অনুশীলন শেষ। কিন্তু একের পর এক বল গোলে মেরেই চলেছেন ওকোলি ওডাফা। তবে কোথাও যেন তাল কেটে যাচ্ছিল। অধিকাংশ শট লেক্ষ্যের বাইরে। নয় তো বারে লেগে ফিরছিল। অস্বস্তিতেই পড়ে যাচ্ছিলেন মোহনবাগানের নাইজিরিয়ান গোলমেশিন। শেষ পর্যন্ত জালে বল ঢুকল। হাসিও ফুটল ওডাফার মুখে। বড় ম্যাচের আগের দিন প্রিয় দলের অনুশীলনে ভিড় করে থাকা সমর্থকরাও সজোরে হাততালি দিয়ে উঠলেন। আর ওডাফার দিকে তাকিয়ে থাকা করিম বেঞ্চারিফার মুখও উজ্জ্বল হল।
বাগানের অমাবস্যা কাটাতে করিমের ভরসা তো ওডাফার গোলই। সে কথাটা ভালই জানেন বাগান অধিনায়ক। তাই ডার্বির ২৪ ঘণ্টা আগে বলে দিলেন, “আগে গোল করি, তার পর সবার সব প্রশ্নের উত্তর দেব।”
ওডাফার পায়ে বল মানেই বাগানের স্কোর বোর্ড সচল থাকা। আর সে জন্যই ওডাফার জন্য বলের সাপ্লাই লাইন সচল রাখতে ম্যাচের আগের দিন দীর্ঘক্ষণ ব্যয় করলেন মরক্কান কোচ। |
কখনও নবি, কখনও জুয়েল, আবার কখনও বা ডেনসন দেবদাসকে হাতে করে করিম শেখাচ্ছিলেন বল বাড়ানোর রাস্তাটা কী হবে। পাশাপাশি মেহরাজ আর আইবরের সঙ্গে রাকেশ মাসিকে রেখে রক্ষণটা জমাট করার অনুশীলনও হল। আর ফরোয়ার্ডে ওডাফার জুটি হিসেবে শেষ পর্যন্ত কোমরে চোট থাকা স্ট্যানলি খেলতে না পারলে রবিবার শুরু করবেন সাবিথ। অনুশীলন দেখে মনে হল, বড় ম্যাচে করিমের ফর্মেশন দাঁড়াবে ৪-১-৩-২।
ফুটবলারদের সঙ্গে গত কয়েক দিন ধরেই নানা ভাবে আলাদা কথা বলে মোটিভেট করেছেন করিম। সেই টোটকার জন্যই সম্ভবত শনিবারের সকালে গুমোট পরিবেশ অনেকটাই উধাও বাগান তাঁবুতে। আসলে চোট সারিয়ে নবি, জুয়েল, নির্মল, আইবররা দলে ফেরায় চিন্তামুক্ত হয়েছেন করিম। ডার্বির চব্বিশ ঘণ্টা আগে তাই আত্মবিশ্বাসের সুর করিমের গলায়। বললেন, “পুরো দল রয়েছে। আমরা কিন্তু এখন অনেক আত্মবিশ্বাসী।” |