শনিবারের নিবন্ধ
অফিস থেকে দৌড়েও সুন্দরী
গ্রহায়ণ এলেই চারিদিকে সানাইয়ের শব্দ। কিন্তু খুশির বদলে বুক কেঁপে ওঠে সুতপার। আবার সেই হুটোপাটি করে অফিস থেকে নেমন্তন্ন রক্ষা করতে যাওয়ার ফ্যাসাদ। বিয়ের কার্ডগুলো দেখতে দেখতে এ কথাই মনে হয় সুতপার। সব ক’টা বিয়েই অফিসের দিনে। তার মানেই হাজার ঝক্কি। সেই সাজগোজের বিশাল সাজসরঞ্জাম টেনে নিয়ে যেতে হবে অফিসে। কাজের মধ্যেই সেরে নিতে হবে মেক আপ-পোশাক পাল্টানো! শুধু সুতপা নয় অফিসের দিন বিয়েবাড়ি থাকলে ফাঁপরে পড়েন সব মহিলাই।

সমস্যাগুলো কী কী
১) অনেক সময়ই অফিসে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ওয়াশ রুম পাওয়া যায় না।
২) বাথরুমে যদি বড় জায়গা না থাকে শাড়ি বদল করতে অসুবিধে হয়।
৩) ঠিকঠাক আলমারি বা দেরাজ না থাকলে বদলে নেওয়া সারাদিনের পরা জামাকাপড় কোথায় রাখা হবে সেটা নিয়ে আর এক ঝামেলা।
অথচ ব্যাপারটা হল এই যে অফিসে সারাদিনে যতই কাজের চাপ থাকুক, মুখেচোখে যতই ক্লান্তির ছাপ পড়ুক এক মিনিটে অপরূপা আপনাকে হতেই হবে বিয়েবাড়ি যাওয়ার জন্য। নইলে ফুলমামা, ন’কাকারা আপনার বিধ্বস্ত চেহারা নিয়ে ফুট কাটার জন্য মুখিয়ে থাকবে।

টাইম ম্যানেজমেন্টটাই আসল কথা
এমনটাই মনে করেন গুগল ইন্ডিয়ার কানট্রি হেড পাবলিক অ্যাফেয়ার পরমা রায় চৌধুরী। বিকেলে বিয়েবাড়ি থাকলে ম্যাচ করা ব্লাউজের সঙ্গে হাতে বোনা সিল্কের উজ্জ্বল রঙের শাড়ি বা ঢাকাই শাড়ি পরেই তিনি অফিসে যান। এবং সেই শাড়ি পরেই চলে যান বিয়েবাড়ি। ব্যাগে থাকে সামান্য প্রসাধন। বদলে নেন গয়নাগাঁটি। শাড়ি বা পোশাক বদলাবার জায়গা না থাকলে অফিসে যে পোশাক পরে যাবেন তাতে সামান্য কিছু সাজগোজের জিনিস জুড়ে নিলেই হল। পরমা আরও বললেন, “এই সব দিনে টাইম ম্যানেজমেন্ট খুব বড় ব্যাপার। অফিসে যত ব্যস্ততাই থাকুক বিকেলের অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ভেবে দ্রুত কাজ সারার চেষ্টা করি। তাতে বিয়েবাড়ি গিয়ে হাসিখুশি পরিবেশের সঙ্গে তাল মেলাতে পারি। আর হাল্কা ছোট ছোট মিল খাই। তেল ঝাল দেওয়া ভারী টিফিন এড়িয়ে চলি। ভারী টিফিন খেয়ে নিলে বিয়েবাড়ির খাওয়াদাওয়ার মজাটা কিন্তু মাটি হয়ে যাবে।”

