মর্যাদার প্রশ্নে প্রাথমিকে নিয়োগ-মামলা জটিল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দৌড়টা চাকরির। কিন্তু সেই স্বাভাবিক লড়াইয়েও মর্যাদার প্রশ্ন ঘিরে শুরু হয়েছে আইনি টানাপোড়েন। তাই প্রায় ৫০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জটিল হচ্ছে মামলা।
বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে মঙ্গলবার ওই নিয়োগ-মামলার শুনানি চলে। আবেদনকারীদের বক্তব্য, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদের সমমর্যাদায় দেখছে রাজ্য সরকার। অথচ ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ টিচার এডুকেশন (এনসিটিই)-এর আইন অনুযায়ী প্রাথমিক স্কুলে প্রশিক্ষণহীন শিক্ষক নিয়োগ করা যায় না। তা ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সরাসরি নিয়োগ করতে হবে। এ দিন শুনানির শুরুতে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষে আইনজীবী লক্ষ্মী গুপ্ত বলেন, প্রশিক্ষণ নেওয়া প্রার্থীদের কথা পর্ষদ যথেষ্ট মূল্য দিয়ে বিবেচনা করেছে। তাঁরা অতিরিক্ত ২০ নম্বর পাবেন। তার জোরে অন্য প্রার্থীদের থেকে তাঁরা নম্বরে এগিয়ে থাকতে পারবেন।
আবেদনকারীদের আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য সরকার ২০০৯ সালে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছিল, পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষকের বহু পদ শূন্য। কিন্তু ওই সংখ্যায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থী নেই। প্রশিক্ষণহীন প্রার্থী নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হোক। এনসিটিই রাজ্যকে জানায়, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থী না-পেলে প্রশিক্ষণহীনদের নিয়োগ করা যেতে পারে। কিন্তু ওই সুবিধা মিলবে ২০১৪ সাল পর্যন্ত। নিয়োগের দু’বছরের মধ্যে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এখন রাজ্যে ১৫ হাজার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থী আছেন। তাঁদের নিয়োগের পরেই অবশিষ্ট শূন্য পদে প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদের নেওয়ার জন্য পরীক্ষা হতে পারে বলে সওয়াল করেন ওই আইনজীবী।
বিচারপতি এর পরে এনসিটিই-র আইনজীবী আশা গুটগুটিয়ার বক্তব্য জানতে চান। তিনি বলেন, প্রশিক্ষিত এবং প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদের পরীক্ষা একসঙ্গে নেওয়া যায় না। এনসিটিই-র নিয়ম অনুযায়ী শুধু প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদেরই নিয়োগ করার কথা। তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ নেই, এমন প্রার্থীদের নিয়োগ করার পরে দু’বছরের মধ্যে তাঁদের সকলের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার পরিকাঠামো রাজ্যে আছে কি না, সেটাও দেখা দরকার।
|
রবীন্দ্রনাথ কি এখনও মন্ত্রী |
সিঙ্গুরের তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য এখনও মন্ত্রী আছেন কি না, জানতে চাইলে স্পিকার উত্তর না-দিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ। বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র ও প্রবোধচন্দ্র সিংহ মঙ্গলবার জানান, রবিবাবু বলছেন তিনি আর মন্ত্রী নন। অথচ সরকারের নথিতে তাঁর নাম আছে। মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়া শ্যামল মণ্ডলের ছুটি মঞ্জুর করেছেন স্পিকার। কিন্তু রবিবাবুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাচ্ছেন না স্পিকার। রবিবাবু ছুটি চাননি। এই ব্যাপারে সরকারের অবস্থান স্পিকারের জানানো উচিত বলে সূর্যবাবুদের দাবি। |