‘ভাইরাস’-এর সংক্রমণে এক লাফে মাইনে বেড়ে গিয়েছে হাই স্কুলের শিক্ষকদের একাংশের! উল্টোও হয়েছে। কারও মাইনে অর্ধেকের কম হয়ে গিয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলায় এমনই ঘটনা ঘটেছে। সোম ও মঙ্গলবার ব্যাঙ্কে মাইনে তুলতে গিয়ে তাই কেউ বিস্মিত। কেউ বিমর্ষ। সব মিলিয়ে ২৫টি স্কুলে অন্তত ২০০ জন শিক্ষকের মাইনের অঙ্কে গোলযোগ ধরা পড়েছে। জেলা শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করা হয়েছে। ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের কম্পিউটারের সফট্ওয়ারে ভাইরাসের সংক্রমণের ফলেই এমন ঘটেছে। ব্যাঙ্ক সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেল থেকেই ভুল শুধরে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার জলপাইগুড়ি শাখার ম্যানেজার স্বপন রায় বলেন, “সমস্যা হয়েছিল। সমাধান হয়ে গিয়েছে। যে সব আকাউন্টে বেশি টাকা জমা পড়েছিল, সেখান থেকে তা তুলে নেওয়া হচ্ছে। যাঁরা কম মাইনে পেয়েছেন তাঁদের অ্যাকাউন্টে তা জমা করে দেওয়া হচ্ছে।” জলপাইগুড়ির ফণীন্দ্রদেব ইস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক সুজন সোমরায়ের কথা ধরা যাক। তিনি ব্যাঙ্কে গিয়ে দেখেন, মোট বেতনের থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকা কম জমা পড়েছে। একইরকম ভাবে আনন্দ মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৈকত ঘোষ দেখেন, তাঁর অ্যাকাউন্টে মাত্র ৮ হাজার টাকা জমা পড়েছে, যা কিনা তাঁর স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর বেতন থেকেও অনেকটাই কম। সোমবার ব্যাঙ্কে গিয়ে শহরের আরেক শিক্ষক মানস ভট্টাচার্য জানতে পারেন, নভেম্বর মাসের বেতন বাবদ কোনও টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে জমা পড়েনি। ফণীন্দ্রদেব ইস্টিটিউশনের আরেক শিক্ষক বেতন তুলতে গিয়ে রীতিমতো বিস্মিত হন। তিনি দেখেন, নভেম্বর মাসের বেতন বাবদ তাঁর অ্যাকাউন্টে লাখখানেক টাকা জমা হয়েছে। যা তাঁর বেতন থেকে প্রায় তিন গুণ বেশি। স্কুলের তরফে ব্যাঙ্কে জানানো হলে ভুল চিহ্নিত করে শোধরানো হয়। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ শাসক দলের শিক্ষক সংগঠন তৃণমূল শিক্ষা সেল। জলপাইগুড়ি জেলায় সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অমিত সাহা বলেন, “শিক্ষকদের মাস পয়লায় বেতন দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। এর পরেও জলপাইগুড়ি জেলায় শিক্ষকদের বেতন পেতে ৩-৪ তারিখ হয়ে যাচ্ছে। বারবার ভুল হলে তা দুর্ভাগ্যজনক। এর পেছনে রাজ্য সরকারকে হেয় করার চক্রান্ত রয়েছে কি না তা দেখা দরকার।”
|
মদ্যপানের কারণ
সংবাদসংস্থা • লন্ডন |
এ কথা বোধ হয় সবাই জানে যে, মদ্যপান করলে মস্তিষ্কে খুশির আমেজ আসে। কিন্তু এই কথা কি জানেন যে, এই অনুভুতির পিছনেও কোনও জিনের কারিকুরি আছে। এই জিন আবিষ্কার করেছেন বলে দাবি লন্ডনের কিংস কলেজের এক দল গবেষকের। জিনটির নাম আরএএসজিআরএফ-২। যাঁদের শরীরে এই জিন বেশি থাকে, তাঁরাই মদ্যপান ও মাদকের প্রতি বেশি নেশাগ্রস্ত হয় বলে জানা গিয়েছে গবেষণায়। তবে এই জিন কী ভাবে কাজ করে তা এখনও অজানা গবেষকদের। |