আগুন লাগল ছাত্রী হস্টেলের রান্না ঘরে। এই পরিস্থিতিতে দমকলের জরুরি পরিষেবা নম্বরে বারবার ফোন করেও সাহায্য পাওয়া গেল না। মঙ্গলবার এই অভিযোগ উঠল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রানি ভবানী ছাত্রী হস্টেলে রান্নার ‘ওভেন’-এর পাইপ ফুটো হয়ে গ্যাস বেরিয়ে আগুন ধরে যায়। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ঘটনার সময় দমকলের জরুরি নম্বর (১০১)-এ বারবার ফোন করা হলে সেটি অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে বলে জানা যায়। এর পর মাটিগাড়া থানার মাধ্যমে দমকলে খবর দেওয়া হয়। দমকলের একটি ইঞ্জিন আসে। ততক্ষণে অবশ্য রান্নাঘরে থাকা অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থার সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরাই। বড় ধরনের ঘটনা না হলেও দমকলের জরুরি পরিষেবা নম্বর বিকল হয়ে পড়ে থাকার অভিযোগ তুলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কর্তৃপক্ষ।
ঘটনার পর হস্টেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিক করার দাবি জানিয়েছে ছাত্র পরিষদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সমীরকুমার দাস বলেন, “নিরাপত্তা বিভাগের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক জানিয়েছেন দমকলের জরুরি পরিষেবা নম্বরটি কাজ করছে না। যে কোনও আগুন লাগার ঘটনাই সময় মতো ব্যবস্থা না নিলে বড় আকার নিতে পারে। সে ক্ষেত্রে দমকলের জরুরি পরিষেবা নম্বরে ফোন করে সাড়া-শব্দ না পাওয়া দুর্ভাগ্যজনক।” বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রানি ভাবানী হস্টেলে ১৪০ জন ছাত্রী রয়েছেন। সে কারণে আগুন লাগায় তাঁরাও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। দমকলের উত্তরবঙ্গের ডেপুটি ডিরেক্টর গৌরপ্রসাদ ঘোষ ওই জরুরি পরিষেবা নম্বরটি মাঝেমধ্যেই অকেজো থাকার বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, “প্রশাসন এবং বিএসএনএল কর্তৃপক্ষ সকলকেই জানানো হয়েছে। দমকলের দফতরে ২৪ ঘণ্টাই আধিকারিকেরা থাকছেন। ফোন এলে তাঁরা যে ধরেন না, তা নয়। জরুরি পরিষেবার ফোন নম্বরটি অকেজো থাকলে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দেখা দরকার।”
বিএসএনএলের শিলিগুড়ির দায়িত্বে থাকা জেনারেল ম্যানেজার অরুময় ডাকুয়া জানান, ১০১ নম্বরটিতে শিলিগুড়ি দমকলের এসএফ রোডের শাখায় যোগযোগ করা যায়। ওই নম্বরটি ঠিক রয়েছে বলেই এ দিন সন্ধ্যায় তিনি জেনেছেন। মাঝেমধ্যে সেটি অকেজো থাকে বলে যে অভিযোগ তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। তাঁর কথায়, “অনেক সময় ফোনে অপর কেউ কথা বললে লাইন পেতে সমস্যা হতে পারে।” বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অলক মজুমদার বলেন, “বার বার দমকলের জরুরি পরিষেবা নম্বরে ফোন করেছি। কোনও সাড়া মেলেনি। বাধ্য হয়ে মাটিগাড়া থানার মাধ্যমে দমকলে খবর দেওয়া হয়েছে।” |