লোবার জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী |
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’-এ নামল শাসক দল তৃণমূল। এক দিকে মুখ্যমন্ত্রীর জঙ্গলমহল সফর, অন্য দিকে দুবরাজপুরের লোবা গ্রামে তৃণমূলের সভা — এই দু’টি ঘটনা থেকে রাজনীতির কারবারিরা অন্তত তাই মনে করছেন। বীরভূমের লোবা এবং নদিয়ার তেহট্টে পুলিশের গুলিচালনা সরকারের পাশাপাশি দলকেও যথেষ্ট ‘অস্বস্তি’-তে ফেলেছে। এ বার ‘ক্ষুব্ধ’ লোবার গ্রামবাসীদের ‘ক্ষতে’ প্রলেপ দিতে উদ্যোগী হয়েছেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের সামগ্রিক ভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মুকুল রায়। গত নভেম্বর মাসের ৬ তারিখে লোবা গ্রামে পুলিশের ‘গুলিচালনার’ পর তৃণমূলের কোনও শীর্ষ নেতা সেখানে যাননি। মুকুলবাবুর নির্দেশে আজ বিকেলে সেখানে জরুরি ভিত্তিতে কৃষিরক্ষা কমিটির মঞ্চের পাশেই মঞ্চ বেঁধে সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৃণমূল।
দুপুর অবধি জল্পনা ছিল লোবার সভায় উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জঙ্গলমহলে মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী সাংসদ মুকুল রায়। সেই জল্পনাকে সত্যি করে তিনি ওন্দার সভা শেষ করে লোবায় পৌঁছন বিকেলবেলা। ওন্দায় সভা চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বাম শাসনকালে পশ্চিমবঙ্গ অনেক কিছুতেই পিছিয়ে ছিল। আজ অনেক ক্ষেত্রেই এক, দুই বা তিন নম্বরে উঠে এসেছে। লোবাতেও সেই একই সুরে বিঁধেছেন বর্তমান বিরোধী দলকে। তিনি আরও বলেছেন, ‘‘এই সরকার সিপিএমের সরকার নয়, এই সরকার জোর করে আপনাদের জমি নেবে না। আপনাদের জমি, আপনারা তা নিয়ে কি করবেন তা আপনারাই ঠিক করবেন।’’ কিন্তু জমি সেখানে আগেই অধিগৃহীত হয়ে রয়েছে। মূলত আন্দোলন হয়েছিল গ্রামবাসীদের কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসন নিয়ে। সে বিষয় নিয়ে যদিও তিনি কিছু বলেননি। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত গ্রামবাসীদের মাথাপিছু ২৫ হাজার টাকা করে সাহায্যও দিয়েছেন। দলীয় কোন্দলে জর্জরিত বীরভূম জেলা তৃণমূলের কাছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে লোবা গ্রামে তাঁর এই উপস্থিতি কতটা ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করতে পারে সেটাই এখন দেখার। |
বাঁকুড়া শহরে কংগ্রেসের প্রতিবাদ মিছিল |
বাঁকুড়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জঙ্গলমহল সফরের দ্বিতীয় দিনের সূচনা খূব একটা স্বস্তিদায়ক হল না। সভা শুরু হওয়ার আগেই সকালবেলা একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করে জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। বাঁকুড়ার মাচানতলা থেকে এই মিছিল বার হয়। তবে মাঝ পথেই পুলিশ এই মিছিল আটকে দেয়। |