মেয়ের মৃত্যু-রহস্যের কিনারা করছে না পুলিশ। এমনই অভিযোগ করলেন আসানসোল-দুর্গাপুর চক্রের বিক্রয়কর বিভাগের যুগ্ম কমিশনার সুমন সিংহ। তাঁর অভিযোগ, মেয়েকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। অথচ পুলিশ ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালাতে চাইছে। প্রয়োজনে পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন বলেও হুমকি দেন তিনি। যদিও পুলিশের দাবি, তদন্ত ঠিক পথেই এগিয়েছে। এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলেই দাবি পুলিশের।
পুলিশ জানিয়েছে, রানিগঞ্জ থানার বাঁশড়া খনি আবাসনে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত আসানসোলের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী কেয়া সিংহ। ২৬ নভেম্বর সকালে আবাসনের দরজা ভেঙে পুলিশ ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। ঘটনার সময়ে ওই ছাত্রীর বাবা-মা-ভাই কেউ বাড়িতে ছিলেন না। ওই ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। চিঠিটি তাঁর বাব-মাকে উদ্দেশ্য করে লেখা। তবে কী কারণে আত্মহত্যা, ওই নোটে তার কোনও উল্লেখ নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ। মৃতার মা তথা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার সুমন সিংহ দাবি করেন, ওই সুইসাইড নোটটি তাঁর মেয়ের হাতের লেখা নয়। তাঁর দাবি, “আমি জোরের সঙ্গে বলতে পারি আমার মেয়েকে পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছে।” কিন্তু কী কারণে খুন করা হবে সে বিষয়ে নিশ্চিত ভাবে তিনি কিছু পুলিশকে জানাননি। সুমনদেবীর দাবি, “আমার স্বামী মনোজকুমার সিংহ ইসিএলের উচ্চপদস্থ কর্মী। সৎভাবে চাকরি করার জন্য তিনি অনেকের বিরাগভাজন হন। সম্ভবত কোনও আক্রোশবশত তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে।” তিনি জানান, ঘটনার দিন তিনি ভোরের ট্রেন ধরে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। তাঁর স্বামী আগেই চিকিৎসার জন্য চেন্নাই চলে গিয়েছিলেন। তাঁদের ছেলে সকালে দুর্গাপুরের স্কুলে গিয়েছিল। সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ তাঁদের গাড়ির চালক মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যেতে এসে ঘরের দরজা বন্ধ দেখেন। বিষয়টি সুমনদেবীকে জানানো হয়। খবর যায় পুলিশেও। পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে।
আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এডিসিপি (সেন্ট্রাল) সুরেশ কুমার এটি খুনের ঘটনা বলে মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, “প্রতিবেশীদের উপস্থিতিতে ঘরের দরজা ভেঙে ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।” তাঁর দাবি, তিনি নিজে এই ঘটনার তদন্ত করেছেন। এটিকে আত্মহত্যা ছাড়া অন্য কিছু মনে করছে না পুলিশ। |