রবিবার সকাল থেকেই কুয়াশায় ঢাকা থাকল উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকা। খারাপ আবহাওয়ার জন্য এ দিন বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে ৫টি বিমান বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে দু’টি বিমান আকাশে চক্কর কেটে ফিরে গিয়েছে। কলকাতা থেকে বাগডোগরাগামী একটি বিমানে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবও ছিলেন। বিমান বাতিলের জন্য দিল্লি থেকে জলপাইগুড়ি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসতে পারেননি চা পর্ষদের ভারপ্রাপ্ত উপ অধিকর্তা জি বোরিয়া।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, পশ্চিম হিমালয় পর্বত থেকে আসা একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা গত শনিবার রাত থেকেই উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের আকাশে ঢুকতে শুরু করেছে। সে জন্যই উত্তরের সব জেলাতেই এ দিন তাপমাত্রা কমে যায়। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, “অন্তত আরও দু’দিন পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তরবঙ্গের আকাশে থাকবে। ফলে দিনের তাপমাত্রা যেমন কমবে তেমনই সমতল এলাকায় সকাল থেকে কুয়াশা থাকবে। দার্জিলিং, উত্তর সিকিমের মতো পাহাড়ি এলাকায় তুষারপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে।” |
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, বাতিল পাঁচটি বিমানের মধ্যে দুটি জেট এবং তিনটি স্পাইস জেটের বিমান রয়েছে। এর মধ্যে স্পাইস এবং জেটের একটি করে বিমান বাগডোগরায় পৌঁছলেও চক্কর খেয়ে ফিরে যায়। বিকালের পর দিল্লি, কলকাতা থেকে বিমানগুলির বাগডোগরায় আসার কথা ছিল। শুধু ড্রুক, এয়ার ইন্ডিয়া এবং গো-এয়ারের বিমানগুলি বাগডোগরায় এসেছে।
মূলত আইএলএস বা ইনস্ট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম না থাকায় খারাপ আবহাওয়া এবং কম দৃশ্যমানতার জন্য বিমানগুলি বাগডোগরায় নামতে পারেনি। রাতে বিমান ওড়ানোর ব্যবস্থা না থাকায় সেগুলি রাতে ফিরে আসারও কোনও সম্ভাবনা ছিল না। বাগডোগরা থেকে কলকাতা, দিল্লি যাওয়ার জন্য যাত্রীরা সন্ধ্যা অবধি অপেক্ষা করেন বিমান বন্দর চত্বরে। পরে ট্রেন এবং চড়া দামে গাড়ি ভাড়া করে অনেকে কলকাতা রওনা হন। বাগডোগরা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কল্যাণকিশোর ভৌমিক বলেন, “সকালে কিছু বিমান এলেও দুপুরের পর থেকে আর নামতে পারেনি। ৫টি বিমান এ দিন বাতিল করা হয়েছে।” |
এ দিন সকাল থেকেই শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি শহর কার্যত কুয়াশায় ঢাকা ছিল। গত শনিবার রাত থেকেই জলপাইগুড়ি শহর কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে যায়। বালুরঘাট শহরে রবিবার দিনভরই কুয়াশা ছিল। সকালে কুয়াশার পরে, সন্ধ্যা থেকেই তাপমাত্রা কমতে শুরু করে কোচবিহার শহরে। কনকনে ঠান্ডার জন্য সন্ধ্যার সময়েই কোচবিহারের অনেক দোকান বন্ধ হয়ে যায়। কুয়াশা ও ঠান্ডার কারণে রায়গঞ্জ শহরও সকাল থেকেই সুনসান ছিল। |