চনমনে দেখাতে ক্লেনজার
অনেক সময়ই যেটা হয় অফিসে কাজের চাপে চেহারার জেল্লা হারিয়ে যায়। বিয়েবাড়ি যাওয়ার সময় নিজেকে চনমনে করার টিপস দিতে গিয়ে চিত্র পরিচালক সুদেষ্ণা রায় জানালেন, “সাজার আগে টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মেজে নিলে শরীর মন দুটোই বেশ সজীব হয়ে ওঠে। সকালবেলা ঘুম ভাঙার পর আমরা যেমন দাঁত মেজে ফ্রেশনেস পাই তেমনি বিয়েবাড়ি যাওয়ার আগেও দাঁত মাজা যেতে পারে।”
কিন্তু অফিসে সারা দিনের কাজে ক্লান্তির পর মুখে একটা ছাপ পড়বেই, সেটা তো আর শুধু দাঁত মেজে দূর করা যায় না। ডিজাইন এবং কমিউনেকশন ব্যবসার মালকিন ইন্দিরা বসু প্রায় চোদ্দো বছর চাকরি জীবন কাটিয়েছেন, সেই সময় অজস্র বার অফিস থেকে বিয়েবাড়ি গিয়েছেন। এবং বিয়েবাড়ি যাওয়ার সময় শাড়ি বা সালোয়ার কেমন হবে তার চাইতে বেশি জোর দিয়েছেন কেমন মেক আপ হবে তার ওপর। তাঁর মতে মেয়েদের হামেশাই অফিস থেকে বিয়েবাড়ি যেতে হয়, তাই অফিসে একটা অন্তত ড্রয়ার নিজস্ব থাকা জরুরি। যেখানে মেক আপের জিনিসপত্র, ক্লিনজার, মুখ পরিষ্কার করার তুলো এই সব থাকবে। তা না হলে অফিসে যাওয়ার সময় বড় ব্যাগে করে এই সব সঙ্গে নিতে হবে। এবং বিয়েবাড়ি যাওয়ার সময় অফিসের ড্রয়ারে সেগুলো রাখতে হবে। বিয়েবাড়ি যাওয়ার সময় খুব ভাল করে মুখ হাত ক্লেনজার দিয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে মেক আপ লাগাতে হবে। তাতে মুখের জেল্লাই পাল্টে যাবে, এবং বিয়েবাড়ি যাওয়ার উপযোগী হয়ে উঠবে।

সালোয়ার স্যুটের দোপাট্টা বদলে নতুন রূপ
“অফিস থেকে বিয়েবাড়ি যেতে হলে শাড়ির বদলে সালোয়ারও পরা যেতে পারে। অফিসে আজকাল বেশির ভাগ মেয়েই যারা ট্রাউজার পরেন না, তাঁরা সালোয়ার পরে যান। বিয়েবাড়ির দিন এই সালোয়ার হতে পারে র সিল্কের বা তসরের কিংবা অন্য কোনও অভিজাত কাপড়ের।” বললেন ভোডাফোন কোম্পানির ন্যাশনাল অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। তাঁর টিপস হল অফিস যাওয়ার সময় ওই সালোয়ারের সঙ্গে সাধারণ দোপাট্টা, কানে ঝোলা দুল পরে বেরোনো গেল। এ বারে হাতের গয়না বা নেকপিস থাকল ব্যাগে। সন্ধ্যায় সালোয়ারের সাজ একই রেখে টিস্যু বা অন্য কোনও ঝকঝকে মেটিরিয়ালের দোপাট্টা ব্যাগ থেকে বের করে নিয়ে পরলেই পোশাকের রূপ যাবে বদলে। এই ভাবে পারমুটেশন কম্বিনেশন করেই বিয়েবাড়ির সাজ অফিসেই সেরে ফেলা যায়।

শাড়ি বদল নয়, পরতে হবে ভারী গয়না
বাচিক শিল্পী রায়া ভট্টাচার্য পেশায় ব্যাঙ্ক অফিসার। অফিসের দিনেই তাঁর প্রায় সময়ই সন্ধ্যাবেলায় নানা ধরনের অনুষ্ঠান সঞ্চালনার কাজ থাকে। আবার ইদানীং তিনি কবিতা আবৃত্তি ও শ্রুতিনাটকেও অংশগ্রহণ করছেন। মঞ্চে হাজির হওয়ার জন্য জাঁকালো সাজের দরকার পড়েই। অথচ অফিসে অত সেজেগুজে যাওয়া যায় না। তা হলে উপায়? রায়া বললেন, “আমি অল্প কাজের কাঞ্জিভরম শাড়ি অথবা ব্লক প্রিন্টের তসর জাতীয় সিল্ক পরে অফিস যাই। বিকেলে অফিসের ওয়াশরুমে শাড়িটা একটু ঠিকঠাক করে নিয়ে, মেক আপ করে নিই। সময় যদি হাতে না থাকে গাড়িতে মেক আপ করি। শাড়ি হালকা পরে ভারী অ্যাকসেসারিজ পরি। সেগুলো ব্যাগেই থাকে। তবে এমন কোনও জবরজং শাড়ি পরে অফিসে যাই না যাতে কাজের পরিবেশে বেমানান লাগে।” রায়ার হাতে অনুষ্ঠানের আগে ঘণ্টা দুয়েকের সময় থাকলে চলে যান অফিসের কাছাকাছি মায়ের বাড়ি। সেখানে অনেক সময় শাড়ি বদলেও অনুষ্ঠানে যান। যে সব মহিলার অফিসের কাছাকাছি আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুবান্ধবের বাড়ি আছে, তাঁরা সেখানে গিয়েও পোশাক বদলাতে পারেন।

