টুকরো খবর
সিপিআই প্রার্থীকে মার, অভিযুক্ত তৃণমূল
একটি স্কুল নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে ঘিরে আরামবাগে শনিবার এক সিপিআই প্রার্থীকে মারধর এবং ওই দলেরই এক নেতার বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।আগামী ৯ ডিসেম্বর রামনগর অবিনাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন হওয়ার কথা। শনিবার ছিল মনোনয়নপত্র তোলা এবং জমা দেওয়ার দিন। সিপিআইয়ের অভিযোগ, মনোনয়ন জমা না দেওয়ার জন্য শুক্রবার রাত থেকে দলীয় প্রার্থীদের হুমকি দিচ্ছিল তৃণমূল সমর্থকেরা। শনিবার দুই প্রার্থীকে তারা বাড়ি থেকে বেরোতে দেয়নি। শেখ জব্বার নামে এক প্রার্থীকে স্কুলের সামনে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারা হয়। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সিপিআইয়ের হুগলি জেলা কমিটির সদস্য, ওই এলাকারই বাসিন্দা রঘুপতি বাড়ুইয়ের বাড়ি স্কুলের কাছেই। তাঁর অভিযোগ, “আমাদের মাত্র তিন জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে পেরেছেন। এক জনকে ওরা বেধড়ক মেরেছে। কর্মী-সমর্থকেরা আমার বাড়িতে ঢুকে পড়লে ওরা দরজা ভাঙে। বাড়িতে ইট ছোড়ে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামলায়।” তৃণমূলের বিরুদ্ধে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি-ও। তৃণমূলের সালেপুর-১ অঞ্চল সভাপতি সুফল চানক বলেন, “সিপিআইয়ের উপরে হামলার ঘটনার সঙ্গে আমাদের কেউ যুক্ত নয়। ওদের প্রার্থী নিয়ে আপত্তি থাকায় গ্রামবাসীরাই হামলা চালান। মনোনয়ন জমা দিতে কাউকে বাধা দেওয়া হয়নি।”

ভাঙড়ে প্রহৃত ৪ সিপিএম কর্মী
চার সিপিএম কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে ভাঙড়ের শাঁকশহর বাজারে সভা করে তৃণমূল। তার জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা মিছিল করে আসছিলেন। দুর্গাপুর এলাকায় চার দলীয় কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাত্তার মোল্লা। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই তৃণমূল এ দিন বোমাবাজিও করে।” আহত সিপিএম কর্মীদের স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। সভা থেকে ফেরার সময়ও তৃণমূল কর্মীরা স্থানীয় সোন্দালিয়ায় সিপিএমের একটি শাখা অফিস ও বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে সিপিএম নেতৃত্ব। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় রাত পর্যন্ত থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ভাঙড়ের বাসিন্দা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য মীর তাহের দাবি করেন, “ওই ঘটনায় আমাদের দলের কেউ জড়িত নন।” দিন কয়েক আগে শাঁকশহর বাজারেই সভা করেছিল সিপিএম। এ দিন তৃণমূল তারই পাল্টা সভা করে। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সংখ্যালঘু দফতরের প্রতিমন্ত্রী গিয়াসুদ্দিন মোল্লা এবং জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা সাংসদ চৌধুরীমোহন জাটুয়া।

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু বাবা-মেয়ের
জলের পাম্প চালাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় মেয়ে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে একই পরিণতি হল বাবারও। দু’জনের কেউই বাঁচলেন না। পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার পরে ক্যানিংয়ের উত্তর অঙ্গদবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা পলাশ নস্কর (৩৫) নামে ওই ব্যক্তি ও তাঁর মেয়ে রিয়াকে (১২) আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে পড়শিরা ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন। দেহ দু’টি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।

দেহ উদ্ধার
কুলপির একতারা গ্রাম থেকে শনিবার নিমাই হালদার (৪০) নামে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। তাঁর বাড়ি ডায়মন্ড হারবারের নিউটাউনে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.