সিটুর দফতর ভাঙচুরে অভিযুক্ত সেই তারক
নিজস্ব সংবাদদাতা |
বাঘা যতীনে সিটুর অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় ফের অভিযোগ কনস্টেবল তারক দাসের বিরুদ্ধে। তারক-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে সিপিএম। পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে তৃণমূল-সমর্থকেরা বাঘা যতীন মোড়ের কাছে সিটুর অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ এসেছিল। সিপিএমের টালিগঞ্জ-যাদবপুর (দক্ষিণ-পূর্ব) লোকাল কমিটির সম্পাদক শম্ভু দত্ত বলেন, “শুক্রবার রাতে ওই এলাকায় দুষ্কৃতীদের মধ্যে গুলি চলে। এলাকায় সমাজবিরোধী কার্যকলাপ চলছে, এই অজুহাতে সিটু অফিসে হামলা চালায় তৃণমূল।” রবিবার ফের ওই সিটু অফিসে হামলা হয় বলে অভিযোগ। সকালে ওখানে পথসভা করে তৃণমূল। ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এলাকায় সমাজবিরোধী কার্যকলাপ চলায় সাধারণ মানুষই ওই অফিস ভাঙচুর করেছে।” ২৮ ফেব্রুয়ারি, শিল্প ধর্মঘটের দিন গাঙ্গুলিবাগানে সিপিএমের জোনাল অফিস ভাঙচুর ও সাংবাদিক পেটানোর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল তারকের বিরুদ্ধে। ওই কনস্টেবলকে সাসপেন্ড ও গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে এ দিন তারক বলেন, “আমি ভাঙচুরে ছিলাম না। সিপিএম মিথ্যা অভিযোগ করছে।” |
নিজেকে মাওবাদী বলে পরিচয় দেওয়া এক যুবককে নিয়ে রবিবার সারা দিন নাজেহাল হতে হল কলকাতা পুলিশকে। পরে পুলিশ জানায়, অনুপ মিত্র নামে হাবরার ওই যুবক মাওবাদী নন। তিনি মত্ত অবস্থায় ছিলেন। এ দিন সকাল সাড়ে ৬টায় শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের কাছে গিয়ে অনুপ দাবি করেন, তিনি মাওবাদী। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ মেনে আত্মসমর্পণ করতে চান। পুলিশকর্মীরা তাঁকে শ্যামপুকুর থানায় নিয়ে যান। খবর যায় লালবাজার,এসটিএফ, এসবি-র কাছে। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পরে গোয়েন্দারা জানান, গ্রেফতার না-করে তাঁকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। |
ঘাতকের অবসাদ, জানত না পরিবার |
ভবানীপুরে ব্যাঙ্কে জোড়া খুনের ঘটনায় ধৃত নিরাপত্তারক্ষী সুনীল সরকারের কোনও রকম মানসিক অবসাদের কথা জানা ছিল না তার পরিবারের। তার পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলে এ কথা জানায় পুলিশের। তবে অফিসের সহকর্মীরা তাকে নিয়ে হাসিঠাট্টা ও উত্ত্যক্ত করায় সে যে বিচলিত, বাড়ির লোকেদের আগেই তা বলেছিল সুনীল। যে-সব সহকর্মী সুনীলকে সব সময় উত্ত্যক্ত করতেন বলে অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে কথা বলবে পুলিশ। |
ঠাকুরপুকুরে এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার রাতে, হিঙ্গলগঞ্জ থেকে। উদ্ধার হয় ওই কিশোরীও। ধৃতদের নাম সঞ্জয় মিস্ত্রি ও সন্ন্যাসী মণ্ডল। ওই দুই যুবকের বাড়ি হিঙ্গলগঞ্জে। পুলিশ জানায়, দু’দিন আগে ওই দু’জন ঠাকুরপুকুর এলাকার বাসিন্দা বছর পনেরোর ওই কিশোরীকে অপহরণ করে পালায়। কেন তারা ওই কাজ করে, তার তদন্ত হচ্ছে। রবিবার আদালত ধৃতদের ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত দেয়। |
হেলমেট ছাড়াই মোটরসাইকেল চালানোর অভিযোগে দু’জনকে ধরতে গিয়ে জখম হলেন ট্রাফ্রিক সার্জেন্ট। পুলিশ জানায়, ওই সার্জেন্টের নাম অলোক পাল। রবিবার সকালে তিনি পার্ক স্ট্রিট এলাকায় ওই দুই মোটরবাইক আরোহীকে ধাওয়া করেন। ওই দু’জন তাঁকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। মোটরসাইকেলের ধাক্কায় অলোকবাবুর বাঁ হাত গুরুতর জখম হয়। দুই অভিযুক্তই ধরা পড়েছে। |