|
|
|
|
সংস্কৃতি যেখানে যেমন |
|
নির্বাক নাটক |
জলপাইগুড়ি সৃষ্টি মাইম থিয়েটারের প্রযোজনায় ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ নির্বাক নাটক অভিনীত হল ২৫ নভেম্বর। জলপাইগুড়ি শহরের রবীন্দ্র ভবন মঞ্চে পরিবেশিত ওই নাটকের নির্দেশক ছিলেন সব্যসাচী দত্ত। রূপাই ও সাজুর গ্রাম্য জীবনের খুঁটিনাটি, প্রেমগাঁথা নকশী কাঁথায় ফুটিয়ে তুলতে নির্দেশক সাহায্য নিয়েছেন উত্তর বাংলার লোকসঙ্গীত, বাঁশি, দোতারার। নাটকের প্রয়োজনে কখনও মূকাভিনয়ের চিরাচরিত অঙ্গসঞ্চালনের মাধ্যমে, কখনও লোকনৃত্য বা নির্বাক অভিনয়ের মাধ্যমে নাটকের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। প্রোজেক্টারের মাধ্যমে সাইক্লোরামায় ফুটে উঠেছে সোনালি ধানের ক্ষেত। মুখ্যচরিত্র রূপাই ও সাজুর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন দুর্বার শর্মা এবং রুজিনা লামা। অন্য ভূমিকায় ছিলেন জবা শর্মা, প্রিয়াঙ্কা সাহা, শতরূপা দাস, আলিশা ঈশ্বরারী, অর্পিতা দে, প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল, নবমিতা সরকার, দীপঙ্কর মণ্ডল, জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়, অঙ্কুর বিশ্বাস, অশোক সরকার, রঞ্জন মন্ডল, দীপঙ্কর রজক, অরিত মাহাত। আবহ নির্মাণে ছিলেন চৈতন্য দেবরায়, গোবিন্দ বাড়ই, প্রধান রায়, বাপি দাস ও বিশ্বজিৎ রায়। মঞ্চ সামগ্রী তৈরি করেছেন রুমা দত্ত ও আইভি সরকার। সাজসজ্জায় ছিলেন সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আলোয় সুজিত সাহা। নির্দেশককে পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করেছেন শিক্ষাগুরু পদ্মশ্রী নিরঞ্জন গোস্বামী এবং উত্তরবঙ্গের লোকসংস্কৃতি গবেষক উমেশ শর্মা।
|
প্রতিযোগিতা |
শীত জাঁকিয়ে বসতে বাংলা একাঙ্ক এবং অণু-নাটক প্রতিযোগিতার আসর বসছে ময়নাগুড়ি ফুটবল ময়দানে। আয়োজক স্থানীয় অ্যাথলেটিক ক্লাব। প্রতিযোগিতা শুরু ৫ ডিসেম্বর। চলবে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রয়াত যতীন্দ্রনাথ দাস ও প্রভাবতী দাসের স্মৃতিতে আয়োজিত উৎসবে পরিবেশিত হবে নাটক ফিঙ্গার প্রিন্ট, ভৌতিক, দায়, গঙ্গাস্নান, একালের যুদ্ধ, ঈশ্বর কাহিনি, নিরস্ত্র, কালচক্র, উদ্বৃত্ত, মৃত্যু উপত্যকা, পড়ে যাওয়া চোদ্দ আনা, অরণ্য গভীর, বোধোদয় এবং ছাঁচ ভাঙার গান। ১১ ডিসেম্বর নাটক পরিবেশন করবে ওপার বাংলার থিয়েটার স্কুল প্রাক্তনী, ঢাকা দল। তাঁদের নাটক ‘গডো-র প্রতীক্ষায়’। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে কোচবিহারের থিয়েটার কোলাজ, জলপাইগুড়ির ইচ্ছেডানা, রূপায়ণ, চুঁচুড়ার বৈশাখী সাংস্কৃতিক সংস্থা, দমদমের স্বপ্নিল, চন্দননগরের থিয়েটার চন্দননগর, নৈহাটির বঙ্কিম স্মৃতি সঙ্ঘ, হাওড়ার নাট্যজন, মহিষাদলের শিল্পকৃতি সংস্থা।
|
স্মরণসভা |
পরিতোষ দত্তের স্মরণসভার আয়োজন করেছিল গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সঙ্ঘ, জলপাইগুড়ি শাখা। অসহযোগ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন পরিতোষবাবু। ওয়েস্টবেঙ্গল টি ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন-এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান পরিতোষ দত্ত তাঁর বর্ণময় কর্মজীবনে আব্বাসউদ্দিন স্মারক সমিতিক সম্পাদক, চা বিশেষজ্ঞ, গবেষক-লেখক, জলপাইগুড়ি গণনাট্য সঙ্ঘের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং লোক-সংস্কৃতি বিশেষজ্ঞ হিসাবে পরিচিত ছিলেন। স্মরণসভাক শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন আয়োজক সংস্থার জেলা সম্পাদক সুশান্ত নিয়োগী। বক্তব্য রাখেন মানিক সান্যাল, কল্যাণ দে, বিমলেন্দু মজুমদার, শুভাশিস রায়, ভগীরথ দে প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন দুর্গা রায় এবং মনিদীপা নন্দী বিশ্বাস। |
|
|
|
|
|