মঞ্চে তাঁদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছে বেশ কয়েক বার। তাঁদের সেতারবাদনে মুগ্ধ হয়েছেন অসংখ্য শ্রোতা। কিন্তু এ বার ৯২-এর সঙ্গে টক্করে নামছে ৩১। সঙ্গীতের লড়াইয়ে মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বী পিতা ও পুত্রী।
বাবা চান, মেয়ের জয়। আর মেয়ে অবশ্য আগেই জিতিয়ে দিচ্ছেন বাবাকে।
এ বছর ৫৫তম গ্র্যামি পুরস্কারের জন্য বিশ্ব সঙ্গীতের বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্ষীয়ান শিল্পী পণ্ডিত রবিশঙ্কর। আর একই বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছেন তাঁর কন্যা অনুষ্কাশঙ্কর। তিন বারের প্রবীণ বিজয়ীর সঙ্গে এই প্রথম লড়াইয়ে নামছেন দু’বার গ্র্যামির জন্য মনোনয়ন পাওয়া অনুষ্কা।
শঙ্কর পরিবারের সঙ্গে গ্র্যামি পুরস্কারের যোগ বহু দিনের। ১৯৬৭-তে প্রথম ভারতীয় হিসেবে গ্র্যামি জেতেন রবিশঙ্কর। তার পরে আরও দু’বার। আর ২০০৩ সালে এই পুরস্কার পান রবি শঙ্করের আর এক কন্যা গীতালি নোরা জোন্স শঙ্কর, যিনি নোরা জোন্স নামেই প্রসিদ্ধ। মোট ন’টি গ্র্যামি পেয়েছেন নোরা। |
এ বারের পিতা-পুত্রীর মনোনয়নের খবর ঘোষণা করা হয় বুধবার ন্যাশভিলে। আগামী বছর লস অ্যাঞ্জেলেসে স্টেপলস সেন্টারে ১০ ফেব্রুয়ারি পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। এ বার প্রবীণ সেতারবাদক এবং সুরস্রষ্টা মনোনয়ন পেয়েছেন তাঁর অ্যালবাম ‘দ্য লিভিং রুম, সেশনস পার্ট ১’-এর জন্য। এই অ্যালবামে তবলায় সঙ্গত করেছেন তন্ময় বসু। ক্যালিফোর্নিয়ায় রবিশঙ্করের বাড়ির লিভিং রুমেই যেটির রেকর্ডিং হয়েছে। ‘মালগুঞ্জি’, ‘খামাজ’, ‘কেদার’ এবং ‘সত্যজিৎ’ রাগের উপরে চারটি ট্র্যাক রয়েছে অ্যালবামে। ‘সত্যজিৎ’ রাগটি উৎসর্গ করা হয়েছে সত্যজিৎ রায়কেই যাঁর পরিচালিত অপু ত্রয়ীর (ট্রিলজি) সুরস্রষ্টা রবিশঙ্কর নিজেই।
গ্র্যামিতে অনুষ্কা মনোনয়ন পেলেন তৃতীয় বারের জন্য। গত বছরের অ্যালবাম ‘ট্র্যাভেলার’-এর জন্য। ভারতীয় সুর আর স্প্যানিশ ফ্ল্যামেঙ্কোর মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে বার করার চেষ্টা করেছে ‘ট্র্যাভেলার’।
বাবা-মেয়ের লড়াই নিয়ে যতই শোরগোল হোক, কন্যা আর স্বামীর মনোনয়নের বিষয়ে আনন্দিত রবি-পত্নী সুকন্যা। তিনি বলেছেন, “মেয়ে আর বর, দু’জনেই মনোনয়ন পেয়েছেন বলে আমি খুশি।”
সুরের লড়াইয়ে কন্যাকেই এগিয়ে রাখছেন প্রবীণ স্রষ্টা। রবিশঙ্করের কথায়, “মনোনয়ন তালিকায় নিজেদের নাম দেখে অদ্ভুত লাগছে। আশা করি অনুষ্কাই জিতবে।” বাবা এ কথা বললেও মেয়ের গলায় অন্য সুর, “বাপি মনোনয়ন পেয়েছে! আমি কিছুতেই জিতব না।”
|
হাওড়ার বীরেন কর্মকার গঙ্গায় ঝাঁপিয়ে অনেককে উদ্ধার করেছেন। বাঁকুড়া মেডিক্যালের ডাক্তার তথাগত দে এক বছরে বিনামূল্যে ৪২০০ জনের ছানি কেটেছেন। ৩৪২ দিন হেঁটে ট্রান্স-হিমালয়ান ট্রেকিং করেছেন রাজীব মণ্ডল। বীরভূমের স্কুলশিক্ষক দীনবন্ধু বিশ্বাস দেড় দশক ধরে বিপন্ন সরীসৃপ সংরক্ষণ ও এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ার কাজ করছেন। শুক্রবার দুর্গাপুরে অফিসার্স চয়েস আনন্দলোক সালাম বেঙ্গল-এর তরফে তাঁদের সংবর্ধনা দেওয়া হল। গান শোনালেন শুভমিতা ও অনুপম। |