|
|
|
|
এডিডিএ-র চেয়ারম্যান হচ্ছেন নিখিল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর ও আসানসোল |
আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন সংস্থার (এডিডিএ) চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে আসানসোলের মেয়র তথা বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ওই পদে আসছেন দুর্গাপুরের (পূর্ব) বিধায়ক নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সরকারি চিঠি এখনও হাতে পাইনি। তবে ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী এ খবর জানিয়েছেন। দায়িত্ব নিয়ে রাস্তাঘাট, পানীয় জল ও বিদ্যুৎ পরিষেবার উন্নয়নে নজর দেব।”
বিধানসভা ভোটে বামফ্রন্টের ভরাডুবির পরে এডিডিএ-র চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন সিপিএম সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী। সেই জায়গায় আসেন তাপসবাবু। শুক্রবার রাতে প্রথম খবর আসে, তাপসবাবু এডিডিএ-র চেয়ারম্যান পদে থাকছেন না। উন্নয়নের কাজে গতি আনতে রাজ্যের মন্ত্রিসভায় রদবদল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এডিডিএ-র চেয়ারম্যান পদে বদলও সেই লক্ষ্যেই কি না, সে নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। তাপসবাবু অবশ্য এ সব নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, “যা হয়েছে, ভাল হয়েছে। যা হবে, ভালই হবে। এর বেশি কিছু বলতে চাই না।”
তাপসবাবু কোনও মন্তব্যে রাজি না হলেও নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক শিল্পাঞ্চলের তৃণমূলেরই কয়েক জন নেতার দাবি, আসানসোলের মেয়র ও বিধায়কের দায়িত্ব সামলে আর এডিডিএ-র কাজে বিশেষ সময় দিতে পারছিলেন না তিনি। ওই নেতাদের মতে, শিল্পাঞ্চলের উন্নয়নে এডিডিএ-র বড় ভূমিকা রয়েছে। পুরসভাগুলিকে নানা উন্নয়নমূলক কাজে এডিডিএ-র দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। চেয়ারম্যান সময় না দেওয়ায় বিপাকে পড়ছিল পুরসভাগুলি। দুর্গাপুর, আসানসোল ও কুলটি পুরসভা তৃণমূলের দখলে রয়েছে। সেখানকার দলীয় নেতারা মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছিলেন। সম্ভবত সেই পরিস্থিতির কথা বিচার করেই তাপসবাবুকে সরানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে ওই নেতাদের দাবি। এডিডিএ-র সদর দফতর দুর্গাপুরে। সেখানকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দফতরে চেয়ারম্যান তাপসবাবুকে পাওয়া যেত খুব কম সময়। আসানসোল, রানিগঞ্জে কিছু কাজকর্ম হলেও দুর্গাপুরে গত দেড় বছরে বিশেষ কিছু হয়নি বলেই তাঁদের অভিযোগ।
তাপসবাবুকে সরিয়ে যাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, সেই নিখিলবাবুর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক অবশ্য খুব বেশি দিনের নয়। বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হয়ে পেশায় চিকিৎসক নিখিলবাবু তৃণমূলে আসেন। তিনি বলেন, “আমার একটাই লক্ষ্য, মানুষের জন্য কাজ করা। বিধায়ক হয়ে সেই সুযোগ পেয়েছি। এডিডিএ-র দায়িত্ব পেলে সেই সুযোগ এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যাবে।” |
|
|
|
|
|