ডিজাইনার ব্লাউজ দিয়ে ম্যানেজ
অন্য দিকে আর এক বাচিক শিল্পী মধুমন্তী মৈত্র, তিনিও কলেজের অধ্যাপনার পাশাপাশি সঞ্চালনার কাজ করেন। কলেজে ক্লাস নেওয়ার পর অনুষ্ঠানে যাওয়া মানে পুরো সাজবদল নয়। বললেন, “যে কোনও ভাল সিল্কের শাড়ির সঙ্গে ডিজাইনার ব্লাউজ পরে নিই, তাতেই লুকটা পাল্টে যায়। জমকালো দেখায় সাজ। ব্যাগেই থাকে স্টুডিও ফিক্স কমপ্যাক্ট। মুখে লাগিয়ে নিলে চেহারা বদলে যায়। কলেজের টয়লেটে বা মঞ্চের পেছনে সাজঘরে গিয়েও আমি চেঞ্জ করে নিই। যদি বিয়েবাড়ি যাওয়ার থাকে এবং হাতে সময় পাই বাড়ি ফিরে সেজেগুজে বেরোই। কিন্তু অনুষ্ঠান থেকে বিয়েবাড়ি যেতে হলে সাজগোজের জিনিস বওয়া বড় ব্যাগে ছোট ক্লাচ ব্যাগ বা বটুয়া নিয়ে নিই। বিয়েবাড়িতে ক্লাচ ব্যাগ ভীষণ জরুরি। সেটা সাজগোজে একটা আলাদা মাত্রা দেয়। বড় ব্যাগটা থাকে গাড়িতে।” বিয়েবাড়ি যাওয়ার দিন বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় বড় ব্যাগ নিতেই হয়। কিন্তু সেই ব্যাগ যেন অফিসে রাখার একটা জায়গা থাকে। বড় ব্যাগ নিয়ে বিয়েবাড়ি যাওয়া বড়ই বেমানান।

লাইক্রা টপের সঙ্গে চটজলদি শাড়ি
শাড়ি যদি পাল্টানোর একান্ত ইচ্ছে থাকে তা হলে? তা হলে ট্যাক্সিতে শাড়ি সঙ্গে নিয়ে যাওয়ারই পক্ষপাতী স্টাইলিস্ট অজপা মুখোপাধ্যায়। অন্তত বিয়েবাড়ির দিন ট্যাক্সি না নেওয়া ছাড়া গতি নেই। তাঁর মতে নিওন রঙের ভারী কাজের পাড়ওয়ালা জর্জেট শাড়িই অফিস থেকে বিয়েবাড়ি যাওয়ার পক্ষে ভাল। ম্যাচ করা ব্লাউজও থাকবে এই সব শাড়ির সঙ্গে। তবে সবার আগে অজপা বলছেন বিয়েবাড়ির দিনে মানসিকতাটাকে ফুরফুরে রাখতে। যতই কাজের চাপ থাকুক, মনে রাখতে হবে বিকেলে বিয়েবাড়ি আছে। মাইন্ডসেটটাই আসল। “তবে শাড়ি পাল্টাবার ব্যাপারটা সংক্ষেপেও সারা যায়। যেমন ধরুন লাইক্রার টারটেল নেক টপের সঙ্গে জিন্স আর স্কার্ফ নিয়ে অফিস গিয়ে, সন্ধ্যায় কেবল টপটা গায়ে রেখেই শাড়ি পরা যায়। সেক্ষেত্রে ম্যাচ করে ব্লাউজ নেওয়ার, বা ব্লাউজ বদলানোর ঝক্কি থাকে না। কালো টপের সঙ্গে যে কোনও ধরনের সোনালি আভার শাড়ি খুব ভালই মানায়। মুহূর্তে কাজের পরিস্থিতি থেকে পৌঁছে যাবেন বিয়েবাড়ির লুকে।” বলছেন অজপা।

ডিজাইনার যা বলেন
অফিস-করিয়ে মেয়েদের বিয়েবাড়ি যাওয়ার জন্য এক বাক্যে পছন্দ সিল্ক। কিন্তু সিল্ক কতটা মানানসই সেটা দেখতে হবে তো? কারণ বিয়েবাড়িতে তো সাধারণত জারদৌসি আর সাউথ ইন্ডিয়ান সিল্কই থাকে সব নারীর অঙ্গে। সেখানে সাধারণ সিল্কের শাড়ি মানাবে তো? ফ্যাশন ডিজাইনার দেব বললেন, “আজকাল সিল্কের শাড়ির বৈচিত্র দেখলে মুগ্ধ হতে হয়। সিল্কের ওপর সুতোর কাজ করা শাড়িও বেরিয়েছে নানা ধরনের। সঙ্গে জ্যাকেট ব্লাউজ বা জারদৌসি কাজের ব্লাউজ পরে নিন। পরা যেতে পারে ফুলহাতা, হাই কলার ব্লাউজ। কানে থাকবে ঝোলানো দুল।”

