দুর্ঘটনায় দক্ষিণবঙ্গে মৃত ছয়
নিজস্ব প্রতিবেদন |
চুঁচুড়ার দুর্ঘটনায় ভাঙাচোরা গাড়ি। ছবি: তাপস ঘোষ। |
পাঁচটি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলায় দু’টি শিশু-সহ মৃত্যু হল ৬ জনের।শুক্রবার গভীর রাতে একটি দুর্ঘটনা ঘটে হুগলির চুঁচুড়ার খাদিনা মোড়ের কাছে জি টি রোডে। গড়িফা থেকে চন্দননগরের গোন্দলপাড়ায় ফেরার পথে সামনের ডান দিকের চাকা ফেটে যাওয়ায় বরযাত্রীর একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মারা যান চালক চিরঞ্জিৎ কুণ্ডু (২৮) ও রবি জানা (২৬) নামে এক বরযাত্রী। আহত হন তিন মহিলা-সহ আট জন। তাঁদের চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হতাহতেরা সকলেই গোন্দলপাড়ার বাসিন্দা। ওই রাতেই আরামবাগের নৈসরাইতে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি ঝুপড়িতে ঢুকে পড়ে। ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় শ্যামলী লায়েক (৪১) নামে এক বাসিন্দার।ট্রাক্টরের ধাক্কায় পুরুলিয়ার কাশীপুর থানার গৌরাঙ্গডি গ্রামে শেখ সাহিল (৪) নামে একটি শিশুর মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় শুক্রবার বিকেলে। দুর্ঘটনার পরে জনতা ট্রাক্টরটিতে ভাঙচুর চালান। শনিবার সকালে পুরুলিয়া শহরের তেলকলপাড়ায় লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় শুভম রাজোয়াড় (৫) নামে এক স্কুলছাত্রের। ওই এলাকাতেই তার বাড়ি। এখানেও জনতা লরিটিতে ভাঙচুর চালায়। এ দিনই বীরভূমের রামপুরহাটের মনসুবা মোড়ের কাছে রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি ট্যাঙ্কার ও লরির সংঘর্ষে মারা যান নুর আলম শেখ (৩৩) নামে এক যুবক। তিনি ওই ট্যাঙ্কারে ছিলেন। তাঁর বাড়ি ডান গ্রামে। আহত হন তাঁর এক সঙ্গী। অন্য দিকে, বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় সামনের বাঁ দিকের চাকা ফেটে যাওয়ায় একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা মারে। শনিবার সকালের ওই দুর্ঘটনায় জখম হন অন্তত ২০ জন বাসযাত্রী। গুরুতর জখম চার জন বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভর্তি। |
ফব-র সব পদে ইস্তফা সরলের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
গোষ্ঠী-কোন্দলের জেরে দলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সরল দেব। তাঁর অনুগামী এক নেতাকে বহিষ্কার এবং কিছু সদস্য পদ নবীকরণ নিয়ে সমস্যার জেরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা ফ ব-র সভাপতি সরলবাবুর গোষ্ঠীর সঙ্গে জেলা সম্পাদক হরিপদ বিশ্বাসের শিবিরের বিবাদ তুঙ্গে উঠেছিল। যার জেরে ফ ব-র উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্মেলন প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে হয়েছিল। চলতি সপ্তাহেই দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হাফিজ আলম সৈরানি বারাসতে গিয়ে সরলবাবু, হরিপদবাবুদের নিয়ে বৈঠক করে ঠিক করেন, বন্ধ হয়ে থাকা সম্মেলন আবার শুরু হবে সদস্যপদ নবীকরণের পুরনো সূত্র মেনেই। কিন্তু এর পরেও সরলবাবুদের ক্ষোভ কমেনি। ফ ব সূত্রের খবর, শনিবার ৩৫০ জন দলীয় সদস্যের পক্ষে সরলবাবুর সই করা পদত্যাগপত্র রাজ্য দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যোগাযোগ করা হলে সরলবাবু অবশ্য এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বন্ধ হয়ে থাকা সম্মেলন প্রক্রিয়া আজ, রবিবার বারাসত লোকালের সম্মেলন দিয়েই ফের শুরু হচ্ছে। সেই উপলক্ষে বারাসতে ফ ব-র মিছিলে উপস্থিত থাকার কথা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সব সদস্যের। তার ঠিক আগের দিন সরলবাবুদের ইস্তফার সিদ্ধান্ত রাজ্য নেতৃত্বের উপর চাপ বাড়ানোর কৌশল কি না, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে ফ ব-র অন্দরে। |
এখনই সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের বদলি বিল নয় |
বিধানসভার চলতি অধিবেশনে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাধারণ বদলি (জেনারেল ট্রান্সফার) নীতি সংক্রান্ত বিল আসছে না বলে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শনিবার মহাকরণে তিনি জানান, মন্ত্রিসভার অনুমোদন না-মেলায় এই অধিবেশনে বিলটি আনা যাচ্ছে না। সরকারি স্কুলে সাধারণ বদলির নিয়ম চালু থাকলেও সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে এই নীতি নেই। সম্প্রতি আপস বদলির ব্যবস্থা চালু হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আবেদনের ভিত্তিতে সাধারণ বদলির নিয়ম চালু করার জন্য বিধানসভার চলতি অধিবেশনেই বিল আনার চেষ্টা করেছিল রাজ্য। এ দিন মহাকরণে এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রও তাতে যোগ দেন। বেরিয়ে যাওয়ার সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “মন্ত্রিসভার অনুমোদন না পাওয়ায় বিধানসভার চলতি অধিবেশনে সাধারণ বদলি সংক্রান্ত বিল আনা সম্ভব হচ্ছে না। পরে মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিয়ে বিধানসভায় বিল আনা হবে।” |
জঙ্গলমহলে রাতের ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করার কাজে সহযোগিতা করছে না রাজ্য পুলিশ। এমনই অভিযোগ রেল প্রতিমন্ত্রী অধীররঞ্জন চৌধুরীর। তিনি বলেন, শনিবার রেল প্রতিমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে রাজ্য পুলিশ কোনও প্রতিনিধি পাঠায়নি। রেল-পরিষেবা সংক্রান্ত বৈঠকে পুলিশের অনুপস্থিতিতে সরকারের সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। |