কায়রো বেজিং ডাবলিন ম্যানিলা ওয়াশিংটন |
এখনও অবধি এক পা-ও পিছু হটেননি মিশরের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুর্সি। তিনি যে ক্ষমতাবৃদ্ধির ঘোষণা করেছিলেন, এত প্রতিবাদ, এত বিক্ষোভের পরও একটুও সমঝোতা করেননি সেই প্রশ্নে। কায়রোর প্রাসাদের সামনে সারারাতব্যাপী পিকেটিং চলছে। উৎসবের চেহারা নিচ্ছে সেই জনসমাবেশ। তবে নতুন প্রস্তাবিত সংবিধান যদি সংশোধন না হয়, তা হলে বড় আকারের রক্তক্ষয়ের সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। আগামী ১৫ তারিখ সংবিধান বিষয়ে গণভোট হওয়ার কথা। কিন্তু মনে হচ্ছে, সেই তারিখ কিছুটা পিছোতেও পারে।
• শেষ অবধি সিরিয়া প্রশ্নে এক হতে চলেছে আমেরিকা ও রাশিয়া। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট বাশার যতই রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা ভাবছেন, ততই তাঁর বিরুদ্ধে এককাট্টা হচ্ছে মস্কো-ওয়াশিংটন। ডাবলিনে বসলেন দুই বিদেশমন্ত্রী, হিলারি ক্লিন্টন ও সের্গেই লাভরভ।
• ফিলিপাইনস্ দ্বীপপুঞ্জে প্রবল টাইফুনে প্রায় পাঁচশো মানুষ হত, বহু মানুষ গৃহহীন, সম্বলহীন। সঙ্গে সঙ্গে জাপানও সুনামিতে আবার বিধ্বস্ত, বিপন্ন। প্রশান্ত মহাসাগরের প্রায় একই অংশে অবস্থিত দুটি দেশে এই দুটি ঘটনা পরস্পরসংযুক্ত হওয়াই স্বাভাবিক।
• ক্যালিফোর্নিয়ার মামলা মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ায় সেই মামলার রায়ের সূত্রে সে দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে সমকামী বিবাহের অধিকার স্বীকৃত হল।
|
• চিনের কমিউনিস্ট পার্টির নতুন প্রধান জি জিংপিং ক্ষমতায় এসেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান আরম্ভ করলেন। অভিযানের প্রথম বলি সিচুয়ানের ডেপুটি পার্টি সেক্রেটারি লি চুনচেং। তাঁর বিরুদ্ধে পার্টির শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ। ১৯ নভেম্বর থেকে লি-র খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। মঙ্গলবার এক অতি জরুরি বৈঠকেও তিনি ছিলেন না। তিনি জেলে আছেন? দুনিয়াতে আছেন? ঈশ্বর, থুড়ি পার্টি, জানে। |
|
শেষ পর্যন্ত আদালতের বাইরে আপসে মীমাংসা হল ডমিনিক স্ট্রস কান আর নিউ ইয়র্কের হোটেলকর্মী নাফিসাতৌ দিয়ালোর। কত ডলারে, এখনও জানা যায়নি। তবে অনিয়ন্ত্রিত যৌন তাড়নার যে মূল্য স্ট্রস কান গত দেড় বছরে চুকিয়েছেন, তা নেহাত কম নয়। আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের প্রধান ছিলেন। প্রায় নিশ্চিত ছিল, নিকোলাস সারকোজি-র পর ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনিই। এই অবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন নাফিসাতৌ। পুলিশের হেফাজতে যান স্ট্রস কান, আই এম এফ-এর পদ যায়, রাজনৈতিক ভবিষ্যতেও পর্দা নেমে আসে। দেশের মাটিতেও তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে, তদন্ত আরম্ভ হয়। পরে অবশ্য মার্কিন অভিযোগকারিণীর কিছু কথাও মিথ্যে প্রমাণিত হয়। নাটক তবে এত দিনে শেষ হচ্ছে?
