একের পর উৎসব। সেই সঙ্গেই লেগে থাকে মেলা। তার টানেই ভরা শীতে গ্রাম গঞ্জ থেকে প্রতি বছর দলবদ্ধ বাঁকুড়ার অম্বিকানগর, বৈতাল অথবা পুরুলিয়ার হুড়া বামুনডিহি কিংবা পূর্ব মেদিনীপুরের কাজলগড়, দরিয়াপুর বা পশ্চিম মেদিনীপুরের দশ গ্রামের মতো প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসেন অনেকে। কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী, নবদ্বীপের রাস বা শান্তিপুরের ভাঙা রাসের প্রাঙ্গণে পোশাক, উচ্চারণ এবং আচরণে তাঁদের আলাদা করে চেনাও যায়। বেশিরভাগই পেশায় দিনমজুর। তাদের উপস্থিতিকে উপেক্ষা করার উপায় থাকে না, উদ্যোক্তা থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ী কারওর। তাঁদের আসা-যাওয়ার নিরিখে মাপা হয় এ বারের উৎসব কেমন হল। কেমন ‘লোক’ হয়েছিল বললে বোঝানো হয় বাঁকুড়া-পুরুলিয়া-মেদিনীপুর বা জলপাইগুড়ি-মালদহ থেকে এঁরা কত সংখ্যায় এসেছিলেন। সাধারণ ভাবে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর পর থেকে বেরনোর তোড়জোর শুরু করেন ওই মানুষজন। প্রায় দু’দশক ধরে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বাসিন্দা প্রদীপ হাতি একটা বড়সর দল নিয়ে এ সময়ে বেরিয়ে পরেন। প্রদীপবাবু বলেন, “১৮ জন এসেছিলেন আমার সঙ্গে।” ৮০ থেকে ১০০ টাকা মাথাপিছু। সঙ্গে দশ কেজি চাল। অথবা পাঁচ কেজি ডাল। এই হল খরচা। যাত্রা শুরু ট্রেনে। তার পর বাস, নৌকো, যেখানে যেমন দরকার। প্রদীপবাবু বলেন, “সত্যি কথা সকলের টিকিট কাটি না। আর রিকশা বা ভ্যান চড়ার বিলাসিতার প্রশ্নও ওঠে না। দর্শন যা কিছু হেঁটে হেঁটে। দলের প্রধানের গায়ে চাদর জড়ানো থাকে। হাতে গামছা। কখনও কোমরে জরানো। তিরিশ বা সত্তর দলের লোকসংখ্যা যতজনই হোন। প্রত্যেকের সঙ্গে প্রত্যেকের যোগাযোগ ওই গিট বেঁধেই দলপতির হাতের দিকে নজর রেখে চলতে হয় পথ। নবদ্বীপ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক উত্তমকুমার সাহা বলেন, ‘এই যে দল বেঁধে হাজার হাজার মানুষ আসেন বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। তারা খাওয়া দাওয়া করেন। স্থানীয় বাজারে এটার প্রভাব ফেলে।”
|
ছাত্রী আক্রান্ত বেলডাঙায় |
বৃহস্পতিবার বিকেলে পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে বেলডাঙার আনন্দনগর গ্রামে আক্রান্ত হল এক স্কুল ফেরত তরুণী। অভিযোগ, ওই ছাত্রীর পরিবার অভিযোগ করেছে, প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়েই তার মুখে অ্যাসিড ছুড়ে মেরেছে এক যুবক। তাঁর কাঁধ ও পিঠও পুড়ে গিয়েছে। ওই তরুণীকে বেলডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে ও পরে অবস্থা গুরুতর হলে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বেলডাঙা থানার মানিকনগর উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর ওই ছাত্রী উচ্চমাধ্যমিকের টেস্টের দর্শন পরীক্ষা দিয়ে ফিরছিল। ওই তরুণীর দাদা অনিমেষ হালদার বলেন, ‘‘আমার বোনের সামনের রবিবার বিয়ে। তার দুদিন আগে এই ঘটনা আমার পরিবারের সকলকেই প্রচন্ড সমস্যায় ফেলেছে। আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।” পুলিশ জানায় ওই যুবকের সন্ধান চলছে।
|
গলায় ফাঁস লাগিয়ে সুষমা ঘোষ (২১) নামে নামে এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। বাড়ি চাপড়ার চড়ুইগাছিতে। বুধবার বিকেলে রান্নাঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরেই তিনি মারা গেছেন।
|
লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে রুম্পা ঘোষ (২১) নামে এক মোটরবাইক আরোহীর। বাড়ি শান্তিপুরের বাঘআঁচড়া এলাকায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভাতজাংলার কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ঘটনাটি ঘটে।
|
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে মেঘনাথ বিশ্বাস (৩৯) নামে এক ব্যক্তির। বাড়ি কৃষ্ণনগরের মুড়াগাছায়। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার দুপুরে ওই ব্যক্তি বাঁশ কাটার সময় বিদ্যুতের তারের উপর বাঁশ পড়লে তড়িদাহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
|
অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। নাম অধর মণ্ডল (৩৭)। বাড়ি খড়গ্রামের বালিয়া অঞ্চলে। পুলিশের অনুমান, পরিবারের সঙ্গে ওই ব্যক্তির সঙ্গে বচসা ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। বুধবার তা চরমে উঠেছিল।
|
লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক মোটরবাইক চালকের। নাম সুমন কর্মকার (২৫)। বাড়ি কৃষ্ণগঞ্জের চৌগাছা এলাকায়। জখম হয়েছেন ১ জন শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি। বুধবার বিকেলে কৃষ্ণনগর-মাজদিয়া রাজ্য সড়কের উপরের ঘটনা।
|