একশো দিনের কাজে এ বার জলসম্পদ দফতর
কশো দিনের কাজ প্রকল্পে এ বার জলসম্পদ উন্নয়ন ও অনুসন্ধান দফতরকে কাজে লাগাতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। ঠিক কী ভাবে ওই দফতর কাজ করবে, তা নিয়ে শনিবার একটি কর্মশালা হবে মেদিনীপুরে। পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জঙ্গলমহলের তিন জেলার প্রশাসনিক কর্তারা উপস্থিত থাকবেন। থাকবেন জলসম্পদ উন্নয়ন ও অনুসন্ধান দফতরের ইঞ্জিনিয়াররাও। একশো দিনের কাজ প্রকল্পের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রকল্প আধিকারিক প্রিয়াঞ্জন দাস বলেন, “কমর্শালায় একশো দিনের কাজের পদ্ধতি ও আইনি বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হবে। যাতে কাজ করতে গিয়ে কোনও জটিলতা না দেখা দেয়।”
একশো দিনের কাজ প্রকল্পে সাধারণত গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ কাজ করত। পরে পরিধি বাড়াতে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কখনও সমবায়ের মাধ্যমে কাজ করা হয়েছে, কখনও বা বন বিভাগকে দিয়ে। বিশেষ করে পশ্চিম মেদিনীপুরে বন দফতরকে দিয়ে নানা কাজ করানো হয়েছে। বনসৃজনের জন্য পিট তৈরি, রাস্তা নির্মাণ, পুকুর খনন প্রভৃতি নানা কাজ হয়েছে। এ বার জলসম্পদ উন্নয়ন ও অনুসন্ধান দফতরকে দিয়ে কাজ করানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই দফতর এখন ‘জল ভরো জল ধরো’ প্রকল্পে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। বর্তমানে ভূপৃষ্ঠের জল ব্যবহারের উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তা করতে হলে প্রয়োজন পুকুর খনন বা জলাধার তৈরি। আবার সেচের জন্য অনেক সময় ‘রিভার লিফট ইরিগেশন’ (আরএলআই) প্রকল্পও রূপায়ণ করা হয়। তার মধ্যে যে কাজগুলো শ্রম নির্ভর, সেগুলো একশো দিনের কাজ প্রকল্পে করা হবে। যেমন জলাধার তৈরির জন্য মাটি কাটা। আবার আরএলআই তৈরি করলেই তো হবে না। প্রয়োজন রয়েছে নালা তৈরির। নাহলে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে জল নিয়ে যাওয়া যাবে না। নালা তৈরির কাজ করা যাবে একশো দিনের প্রকল্পে। যেখানে যন্ত্র প্রয়োজন সে ক্ষেত্রে টাকা দেবে সংশ্লিষ্ট দফতর, যেখানে শ্রম সেখানে টাকা দেওয়া হবে একশো দিনের প্রকল্পে।
মাওবাদী উপদ্রুত তিনটি জেলার বহু এলাকা এখনও পিছিয়ে পড়া। সেচের অভাবে চাষ হয় না, এমনও এলাকা রয়েছে। কেবলমাত্র বষার্কালে বৃষ্টি নির্ভর চাষ হয় বেলপাহাড়ি, লালগড়, নয়াগ্রাম, সাঁকরাইল-সহ বিভিন্ন ব্লকের নানা এলাকায়। সেই সব জায়গায় কাজের সুযোগও রয়েছে। অন্য দিকে বর্তমানে রাজ্যে সরকার পরিবর্তন হলেও গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি থেকে জেলা পরিষদ সবই প্রায় সিপিএমেরই দখলে। পঞ্চায়েতগুলির অভিযোগ, বর্তমান পরিস্থিতিতে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। আবার তৃণমূলের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ইচ্ছে করে কাজ করছে না। রাজ্য সরকারও এখনও ত্রি-স্তর পঞ্চায়েতকে এড়িয়েই উন্নয়ন করার পদ্ধতি নিয়েছে। ফলে কাজে গতিও কমছে। একশো দিনের কাজের গতি বাড়ানোর পাশাপাশি সাধারণ গরিব মানুষকে আরও বেশি কাজ দেওয়ার লক্ষ্যেই এ বার যুক্ত করা হচ্ছে জলসম্পদ উন্নয়ন ও অনুসন্ধান দফতরকেও।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.