ভোর ৬টা নাগাদ বেলতলা রোডে এক কিশোরীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে জড়ো হয়েছিলেন এলাকার মানুষ। খবর যায় পুলিশে। পুলিশ ও এলাকাবাসী মেয়েটিকে এসএসকেএমে নিয়ে যান। পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মৃত্যু হয় তার। |
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, মৃতার নাম বিশঙ্খা শেখওয়াল (১৫)। বেলতলা রোডে যে বাড়ির সামনে তার দেহ পড়েছিল সেই বাড়িরই চারতলার একটি ফ্ল্যাটে বাবা, মা ও ভাই বোনের সঙ্গে থাকত সে। বিশঙ্খা দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। মৃতার দুই হাত, পা ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারনা, বাড়ির সামনে কোনও গাড়ি তাকে ধাক্কা মারে। তবে, চারতলা থেকে ঝাঁপ দেওয়া বা ফেলে দেওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।
কিশোরীর বাবা বিষ্ণু শেখওয়াল জানান, “প্রতিদিনের মতো আজও প্রাতর্ভ্রমণে গিয়েছিল বিশঙ্খা। ভোরে বাড়ির নীচে ভিড় দেখে নেমে আসি। কয়েক জন বলেন, বছর পনেরোর এক কিশোরীকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তা থেকে তুলে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে জানতে পারি, আহত আমারই মেয়ে।” কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) পল্লবকান্তি ঘোষ বলেন, “মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ বোঝা যাবে।” |