|
|
|
|
এই দেশে গোটা ব্যবস্থা বিষময়, মত টাটার |
সংবাদসংস্থা • লন্ডন |
সরকারের সাহায্য না পাওয়াতেই চিনাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে পারে না নানা ভারতীয় সংস্থা। ভারতে ব্যবসা করতে গেলে ‘বিষময়’ আবহাওয়ার মোকাবিলা করতে হয়। অবসর নেওয়ার কিছু দিন আগে ঠিক এই ভাষাতেই ভারত সরকারের সমালোচনা করলেন টাটা গোষ্ঠীর বিদায়ী কর্ণধার রতন টাটা।
সম্প্রতি একটি ব্রিটিশ সংবাদপত্র ও টাটা গোষ্ঠীর একটি পত্রিকাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রতন টাটা। তাঁর বক্তব্য, টাটা গোষ্ঠী অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের বাজারে বিনিয়োগ করতে কার্যত বাধ্য হচ্ছে। কারণ, দেশে ব্যবসা সম্প্রসারণের পথে বাধা অনেক। তাঁর মতে, মনমোহন সিংহ সরকার লাল ফিতের ফাঁস কাটানোর বিষয়ে বিশেষ কিছু করতে পারেনি। এখনও বড় প্রকল্পের অনুমোদন পেতে দশ বছরের মতো সময় লেগে যায়। টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধারের বক্তব্য, ভারতে একই আইন সম্পর্কে সরকারের এক এক সংস্থার ব্যাখ্যা এক এক রকম। কী করতে হবে তা নিয়ে মতান্তর প্রচুর। বেশিরভাগ দেশেই এই পরিস্থিতি দেখা দিলে বিনিয়োগকারীরা পিছু হটে যাবে।
আগেও ভারতে ব্যবসা করার অসুবিধা নিয়ে মুখ খুলেছেন টাটা। ঘুষ দিতে না চাওয়ায় বিমান পরিবহণে বিনিয়োগ করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছিলেন এক বার। শিল্প সম্পর্কে ভারত সরকারের মনোভাবেরও আগেই সমালোচনা করেছেন তিনি।
ব্রিটিশ বিলাসবহুল গাড়ির ব্র্যান্ড জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার কিনে তাক লাগিয়েছিলেন টাটা। সম্প্রতি চিনে ওই ব্র্যান্ডের গাড়ি তৈরির একটি কারখানা খুলেছেন তিনি। চিনা সরকার যে ভাবে শিল্পকে উৎসাহ দেয়, ভারতীয় সংস্থাগুলি সেই ধরনের উৎসাহ পেলে চিনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামা যেতেই পারে বলে মনে করেন তিনি।
টাটার দাবি, ভারতে গোটা ব্যবস্থাটাই ‘বিষময়’। সেই ব্যবস্থাকে তুষ্ট করতে পারলে তবে সহজে ব্যবসা করা যায়। ২৮ ডিসেম্বর টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন তিনি। দায়িত্ব নেবেন তাঁর উত্তরসূরি সাইরাস মিস্ত্রি। টাটার দাবি, তাঁদের শিল্পগোষ্ঠী কিছু নীতি মেনে চলে। প্রতিটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়ে সেই নীতির কথা মাথায় রাখতে হবে সাইরাস ও তাঁর সহযোগীদের। নীতি থেকে সরে দাঁড়িয়ে আপস করার প্রলোভন আসবে।
ন্যানো নিয়ে কিছুটা হতাশ টাটা। তাঁর মতে, ওই গাড়ির সঙ্গে অনেক নেতিবাচক ধারণা জড়িয়ে গিয়েছে। তাই নতুন ভাবে বিপণন করা প্রয়োজন। |
|
|
|
|
|