|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৪... |
|
নামেও আসে যায় ব্যাখ্যার |
বইপোকা |
গ্রন্থপাঠ সর্বদা শুরু হইতেই শুরু করিতে হইবে কে বলিল? অনেক সময় শেষ হইতে দু-একটি পৃষ্ঠা টিপিয়া দেখিলে গ্রন্থ সম্পর্কে ধারণা করা, তাহা পড়িব কি পড়িব না সেই সিদ্ধান্ত লওয়া সহজতর হয়। সেই ভাবেই উল্টাইতেছিলাম সব্যসাচী ভট্টাচার্যের রবীন্দ্রনাথ টেগোর: অ্যান ইন্টারপ্রিটেশন (পেঙ্গুইন/ভাইকিং)। নির্ঘণ্টে আসিয়া চমক জাগিল। ‘রোগশয্যা’ নামে রবীন্দ্রনাথের কোনও কাব্যগ্রন্থ আছে নাকি? নির্দেশানুসারে ভিতরে দুই দুইটি পৃষ্ঠা খুলিয়া দেখা গেল স্পষ্ট মুদ্রিত Rogsajya (‘Sick Bed’, 1940). বন্ধনীমধ্যে নামের অনুবাদটি বুঝাইল রোগশয্যায় কাব্যগ্রন্থের নামে এই প্রমাদ নিছক মুদ্রণজনিত নহে। অতঃপর নির্ঘণ্টে রবীন্দ্রগ্রন্থ ও রচনার নামে এমনতর যাহা যাহা চক্ষুগোচর হইল বন্ধনীমধ্যে যথার্থ নামটি-সহ তাহা বলি: জীবন স্মৃতি (জীবনস্মৃতি), ছেলে বেলা (ছেলেবেলা), আত্ম-শক্তি (আত্মশক্তি), লোক-সাহিত্য (লোকসাহিত্য), নৌকা-ডুবি (নৌকাডুবি), অরূপ রতন (অরূপরতন), ভানু সিংহের পদাবলী (ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী), সন্ধ্যা সঙ্গীত (সন্ধ্যাসঙ্গীত), শিক্ষার হের-ফের (‘শিক্ষার হেরফের’), চরিত্র পূজা (চারিত্রপূজা)। হাইফেন কিংবা স্পেসও যে যথেষ্ট অর্থবহ, তাহাও যে ‘ইন্টারপ্রিটেশন’ বদলাইয়া দিতে পারে সেই সত্যটি মনে রাখিয়া পরবর্তী সংস্করণে এই সকল সংশোধিত হইবে, আশা করিব। আর একটি কথা, সম্ভব হইলে অন্তত গ্রন্থনামে ডায়াক্রিটিকাল মার্ক ব্যবহার করা উচিত। তাহা না থাকায় অনভিজ্ঞ কেহ Charitra Puja-কে ‘চরিত্র পূজা’ পড়িবেন। গ্রন্থনামটি চারিত্রপূজা। রবীন্দ্রনাথ যে চরিত্রের নহে, চারিত্র্যের পূজা করেন এই বোধটি তাঁহার ব্যাখ্যায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। |
|
|
|
|
|