|
জন ম্যাকাফি, সমনামী অ্যান্টি-ভাইরাসটির জনক, ঘোর বিপাকে পড়েছেন। বেলিজ-এর বাসিন্দা ম্যাকাফির সঙ্গে তাঁর পড়শির দীর্ঘ দিনের ঝগড়া। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে সেই পড়শিই খুন হলেন। পুলিশের চোখে ম্যাকাফি সন্দেহভাজন। তিনি পুলিশের চোখ এড়িয়ে ঢুকে পড়লেন প্রতিবেশী দেশ গুয়াতেমালায়। রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলেন। গুয়াতেমালা সিটি প্রশাসন আশ্রয় দিতে অরাজি। তাঁদের মতে, ম্যাকাফি কোনও রাজনৈতিক কারণে সরকারের রোষে পড়েননি, তিনি নেহাতই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত এড়াতে চাইছেন। এ দিকে ম্যাকাফি বলছেন, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। দেশের নেতাদের দুর্নীতির মস্ত প্রমাণ তাঁর হাতে রয়েছে, তাই তাঁকে প্যাঁচে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে।
|
এনকোসাজানা লামিনি জুমা (ছবি) হলেন আফ্রিকান ইউনিয়ন (এ ইউ)-এর চেয়ারপার্সন। এই মুহূর্তে তাঁর তাগাদায় অস্থির রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ, মালি-তে এখনই আন্তর্জাতিক সেনাবাহিনী পাঠিয়ে যেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। মালি এখন কট্টর ইসলামি গোষ্ঠীদের দখলে, আল কায়দার ছত্রছায়ায় কর্মরত তাদের ইসলামিক মাগরেব। ভারত মহাসাগরের একটি বড় অঞ্চলে এই ইসলামিক মাগরেব-এর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ জলদস্যু ও মাদক-পাচারকারীরা ছড়ি ঘোরাচ্ছে, অন্য দেশের বাণিজ্য-জাহাজগুলিকে বিপদে ফেলছে। পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলির সংগঠন ECOWAS মালিতে পাঠানোর জন্য সাড়ে তিন হাজার সৈন্যের বন্দোবস্তও করে ফেলেছে। এই বাহিনী মালিতে পাঠানোর অনুমতি কি দেবে রাষ্ট্রপুঞ্জ?
|
লস এঞ্জেলেস-এর সবচেয়ে বিখ্যাত ন’টা অক্ষরের গায়ে ৩৬০ গ্যালন রং পড়ল। গত ৩৫ বছরে এত বড় মাপের পরিচর্চা হয়নি তাদের। অক্ষর ন’টা যে HOLLYWOOD, বলে দেওয়ার দরকার নেই। পাহাড়ের গায়ে অক্ষরগুলো বসে ৯০ বছর আগে, ১৯২৩ সালে। লোকে ভুলেই গিয়েছিল, ১৯৭০ সালে তারা নতুন জীবন পায়। তার পর থেকে এটি আমেরিকার অবশ্য-দ্রষ্টব্য।
|
ইজরায়েল দেশটির রাজনীতিকরা সমকামী বিবাহকে মোটেই ভাল চোখে দেখেন না। এখনও সেখানে সমলিঙ্গে বিয়ে বৈধ নয়। এ দিকে সে দেশেরই এক আদালত এক সমকামী দম্পতির বিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করল। বিয়ে স্বীকৃতি পাওয়ার আগেই বিচ্ছেদের স্বীকৃতি আজব কাণ্ড হিসেবে দেখতে পারেন। অথবা একে ইজরায়েলে আদালত বনাম অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রকের ঠাণ্ডা লড়াই হিসেবেও দেখা যায়। ২০০৬ সালে আদালতের চাপেই ইজরায়েলে বিদেশে হওয়া সমকামী বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এই বিচ্ছেদের রায় তারই পরের ধাপ। ইজরায়েল রাষ্ট্র কি এর পরও সমলিঙ্গ বিবাহ মানবে না? |