শীত পড়ে গিয়েছে। তবু পানীয় জলের সঙ্কটে নাজেহাল দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার ফলবাগানের বাসিন্দারা। অবস্থা এমন যে পানীয় জলের অভাবে বন্ধ হতে বসেছে স্থানীয় স্কুলের মিড ডে মিল।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোসাবা বাজার লাগোয়া ওই এলাকায় কোনও গভীর নলকূপ নেই। সোনাগাঁর দু’টি পাম্পিং স্টেশন থেকে ওই এলাকায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ করা হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এক সপ্তাহ ধরে ওই এলাকায় নিয়মিত জল সরবরাহ করা হচ্ছে না। জলের জন্য দীর্ঘক্ষণ লাইন দিতে হচ্ছে। মাঝেমধ্যে তা নিয়ে অশান্তিও হচ্ছে।
ফলবাগান এলাকাতেই রয়েছে গোসাবার আরআরআই হাইস্কুল। পানীয় জলের সমস্যা থাকায় মিড-ডে মিল রান্না নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ছাত্র-ছাত্রীরাও পানীয় জল পাচ্ছেন না। প্রধান শিক্ষক তপন মণ্ডল বলেন, “বেশ কিছুদিন ধরেই পানীয় জল ঠিকমত পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে মিড-ডে মিলের রান্না থেকে ছাত্র ছাত্রীদের পানীয় জল, সব ক্ষেত্রেই প্রচণ্ড সমস্যা হচ্ছে। অন্য জায়গা থেকে জল এনে কাজ চালাতে হচ্ছে। কিন্তু তাতেও অসুবিধা হচ্ছে। শীঘ্রই সমস্যার সমাধান না হলে স্কুলে মিড ডে মিল চালানো অসম্ভব হয়ে পড়বে।” স্থানীয় বাসিন্দা প্রতিমা সমাদ্দারের অভিযোগ, “সারাদিনে ৪-৫ ঘন্টার বেশি জল সরবরাহ হচ্ছে না। ফলে আমাদের রাত থেকেই জলের জন্য লাইন দিতে হচ্ছে।” গোসাবা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নারায়ণ চন্দ্র মণ্ডল বললেন, “পানীয় জলের সমস্যার বিষয়টি জানি। আমি সমস্যাটি নিয়ে এলাকার জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের সহকারী বাস্তুকার (মেকানিক্যাল) সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।” অন্যদিকে সহকারী সহকারী বাস্তুকার (মেকানিক্যাল) রাহুল গঙ্গোপাধ্যায় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “সোনাগাঁ এলাকায় একটি পাম্পিং স্টেশন খারাপ হয়েছে। তাই আপাতত ৪-৫ ঘন্টার বেশি পানীয় জল সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।” বিডিও সুমন চক্রবর্তী বলেন, “পানীয় জলের সমস্যা ও সহকারী বাস্তুকারের খারাপ ব্যবহারের কথা শুনেছি। ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।” |