টাইপেন্ড পেতে সুবিধা হত। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সফল হওয়ার চেষ্টা করছি।”

— নিজস্ব চিত্র




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.