অফিস কাম বিয়েবাড়ির রূপটান
বিয়েবাড়ির দিন ত্বক মোলায়েম করার জন্য সকালে মিনিট দশেক সময় দিন। শুষ্ক ত্বকের জন্য মুখে লাগিয়ে নিন বাদাম বাটা, কেশর। দশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বাদাম, নিম মুলতানি মাটি দিয়ে প্যাক তৈরি করে লাগিয়ে নিন। পেডিকিওর ম্যানিকিওর করে রাখাটা প্রত্যেক সপ্তাহে জরুরি। বিয়ের মরসুমে দু’ সপ্তাহ অন্তর ফেসিয়াল, স্পা করুন। এই টোটকা দিলেন সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞ শর্মিলা সিংহ ফ্লোরা।
এ বার মেক আপ। “অফিসের ওয়াশ রুমে মুখ ভাল করে ধুয়ে লিক্যুইড ফাউন্ডেশন আলতো করে লাগিয়ে মুখ ধুয়ে কমপ্যাক্ট বুলিয়ে নিন। চোখে কাজল, লাইনার, এবং মাসকারা এমন ভাবে লাগাতে হবে যাতে ‘নো মেক আপ’ লুকেও চোখ দুটো উজ্জ্বল দেখায়।” বলছেন মেক আপ শিল্পী নবীন দাস, “লিপস্টিক হবে গাঢ় রঙের। আজকাল লাল, ডার্ক মেরুন, ম্যাজেন্টা লিপস্টিক চলছে ভাল।”
বাকি রইল চুল। সকালে শ্যাম্পু করে কনডিশনার লাগিয়ে নিন। “পনিটেল করে বা খোঁপা বেঁধে অফিস না যাওয়াই ভাল। তাতে চুলে অকারণ ভাঁজ পড়ে যায়,” বলছেন হেয়ার স্টাইলিস্ট ব্রিজেট জোনস, “শীতের আমেজ এসে গিয়েছে তাই চুল খুলে বিয়েবাড়ি গেলেই সুন্দর দেখায়। চুলে আলতো হাতে লাগিয়ে নিতে হবে অ্যান্টি ফ্রিজ সেরাম। চুল দেখাবে নরম ও উজ্বল। বড় চুল এবং কোঁকড়া চুল হলে ক্লিপ লাগিয়ে ফ্রেঞ্চ নট করে নেওয়াও যেতে পারে।”
অফিস থেকে নেমন্তন্ন যাওয়ার ঝক্কিটাকে পাত্তা না দিলেই হল। বুদ্ধি ব্যবহার করে, প্ল্যান করে দিনটাকে ছকে নিন, দেখবেন কাজে ব্যস্ত দিনের শেষেও আপনি ঝলমলে সুন্দরী।

দশ মিনিটে মেকওভার
১) আগের রাতে মাথায় তেল ম্যাসাজ করে নেমন্তন্নের দিন সকাল বেলা দৌড়ঝাঁপের মধ্যেই শ্যাম্পু করবেন।
২) অফিস যাওয়ার সময় কাজল পরবেন না। বরং নেমন্তন্ন বাড়ি যাওয়ার আগে কাজল পরুন।
৩) কী ধরনের পোশাক পরে বিয়েবাড়ি যাবেন আগের রাতেই ঠিক করে নিন। সাজগোজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ব্যাগে ভরে নিন।
৪) অফিসে অনেক সময় পরিচ্ছন্ন বা বড় জায়গাওয়ালা ওয়াশরুম থাকে না। সেক্ষেত্রে সিনিয়র এ ব্যাপারে অবশ্যই আগে জানিয়ে রাখবেন।
৫) সারাদিনের কাজের পর ঝরঝরে ভাব আনতে টুথপেস্ট দিয়ে ব্রাশ করে নিন। পেস্ট-ব্রাশও ড্রয়ারে থাকলে ভাল।
৬) ছিমছাম গয়না অফিসেই পরে যান, যা বদলাতে হবে না। ব্যাগে নেওয়ার দরকার নেই।
৭) অবশ্যই পারফিউম সঙ্গে রাখবেন। বিয়েবাড়ি যাওয়ার আগে সুগন্ধি না লাগালে তরতাজা লাগবে না।
৯) অল্প নকশার সিল্ক বা কাঞ্জিভরম পরুন।
১০) অফিসের কাছাকাছি বন্ধুবান্ধবের বাড়ি থাকলে সেখানে গিয়ে সাজতে পারেন।

মডেল: রেশমি বাগচি
ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.