পিঠে গুরুতর চোট মনোজের
বাংলা ক্রিকেটে ফের বিপর্যয়
বিপর্যয় যেন পিছু ছাড়ছে না বাংলা ক্রিকেটের।
কখনও সরাসরি হার। কখনও কপালে জুটছে নেহাতই এক পয়েন্ট। রঞ্জি ট্রফির নক আউট পর্বে পৌঁছনোর স্বপ্ন মোটামুটি চূর্ণ। তবু যেটুকু যা আশাবাদ পড়ে ছিল, রবিবারের রাজকোটে সেটাও শেষ।
পিঠে গুরুতর চোট পেয়ে সম্ভবত বাকি রঞ্জি থেকেই ছিটকে গেলেন মনোজ তিওয়ারি। ডাক্তারি রিপোর্ট সোমবার পাওয়া যাবে। কিন্তু ডাক্তারদর সঙ্গে কথাবার্তা বলে বাংলা শিবির জানতে পেরেছে অন্তত চার থেকে ছ’সপ্তাহ পাওয়া যাবে না বাংলা অধিনায়ককে। অর্থাৎ, সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে তো নয়ই, বাকি রঞ্জি মরসুমেই মনোজকে না পাওয়ার সম্ভাবনা।
ঘটনাটা কী?
সৌরাষ্ট্রের প্রথম ইনিংসে তোলা ২০৯-এর জবাবে বাংলা ব্যাটিং তখন মুখ থুবড়ে পড়েছে। মনোজ শুধু একা লড়ছেন। আচমকাই পিঠের যন্ত্রণায় মাঠেই শুয়ে পড়েন বাংলা অধিনায়ক। বেশ কয়েক দিন ধরেই পিঠের ব্যথা ভোগাচ্ছিল তাঁকে। পরে দেখা যায়, পিঠের পেশি ছিঁড়েছে মনোজের। রাজকোট থেকে ফোনে বাংলা ম্যানেজার সমীর দাশগুপ্ত বলছিলেন, “সোমবার রিপোর্ট পাব। ডাক্তাররা বলছেন, অন্তত চার থেকে ছ’সপ্তাহ মনোজকে পাওয়া যাবে না।” ঠিক হয়েছে, ডাক্তারি রিপোর্ট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মনোজকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে।
আর বাংলা? মনোজ সমেতই যা হাল, তার পর তিনি থাকলে কী হবে ভেবে শিউরে উঠছেন টিমের কেউ কেউ। এ দিন বাংলার প্রথম ইনিংস খতম মাত্র ১১২ রানে। মনোজ (৫৫ আহত ও অবসৃত) ছাড়া দু’অঙ্কের ঘরে ঢুকেছেন শুধু ওপেনার অরিন্দম দাস (২০)। চার জন আউট হয়েছেন স্রেফ শূন্য রানে! ঋদ্ধিমান সাহা (৬), অভিষেক ঝুনঝুনওয়ালা (৯), লক্ষ্মীরতন শুক্লের (৫) স্কোরবোর্ডের দিকে তাকানো যায় না। শুধু তাই? ৯৭ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরাষ্ট্র দিনের শেষে ১৩৪-৪। ‘লিড’ বেড়ে আপাতত ২৩১। কিন্তু স্কোরটা ১৩৪-৭-ও হতে পারত। বাংলার ফিল্ডাররা তিন-তিনটে ক্যাচ ফেলে বসলেন!
কোচ ডব্লিউ ভি রামনের স্ট্র্যাটেজি নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। বলা হচ্ছে, রাজকোটে ঘূর্ণি উইকেটের কথা জেনেও কী ভাবে তিনি মাত্র এক স্পিনারে নামতে পারেন? নির্বাচকরাও ক্ষিপ্ত। নির্বাচক প্রধান দীপ দাশগুপ্ত-র ক্ষোভ, “সিনিয়র, জুনিয়র, সবই তো দেখে নিলাম। দু’শোও তাড়া করা যাচ্ছে না এখন! কী যে বলব, বুঝতে পারছি না। চরম হতাশজনক।”

পাকিস্তানের কাছে হার ভারতের
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হকিতে ভারত শেষ পর্যন্ত পদকহীনই থাকল। ব্রোঞ্জপদক নির্ধারণের ম্যাচে ভারত চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথমে গোল করেও ২-৩ হেরে গেল। ফলে বিরাশিতে শেষ বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ব্রোঞ্জ জেতার তিরিশ বছর পরেও এই টুর্নামেন্টে পদকহীনই রইল ভারত। তাৎপর্যের, পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শেষ চারটি পদকই (চারটিই ব্রোঞ্জ) ভারতকে হারিয়ে পাওয়া।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.