এ দিন মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ৪৫ মিনিট বৈঠক করেন সংস্থার প্রধান যোগী দেবেশ্বর। উপস্থিত ছিলেন নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও শিল্প সচিব চঞ্চলমল বাচাওয়াত। বৈঠক শেষে দেবেশ্বর বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে আমরা আগামী ৩-৪ বছরে ৩০০০ কোটি বিনিয়োগ করব। মুখ্যমন্ত্রীকে সে কথা জানিয়েছি।”
আই টি সি গোষ্ঠীর বিনিয়োগ ও প্রকল্পের সার্বিক চিত্র এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন সংস্থা কর্তৃপক্ষ। তবে গোষ্ঠীর তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা আই টি সি ইনফোটেক-এর রাজারহাটের জমি হাতে পাওয়া নিয়ে স্পষ্ট কোনও উত্তর দেননি তাঁরা। জমি সমস্যা মিটে যাওয়ার কথা বললেও জমির দাম নিয়ে কোনও কথা তাঁরা বলেননি। এই দাম নিয়ে টানাপোড়েনের জেরেই আটকে রয়েছে রাজারহাটে ১৫ একর জমি। সংস্থার দাবি, জমি নিয়ে এ দিন আলোচনা হয়নি। এবং সরকার তাঁদের জমির দামও জানায়নি। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে সংস্থা ফের ক্যাম্পাস তৈরির আগ্রহ প্রকাশ করে। এ বার অবশ্য সংস্থা ৪৫ থেকে ৫০ একর জমি চায়। কিন্তু সেটা সম্ভব নয় বলে আগেই জানিয়েছে রাজ্য। কারণ রাজারহাটে নতুন করে জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে না। ফলে এক লপ্তে ৫০ একর জমি দেওয়া যাবে না। আপাতত ইনফোসিস ও উইপ্রো-র দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের মধ্যবর্তী জমি আই টি সি ইনফো-র জন্য বরাদ্দ করেছে রাজ্য। কিন্তু সমস্যা দাম নিয়ে। হিডকো জানিয়ে দিয়েছে একরে দেড় কোটি টাকা দরে জমি দেওয়া যাবে না। কারণ বাজার দর এর অনেক গুণ বেশি। এ দিকে অন্যান্য সংস্থা যে-দামে জমি নিয়েছে, তার বেশি দিতে নারাজ আই টি সি ইনফো। তাই পুরনো দরে সংস্থাকে জমি দিতে মন্ত্রিসভার অনুমোদন নেওয়ার পথে এগোয় তথ্যপ্রযুক্তি দফতর। এই অনুমোদন মিলেছে কি না, বা জমি কবে হাতে পাওয়া যাবে, তা নিয়ে সরকার ও আই টি সি, কেউই মুখ খোলেনি। |