টুকরো খবর
পরীক্ষার সময় মাইক, বিতর্ক
স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার সময়ে মাইক বাজিয়ে সভা করার অভিযোগ উঠল। আরএসপির সরকারি কর্মচারী সংগঠন জয়েন্ট কাউন্সিলের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার দুপুরে বালুরঘাটের কাছারি রোডের অফিস পাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ পেয়ে বালুরঘাটের মহকুমাশাসক প্রতিমা দাস স্কুলের সামনে থাকা কয়েকটি মাইক খুলিয়ে দেন। মহকুমাশাসক প্রতিমাদেবী বলেন, “ওই সভায় মাইক বাজানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে অভিযোগ পেয়ে মাইক খোলা হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখব।” জয়েন্ট কাউন্সিল অব গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন ও ইউনিয়ানের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কমিটির ডাকে এদিন জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে রাস্তার পাশে মঞ্চ বেঁধে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। সভাস্থলের কাছে জেলাশাসকের দফতর, মহকুমাশাসকের দফতর, থানা সহ নানা সরকারি অফিস ও পাশেই বালুরঘাট গার্লস হাইস্কুল এবং বালুরঘাট হাইস্কুল সে সময় দুটি স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের কান ঝালাপালা হয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। সরব হন অভিভাবকেরা। জয়েন্ট কাউন্সিলের জেলা সম্পাদক কনক রায় বলেন, “মহকুমাশাসকের কাছে মাইকের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। তিনি উত্তর দেননি। মৌনতাই সম্মতির লক্ষণ ভেবে মাইক ব্যবহার করি। মহকুমাশাসকের আপত্তির পর মাইক খুলে সাউন্ড বক্স দিয়ে সভা হয়।”

গাছ কেটে সৌন্দর্যায়নে অভিযুক্ত পুরসভা

সৌন্দর্যায়নে কাটা হয়েছে গাছ। তা নিয়েই বিতর্ক ধূপগুড়িতে। ছবি: রাজকুমার মোদক।
শ্মশানঘাটের সৌন্দর্যায়ন করতে নিয়মের তোয়াক্কা না করে ২৭ টি কেটে ফেলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত ধূপগুড়ি পুরসভার বিরুদ্ধে। এই ঘটনা মানতে পারছেন না পরিবেশপ্রেমী সহ শহরের বহু বাসিন্দা। গাছ কেটে শ্মশানের এমন কী সৌন্দর্যায়ন করা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দাদের অনেকেই। ওই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বন দফতর। কেন তাদের অনুমতির বাইরে বেশি গাছ কাটা হল তা নিয়ে তদন্ত করার জন্য দফতরের এক রেঞ্জ অফিসারকে দেখার নির্দেশ দেন জলপাইগুড়ির ডিএফও বিদ্যুৎ সরকার। পুরসভা সূত্রে জানা যায়, কুমলাই নদীর পাড় বাঁধানো সহ বাঁধের পাশে যাতে লোকজনের বসার ব্যবস্থা করতে ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। নদীর পাড় বরাবর ৩০টি গামারি, ডুমুর গাছ রয়েছে। বাঁধ তৈরি করতে হলে ছটি গাছ কাটা প্রয়োজন বলে পুরসভা বন দফতরের কাছে অনুমতি চায়। অনুমতিপত্র হাতে আসার আগে সম্প্রতি তারা ২৭টি গাছ কেটে ফেলে বলে অভিযোগ। পুরসভার চেয়ারম্যান শৈলেন চন্দ্র রায় অভিযোগ মেনে নেন। তাঁর যুক্তি, “নির্দিষ্ট গাছগুলি কাটা হয়। কিন্তু, কয়েকটি গাছ হেলে পড়ে। সে জন্য সেগুলি কাটা হয়। উন্নয়নের জন্যই কয়েকটি গাছ কাটা হয়েছে।”

