কুয়াশায় মোড়া ভোরের হাত ধরে সাতসকালেই বৃষ্টি নেমে এসেছিল বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায়। দিন গড়ালেও মঙ্গলবার আকাশে সূর্যের ঝলক দেখা যায়নি। আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। এরই মধ্যে দুপুরে ইঁদপুর ব্লকের ব্রজরাজপুর, তেঁতুলিয়া-সহ কয়েকটি গ্রামে কিছু ক্ষণ শিলাবৃষ্টি হয়। সন্ধ্যায় খাতড়া মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় হাল্কা বৃষ্টি নামে। বাঁকুড়া জেলা আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এ দিন বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১৭.৬ মিলিমিটার। ইঁদপুরের যে সব এলাকায় এ দিন শিলাবৃষ্টি হয়েছে, সেখানেও মাঠে ধান কাটা রয়েছে। চাষিরা জানিয়েছেন, শিলার আঘাতে ও বৃষ্টিতে ধানের কিছু হয়েছে। কয়েক দিন না গেলে ক্ষতির পরিমাণ বোঝা যাবে না। |
চাষিরা আবহাওয়ার এই দুর্মতি দেখে আতঙ্কিত হলেও কৃষি আধিকারিকেরা এখনই ক্ষতির সম্ভাবনা দেখছেন না। বাঁকুড়ার কৃষি দফতরের উপ অধিকর্তা অনন্তনারায়ণ হাজরা বলেন, “বৃষ্টি এবং কুয়াশার জন্য ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাইনি। এই বৃষ্টিতে ফসলের কোনও ক্ষতির সম্ভাবনা দেখছি না। তবে বৃষ্টি দীর্ঘস্থায়ী হলে সমস্যা হতে পারে।” পুরুলিয়া জেলার কৃষি দফতরের সহ-উপ অধিকর্তা দিব্যেন্দু দাস জানান, মাঠে এখন ধান খুব একটা নেই। বৃষ্টি প্রধানত রঘুনাথপুর মহকুমা এলাকায় হয়েছে। এতে চাষিদের সে রকম ক্ষতি হবে না। তাঁর মতে, “এই বৃষ্টি বরং সর্ষে ও ডাল চাষের পক্ষে সহায়ক হবে।”
কিন্তু এ রকম কুয়াশা বা মেঘলা আবহাওয়া বজায় থাকলে, সব্জি চাষে প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছে পুরুলিয়া জেলা উদ্যান পালন দফতর। উদ্যান পালন দফতরের আধিকারিক সামন্ত লায়েক বলেন, “যাঁরা টাঁড় জমিতে ফলের বাগান করেছেন, তাঁদের পক্ষে এই বৃষ্টি ভাল। কিন্তু আবহাওয়ার পরিবর্তন না হলে সব্জি ও সব্জির বীজতলার ক্ষতি হবে। সে ক্ষেত্রে ছত্রাকের সংক্রমণ ঠেকাতে জমিতে ওষুধ স্প্রে করতে হবে।” |