পঞ্চায়েত ভোটের গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলীয় কর্মীদের মাটি কামড়ে পড়ে থাকার আহ্বান জানালেন রাজ্যের প্রাক্তন ভূমিমন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা। ব্যালটে ভোট হওয়ার পরে গণনার দিন তৃণমূল গোলমাল করতে পারে, এমন আশঙ্কা করেই কর্মী-সমর্থকদের তৈরি থাকতে বলেছেন বর্ষীয়ান সিপিএম বিধায়ক।
রাজ্যে পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে দীর্ঘ মিছিলের আয়োজন করেছিল সিপিএম। মিছিলের নেতৃত্ব দেন দলের জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী ও রেজ্জাক। মিছিলের শেষে জনসভা থেকে দলীয় কর্মীদের প্রতি ওই বার্তা দেন রেজ্জাক। ভাঙড়ের কাঁঠালিয়া থেকে কাশীপুর থানা পর্যন্ত এ দিন প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার পথের মিছিলে মহিলাদের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। ভাঙড়-২ ব্লকের তিনটি থানা কেএলসি (কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স), ভাঙড় ও কাশীপুর এলাকা থেকে লরি ও মোটরভ্যানে এসেছিলেন কর্মী-সমর্থকেরা। |
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা এনে রেজ্জাক বলেন, “শুধু খেতে নয়, খেতে ও খামারে দু’জায়গাতেই আমাদের লড়াই করতে হবে!” ‘খেত’ বলতে ভোটের দিন এবং ‘খামার’ বলতে গণনার দিনকে ইঙ্গিত করে পঞ্চায়েতে যাঁরা প্রার্থী হবেন, তাঁদের উদ্দেশে রেজ্জাকের মন্তব্য, “আপনারা ভয় পাবেন না। তিন ধাপে তৃণমূলকে সরাতে হবে। পঞ্চায়েত ভোটে সাহসের সঙ্গে লড়াই করে ভোটে জিততে হবে। তার পর লোকসভা ভোটে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। লোকসভায় জিতলে বিধানসভায় বেগ পেতে হবে না!” পুলিশকেও ফের একহাত নিয়েছেন রেজ্জাক। বিভিন্ন ঘটনায় পুলিশের ভূমিকাকে কটাক্ষ করে তাঁর মন্তব্য, “দিদির কথা অবশ্যই শুনুন। কিন্তু এটা মাথায় রাখবেন, দাদাদের সময়ও আসছে!” রেজ্জাকের অভিযোগ, তাঁদের কিছু লোকজনের পকেটে গাঁজা ভরে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগে ধরপাকড়ের চেষ্টা করছে পুলিশ। সেই জন্য বিভিন্ন থানার আশপাশে গাঁজা মজুত করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে সুজনবাবু বলেন, “তাঁর দ্বিচারিতা ও উস্কানিমূলক কথাবার্তার জন্য এ রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত হতে বসেছে। আর তার সুযোগ নিয়ে স্বার্থান্বেষী কিছু সম্প্রদায় মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। মানুষ সবই উপলব্ধি করতে পারছেন।” |