কুনকি হাতির আছাড়ে মৃত্যু
কান ধরে বসার নির্দেশ দেওয়ার পরে খেপে গিয়ে পাতাওয়ালার আত্মীয়কে আছড়ে মারল কুনকি হাতি। ‘রঙ্গিনী’। বৃহস্পতিবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে জলদাপাড়া লাগোয়া উত্তর ছেকামারি গ্রামে। বন দফতরে সূত্রে জানা যায়, মৃতের নাম ভাদে খড়িয়া (৪২)। পেশায় দিনমজুরের কাজ করতেন। বাড়ি জলদাপাড়া বনাঞ্চলে। বন দফতর সূত্রের খবর, রঙ্গিনী হাতিটি উত্তর রেঞ্জে বন পাহারার কাজ করে। এ দিন সকালবেলা সে কর্মীদের পিঠে বসিয়ে জঙ্গলে টহল দেয়। দুপুরবেলা জলদাপাড়া থেকে দু’কিমি দূরে কলা গাছ সংগ্রহে তাঁকে উত্তর ছেকামারি গ্রামে নিয়ে যায় পাতাওয়ালা। গ্রামের মাঠে রঙ্গিনীর দু’পায়ে লোহার বেড়ি পড়িয়ে পাতাওয়ালা রমেশ খড়িয়া আশেপাশে কলাগাছ কাটতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সে সময় পাতাওয়ালার মতোই তার ভাই ভাদে হাতিটির কান ধরে বইঠ বলে নির্দেশ দিতে থাকেন। আচমকা খেপে গিয়ে কুনকি ভাদেকে শুড়ে পেঁচিয়ে আছড়ে মারে। ভাদের বুকে দাঁত গেঁথে দেয়। মাদারিহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। কোচবিহার ডিএফও রাজেন্দ্র জাখর মাদি হাতিটি ক্ষিপ্ত হয়ে যাবার ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত খোঁজ করছেন।

দুই বলদের লড়াই থামাতে গিয়ে মৃত্যু
দুই বলদের লড়াই থামাতে গিয়ে শিঙের গুঁতোয় মৃত্যু হল এক কিশোরের। মৃতের নাম দীপক মাহাতো (১৫)। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বরাবাজার থানার পাঁজনবেড়া গ্রামে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে পুরুলিয়া সদর

দীপক মাহাতো
হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে মৃত বলে জানান। পুরুলিয়া মফস্সল থানার বেলগুমার বাসিন্দা দীপক ছোট থেকেই মামারবাড়ি পাঁজনগোড়ায় থাকত। আড়শা থানার পুয়াড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সে নবম শ্রেণীতে পড়ত। এখন স্কুলে তার বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিনও স্কুলে পরীক্ষা ছিল। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরেই সে দেখে মামাদেরর দু’টি বলদের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। উঠোনে পড়ে থাকা একটি লাঠি নিয়ে সে লড়াই থামাতে গেলে, একটি বলদ শিঙ পাকিয়ে দীপকের দিকে তেড়ে যায়। শিঙ দিয়ে তার পেটে গুঁতো মারে। পড়শি নাড়ু মাহাতোর কথায়, “বলদটা শিঙ গিয়ে দীপককে পাশের একটি গাছে ঠেসে ধরেছিল। বলদটা ছেড়ে দিতেই দীপক পালাতে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।” দীপকের বাবা পেশায় কারখানার শ্রমিক সন্তোষ মাহাতো বলেন, “ছেলেটা এমন ভাবে বেঘোরে মারা যাবে ভাবতে পারছি না।”

হাতি মৃত্যু ঠেকাতে উদ্যোগী বনমন্ত্রী
হাতির মৃত্যু ঠেকাতে রেল ও বন দফতরের সমন্বয় কমিটির কাজ জোরদার করা হবে বলে জানালেন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে কোচবিহার ফেরার পথে শিলিগুড়িতে ওই কথা বলেন বনমন্ত্রী। সম্প্রতি সেবকের দশমাইলে ট্রেনের ধাক্কায় একটি হস্তিশাবকের মৃত্যু হয়। তার পরেই ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে দুই দফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পরিবেশপ্রেমীরা। মন্ত্রী বলেন, “হাতি মৃত্যু ঠেকাতে সমণ্বয় কমিটি কাজ করছে। তা আরও জোরদার করতে হবে।’’ নিউ জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ার ডবল লাইন চালু করার ব্যাপারেও তিনি দাবি জানান। ওই লাইন হলে ডুয়ার্সের চাপ কমবে বলে বনমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। এ ছাড়া মহানন্দা অভয়ারণ্যে দ্রুত কার সাফারি চালু করা হবে তিনি জানান।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.