পর্যটক নিয়ে যাতায়াতকারী গাড়িগুলির পর্যটন দফতরের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামুলক করতে চলেছে রাজ্য সরকার। প্রতিটি গাড়ির সামনে দফতরের দেওয়া স্টিকার লাগাতে হবে। শনিবার শিলিগুড়িতে এক বৈঠকে এমনই জানিয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী। পাশাপাশি পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য ট্যুর অপারেটার, গাড়ি চালক, হোটেল মালিককে পর্যটকদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করার অনুরোধ করেছেন। এ জন্য শিলিগুড়িতে গাইড, গাড়ি চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান। বৈঠকে দফতরের আধিকারিক, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন ট্যুর অপারেটার, পর্যটক গাড়ি সংগঠনের মালিক, পুলিশ ও পুর-প্রতিনিধিরা ছিলেন। পর্যটকরা কোন নম্বরে পুলিশের সাহায্য চাইবেন তা জানিয়ে স্টেশন, বিমানবন্দরে থাকবে। পাশাপাশি টোল ফ্রি হেল্প লাইন চালু হবে বলে জানানো হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, “পর্যটকদের পরিষেবার দিকে নজর রাখাই মূল লক্ষ্য।”
|
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারের কয়েকটি শব্দ তিনি ব্যবহারই করেননি বলে জানালেন রতন টাটা। একটি ব্রিটিশ সংবাদপত্রে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে মনমোহন সিংহ সরকার ও দেশের গোটা ব্যবস্থার কড়া সমালোচনা করেছিলেন টাটা। কিন্তু, “প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা”, “নিষ্ক্রিয়তার জন্য সরকারের সমালোচনা”, “ব্যবসা জগতের বিষময় আবহাওয়া”-র মতো শব্দ তিনি ব্যবহার করেননি বলে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে টাটা গোষ্ঠী। তাদের বক্তব্য, সংবাদমাধ্যম টাটার বক্তব্য চাঞ্চল্যকর করে তুলতে গিয়ে সাক্ষাৎকারটি সম্পর্কে ধারণাই বদলে দিয়েছে। টাটা গোষ্ঠীর বক্তব্য, এ হেন আচরণে তারা বিস্মিত। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ যখন প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তখন টাটা তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এখনও প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করার ইচ্ছা তাঁর নেই।
|
ব্যবসা বাড়াতে জে কে পেপার একটি বৃহৎ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এ জন্য তারা ১৬৫০ কোটি টাকা লগ্নি করবে। আগামী বছরের মে মাসের মধ্যেই সম্প্রসারণ পরিকল্পনাটি রূপায়িত হবে বলে জানান সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে ঘোষ। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের লক্ষ্যে জে কে পেপার হিউলেট প্যাকার্ড (এইচপি)-এর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। এর মধ্যে আছে ফোটোকপিতে ব্যবহৃত কাগজ প্রস্তুতে বিশেষ প্রযুক্তি কাজে লাগাতে চুক্তি। বিশ্বে ১১টি সংস্থার সঙ্গে এইচপির এ রকম চুক্তি আছে। ঘোষ জানান, এখন সংস্থা তৈরি করে বছরে ১.২০ লক্ষ টন ফটোকপির কাগজ। সস্প্রসারণ প্রকল্প রূপায়িত হলে তৈরি হবে ২.৯৪ লক্ষ টন। তাঁর দাবি, সম্প্রসারণের পর তাঁরা দেশে কাগজ সংস্থাগুলির মধ্যে তৃতীয় স্থান দল করবেন। বর্তমানে তা পঞ্চম।
|
মাঝরাতেই জিএমআর-এর কাছ থেকে মালে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিল মলদ্বীপ। তবে এই হাতবদলের সময়ে ভারতীয় সংস্থাটির কোনও কর্তাই হাজির ছিলেন না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর। আগামী তিন সপ্তাহ ধরে সংস্থা বদলের প্রক্রিয়া চলবে। জিএমআর মলদ্বীপ ছাড়ার পরও তাদের কর্মীরা চাইলে নতুন সংস্থায় কাজ করতে পারবেন বলে জানিয়েছে মলদ্বীপ। ভারতীয় কর্মীদেরও এই সুযোগ দেওয়া হবে বলে দাবি তাদের।
|
সিঙ্গাপুরের ভোগ্যপণ্য সংস্থা এলডি ওয়াক্সন্স গ্রুপ-কে হাতে নিচ্ছে উইপ্রো। ৭৯০ কোটি টাকায় সংস্থার মালিকানা নিচ্ছে তারা। দু’মাসের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে বলে আশা।
|
অবশেষে দেশের ভিভিআইপিদের নিয়ে ওড়ার জন্য ভারতে আসতে চলেছে ইতালীয় সংস্থা ফিনমেক্কানিকার তৈরি ১২টি হেলিকপ্টার। মূলত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীদের মতো ‘হাই-প্রোফাইল’ ব্যক্তিত্বদের জন্যই এনডিএ আমলে এই কপ্টার কেনার বরাত পেয়েছিল ইতালীয় ওই সংস্থা। কিন্তু ওই সংস্থার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া ও অন্য কিছু কারচুপির অভিযোগ ওঠায় চার হাজার কোটির এই চুক্তিটি প্রায় বাতিল হতে বসেছিল। ভারত সরকার বিষয়টি নিয়ে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত চালায়। কিন্তু তাতে কোনও কারচুপি প্রমাণিত হয়নি বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানিয়েছে। রোমে ভারতের দূতাবাসও ওই ইতালীয় সংস্থার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায়নি। বিষয়টি নিয়ে আলাদা করে তদন্ত করছে ইতালি সরকারও। আগামী বছরের শুরুতেই ‘এ ডব্লিউ-১০১ অগস্টাওয়েস্টল্যান্ড’ হেলিকপ্টারগুলির ভারতে পৌঁছনোর কথা। |