|
|
|
|
আতঙ্ক তমলুকে, কারণ নিয়ে ধন্দে পুলিশ |
একই রাতে ৪টি গাড়ি, দোকানঘরে আগুন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
একই রাতে শহরের একাধিক এলাকায় চার-পাঁচটি গাড়ি, একটি দোকানঘর ও বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল তমলুকে।
বুধবার গভীর রাতে পুলিশ সুপারের বাসভবনের কয়েকশো মিটার দূরে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিস চত্বরে থাকা স্বাস্থ্য দফতরের একটি গাড়ি ও দু’টি ট্যাক্সিতে আগুন লাগিয়ে দেয় কে বা কারা। রাতেই শহরের পার্বতীপুর এলাকার একটি ট্যাক্সিতে আগুন লাগানো হয়েছে। এছাড়া শহরের মালিজঙ্গলপল্লিতে একটি মাংসের দোকান ও ইন্দিরা কলোনিতে একটি মেশিন ভ্যান ও সংলগ্ন বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। দমকল ও স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে কোনও রকমে আগুন নেভান। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, রাত দেড়টা থেকে আড়াইটার মধ্যে একদল দুষ্কৃতী মোটর সাইকেলে চেপে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। তবে তার পিছনে কী ‘মতলব’ ছিল, তা পরিষ্কার নয় পুলিশের কাছে। ধন্দে শহরবাসীও। তমলুকের তৃণমূলের শহর সভাপতি দিব্যেন্দু রায় বলেন, “দোষীদের ধরতেই হবে। এসপিকে বলেছি প্রয়োজনে সিআইডিকে দিয়ে তদন্ত করাতে হবে।” বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী থানায় এসে এসপি, পুরপ্রধান ও পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। শুভেন্দু বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য করা হবে।” |
|
সিএমওএইচ অফিস চত্বরে ভস্মীভূত গাড়ি। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক শহরে পুরসভা অফিসের সামনে তমলুক-পাঁশকুড়া সড়কের পাশেই রয়েছে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিস। সেখান থেকে কয়েকশো মিটার দূরে জেলা পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত জেলা শাসকের বাসভবন ও জেলা আদালত চত্বর। পাশেই রয়েছে তমলুক-পাঁশকুড়া বাসস্ট্যান্ড। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিস চত্বরের চারদিক পাকা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। সামনের দিকে প্রবেশপথে লোহার গেট রয়েছে। পিছনের দিকেও একটি লোহার গেট-সহ ছোট প্রবেশপথ রয়েছে। ওই অফিস চত্বরে স্বাস্থ্য দফতরের একাধিক গাড়ি ছাড়াও স্থানীয় দু’জনের ট্যাক্সি থাকে। বুধবার গভীর রাতে তমলুক থানার ঠহলদারি পুলিশ দেখতে পায়, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিস চত্বরে একাধিক গাড়িতে আগুন জ্বলছে। খবর পেয়েই তমলুক দমকলকেন্দ্রের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভায়। দু’টি ট্যাক্সিই ভস্মীভুত হয়েছে। ট্যাক্সির মালিক সুব্রত অধিকারী, রাজীব খান বলেন, ‘‘অন্য দিনের মতোই বুধবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ অফিস চত্বরে গাড়ি রেখে গিয়েছিলাম। ভোরবেলা খবর পাই আমাদের গাড়িতে কেউ আগুন লাগিয়েছে। এসে দেখি দু’টি গাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।” তাঁদের মতে, “পরিকল্পিত ভাবে দুষ্কৃতীরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। দোষীদের গ্রেফতার করে শাস্তি না দেওয়া পর্যন্ত শান্তি নেই।”পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুকেশ কুমার জৈন বলেন, ‘‘মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিস চত্বর-সহ শহরের দু’কিলোমিটারের মধ্যে একাধিক জায়গায় আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য তদন্ত চালানো হচ্ছে।” |
|
পুড়ল মাংস দোকানও। |
এই রাতেই তমলুক শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ডিমারি বাজারে একাধিক দোকানে চুরির হয়েছে। তবে, দু’টি ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র নেই বলে মনে করছে পুলিশ।
|
—নিজস্ব চিত্র। |
|
|
|
|
|