অবশেষে ফ্লোরেঞ্জ ইস্পাত কারখানা নিয়ে ঐকমত্য হল ফরাসি সরকার ও লক্ষ্মী মিত্তলের সংস্থা আর্সেলরমিত্তলের মধ্যে। নতুন করে ১৮ কোটি ইউরো (১২৬০ কোটি টাকা) লগ্নি ও কোনও কর্মীকে ছাঁটাই না-করার শর্তেই কারখানাটি মিত্তলের হাতে রাখার ব্যাপারে সায় দিল সরকার।এর ফলে কারখানাটি সরকার অধিগ্রহণ করবে বলে সম্প্রতি যে-ইঙ্গিত দিয়েছিল, তা থেকে সরে এল। দু’টি ব্লাস্ট ফার্নেস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন মিত্তলও। অলাভজনক বলে তিনি ওই দু’টি ব্লাস্ট ফার্নেস (কর্মী সংখ্যা ৬৫০) বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তার জন্য ক্রেতা খোঁজার সময়সীমাও শেষ হয় শুক্রবার। এর পরেই মিত্তলের নয়া প্রতিশ্রুতির পরিপ্রেক্ষিতে ফরাসি প্রধানমন্ত্রী জাঁ-মার্ক এরল্ট জানান, কারখানার দায়িত্ব মিত্তলের হাতেই রাখার পক্ষে তাঁরা। বিশ্বের বৃহত্তম ইস্পাত সংস্থা আর্সেলরমিত্তলের কর্ণধার অনাবাসী ভারতীয় শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তলের ফ্লোরেঞ্জ কারখানা নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল ফ্রান্সের। অভিযোগ ছিল, মিত্তল ফ্রান্সের উন্নয়নে যথেষ্ট দায়বদ্ধ নন। শেষ পর্যন্ত নয়া লগ্নি ও ২৭০০ কর্মীর কাউকে ছাঁটাই না-করার প্রতিশ্রুতিতেই সন্ধি হয় দু’পক্ষের।
|
উৎসবের মরসুমের মিশ্র প্রভাব দেখা গেল নভেম্বরে গাড়ি বিক্রির পরিসংখ্যানে। এই সময়ে বিক্রি বাড়াল মারুতি-সুজুকি, মহীন্দ্রা অ্যান্ড মহীন্দ্রা। তবে টাটা মোটরস, হুন্ডাই ইত্যাদি সংস্থার বিক্রি কমেছে। চড়া সুদ, মূল্যবৃদ্ধি ও জ্বালানির দাম বাড়া এই তিন কারণে বিক্রি বৃদ্ধি বছরের অনেকটা সময় জুড়ে কমেছিল। ফলে উৎসবের মরসুমকেই পাখির চোখ করে সংস্থাগুলি। শেষ পর্যন্ত অক্টোবরে তা বাড়লেও, নভেম্বরে ফের বৃদ্ধি ধাক্কা খেল। নভেম্বরে দেশে মারুতি- সুজুকির বিক্রি বৃদ্ধির হার ৯.৬৭%। বিক্রি হয়েছে ৯০,৮৮২টি গাড়ি। মহীন্দ্রার যাত্রী গাড়ি বিক্রিও ৩৮.১২% বেড়ে হয়েছে ২৪,৬০৪টি। হোন্ডা কারস ইন্ডিয়ার বিক্রিও বেড়েছে ৮৭%। অন্য দিকে, টাটা মোটরসের যাত্রী গাড়ির বিক্রি প্রায় ৩৫% কমে হয়েছে ১৮,০৩১টি। আর হুন্ডাইয়ের ক্ষেত্রে তা ৩৫ হাজার থেকে কমে হয়েছে ৩৪,৭৫১টি। একটি কারখানা বন্ধ থাকায় বিক্রি কমেছে টয়োটা কির্লোস্করের। বিক্রি ২৮.৫৭% কমেছে ফোর্ডেরও। দ্বিচক্রযানের ক্ষেত্রেও নভেম্বরে মিশ্র ফল দেখেছে সংস্থাগুলি। ইন্ডিয়া ইয়ামাহা, হোন্ডা মোটরসাইকেল এবং সুজুকি মোটরসাইকেলের বিক্রি বেড়েছে। অন্য দিকে, বিক্রি কমেছে হিরো মোটো কর্প এবং টিভিএস মোটরসের।
|
গৃহ এবং শিক্ষা ঋণে সুদ কমাল ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক। ৭৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণে বেস রেট ১০.৫০% হারে সুদ নেবে ব্যাঙ্ক। ৭৫ লক্ষ থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণে তা ১০.৭৫%। আর ৭.৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত শিক্ষাঋণে নয়া সুদ ১২.৭৫% ও ৭.৫০ লক্ষ টাকার উপরে ১২.৫০%। ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ‘প্রসেসিং চার্জ’-ও মকুব করেছে ব্যাঙ্ক। |