বাম ডাকে সাড়া দেবে কি না দ্বিধায় কংগ্রেস
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সরকারের বিরুদ্ধে বিধানসভায় বামেদের সঙ্গে বেসরকারি প্রস্তাব আনার ব্যাপারে কংগ্রেস কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত। আজ, শুক্রবার থেকে বিধানসভার স্বল্পকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে। সেই অধিবেশনেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে বেসরকারি প্রস্তাব আনতে চান বিরোধীরা। এই ব্যাপারে তাঁদের প্রস্তাব সমর্থনের জন্য কংগ্রেসের কাছে বার্তা পাঠিয়েছেন বামেরা। কিন্তু এই বিষয়ে আজ কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকের পরে এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে দলনেতা মহম্মদ সোহারব বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, এ দিন বাম পরিষদীয় দলেরও বৈঠক হবে। তবে কংগ্রেস বিধায়কদের অনেকেই জানিয়েছেন, ৩৪ বছরে বাম রাজত্বের সন্ত্রাস তাঁরা ভুলে যাননি। সেই কারণে, বামেদের সঙ্গে এক সুরে রা মেলাবেন কিনা তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে তাঁরা আলোচনা করছেন। দলের মুর্শিদাবাদের এক বিধায়কের কথায়, “নতুন করে কেউ যাতে আমাদের সিপিএমের বি টিম না বলে সেটা আমাদের দেখতে হবে বৈকি! কারণ, এরপরে পঞ্চায়েত ভোট আছে। আছে জঙ্গিপুর, রেজিনগর ও ইংলিশবাজার বিধানসভার উপনির্বাচন। হাইকম্যান্ড আমাদের বলে দিয়েছেন তিনটে বিধানসভায় আমাদের জিততেই হবে। কারণ এই তিনটিই কংগ্রেস ছিল।” ফলে বিধানসভার অধিবেশনে কংগ্রেস কী করবে তা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সোহারব বলেন, “কী করব তা পরিষদীয় দলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।”
|
খাদ্যকর্তাকে তলব হাইকোর্টের |
রাজ্যের খাদ্য দফতর রঞ্জন মজুমদার নামে এক রেশন ডিলারকে সরিয়ে দিয়ে অন্য এক ডিলারকে নিয়োগ করেছিল। রঞ্জনবাবু কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পরে দেখা গেল, কোনও কারণ ছাড়াই তাঁর ডিলারশিপ খারিজ করা হয়েছে। খাদ্য দফতরের বক্তব্য, ওই ডিলারকে সরানো হয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে। কিন্তু বিচারপতি জয়ন্ত বিশ্বাসের এজলাসে উচ্চ আদালতের সেই নির্দেশের প্রতিলিপি পেশ করতে পারেনি খাদ্য দফতর। কেন তাঁকে সরানো হল, ১৩ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হয়ে সংশ্লিষ্ট সাবডিভিশনাল কন্ট্রোলারকে তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আবেদনকারীর আইনজীবী ইদ্রিশ আলি বলেন, কোনও কারণ ছাড়াই রেশন ডিলারদের সরিয়ে দিয়ে নতুন ডিলার নিয়োগ করা হচ্ছে। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বৃহস্পতিবার বলেছেন, টানা আট সপ্তাহ রেশন না-তুললেও কার্ড বাতিল হবে না। আগে মেয়াদ ছিল চার সপ্তাহ। |