ধর্ষণ, এমএমএসের অভিযোগে ধৃত ৩
শম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং মোবাইলে সেই দৃশ্য তুলে এমএমএস ছড়ানোর অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বাঁকুড়ার খাতড়া শহরের ঘটনা। পুলিশের দাবি, ধৃতদের মধ্যে দু’জন ধর্ষণের ঘটনায় যুক্ত এবং অন্য জন এমএমএস পাঠাতে সাহায্য করেছেন।
ধৃতদের মধ্যে বছর চব্বিশের দীপকুমার মণ্ডলের বাড়ি খাতড়া শহরের বিদ্যাসাগরপল্লিতে। তিনি বিদ্যুৎ দফতরের অস্থায়ী কর্মী। অন্য ধৃত, হিড়বাঁধের ভোজদা গ্রামের বাসিন্দা দুলাল রায়ের একটি মোবাইল দোকান রয়েছে খাতড়ার সিআই অফিসের পাশে। স্থানীয় স্কুলের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রও এই ঘটনায় ধরা পড়েছে। শুক্রবার ধৃতদের খাতড়া আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক স্কুলছাত্রটিকে অন্তবর্তী জামিন দেন। তবে, দীপকুমার ও দুলালকে তিন দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার মুকেশকুমার বলেন, “ধৃতদের কাছ থেকে দু’টি মোবাইল বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। ওই কাণ্ডে আরও কেউ যুক্ত কি না, তা-ও দেখা হচ্ছে।”
পুলিশ সূত্রের খবর, খাতড়া শহরের বাসিন্দা এক স্কুলশিক্ষকের কিশোরী মেয়ের নগ্ন ও তাকে ধর্ষণের ছবি কয়েক দিন ধরেই মোবাইল থেকে মোবাইলে ছড়িয়েছিল। যদিও ঘটনাটি মাসখানেক আগের বলে মেয়েটির পরিবার জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষক খাতড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ তিন জনকে ধরে। এ দিন ধৃতদের এবং মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। ধৃত স্কুলছাত্রের মা অবশ্য দাবি করেছেন, “আমার ছেলে নাবালক। বছর দুয়েক আগে ওই মেয়েটির সঙ্গে আমার ছেলের সম্পর্ক ছিল। ছেলেকে মিথ্যা অভিযোগ করে ফাঁসানো হয়েছে।” ধৃত দুলালের দাদা বলেন, “ভাই ব্যবসা করে। ওই ঘটনায় ভাইয়ের কোনও দোষ নেই।” আর এক অভিযুক্ত দীপকুমারের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.