ইডেনে অ্যালিস্টার কুক বনাম মহেন্দ্র সিংহ ধোনি এখনও শুরু না হলে কী হবে, টিম ইংল্যান্ড বনাম সিএবি চালু হয়ে গেল!
ঘটনাটা কী?
শুক্রবার দুপুর দুপুর পিটারসেনরা কলকাতায় পা দিয়েই বার্তা পাঠালেন যে, নেটে যত বেশি সম্ভব স্পিনার চাই। কিন্তু সে সব শুনছে কে? সিএবি উল্টে স্পষ্ট জানিয়ে দিল, নেটে এক জনও স্পিনার দেওয়া হবে না ইংল্যান্ডকে! বরং দেখতে হবে, মাঠের বাইরেও যতটা সম্ভব টিম ধোনিকে ‘হোম অ্যাডভান্টেজ’-এর সুবিধা দেওয়া যায়।
ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের তরফ থেকে যে ই মেল এসেছিল সিএবি-র কাছে, তাতে আট জন নেট বোলারের কথা বলা হয়েছিল। সাধারণত, কোনও বিদেশি দল এলে পেসার-স্পিনার মিলিয়ে নেট বোলার সরবরাহ করা হয় সফরকারী টিমকে। সিএবি প্রথমে ভেবেছিল, তিন জন স্পিনারের সঙ্গে পাঁচ জন পেসার দেওয়া হবে। কিন্তু পরে সে সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলা হয়। যে সিদ্ধান্তের পিছনে কেউ কেউ বোর্ডের অলিখিত নির্দেশের ছবিও দেখছেন। সিএবি-র কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে বলে দিলেন, “ই-মেলে কোথাও লেখা নেই কী ধরনের বোলার দিতে হবে। তাই ইংল্যান্ড কী চাইল না চাইল, কিছু এসে যায় না। ধোনিদের যাতে সুবিধা হয়, সেটা তো আমাদের দেখতে হবে।” এমনকী ঠিক হয়েছে, পরে যদি প্র্যাক্টিসে নেমে স্পিনার নিয়ে ঝুলোঝুলি করে ইংল্যান্ড, তা হলে গছিয়ে দেওয়া হবে নিম্নমানের স্পিনার। এক সিএবি কর্তা আবার সাফাইও দিয়ে দিচ্ছেন যা নিয়ে। “বলে দেব, আমাদের রাজ্যে স্পিনারের আকাল চলছে। রঞ্জির স্কোরবোর্ড দেখলেই তো সেটা বোঝা যাবে।” |
ইংরেজদের বিরুদ্ধে অসহযোগ ‘আন্দোলনের’ শেষ এখানেই নয়। পিটারসেনদের প্র্যাক্টিস উইকেট আর ম্যাচ উইকেটের মধ্যে কোনও মিল থাকছে না। ইডেন উইকেট স্লো টার্নার হওয়ার কথা। কিন্তু কুকদের প্র্যাক্টিসে দেওয়া হচ্ছে ঘাসে ভরা পিচ! এমন বৈষম্যের ব্যাখাও চলে আসছে দ্রুত। বলা হচ্ছে, ভারত বিদেশ সফরে গেলে পাটা উইকেটে প্র্যাক্টিস করতে দেওয়া হয়। তার পর ম্যাচে ফেলা হয় গ্রিন টপে। পাল্টা ব্যবস্থায় তাই অন্যায়ের কিছু নেই।
এ দিন শহরে পৌঁছে আর ইডেনমুখো হয়নি ইংল্যান্ড। একমাত্র বোলিং কোচ মুস্তাক আহমেদ ছাড়া সবাই এসেছেন। মুস্তাক পাকিস্তানে। বাড়ি ঘুরে আসবেন। তবে স্পিনার নিয়ে নির্দেশ পাঠানোর পাশাপাশি নতুন বায়নাক্কাও চালু হয়ে গিয়েছে ইংল্যান্ড শিবিরের। টিম গল্ফ খেলতে যাবে, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা চাই। শুধু তাই নয়, খাবারের মেনু তালিকা নিয়েও প্রথম দিনই আপত্তি তুলে দিল ইংল্যান্ড। তাজে যে খাবার দেওয়া হচ্ছে, তাতে নাকি মশলা বেশি। অতএব, মশলা কমাও। সঙ্গে চাই দই। নিরাপত্তার বজ্রআঁটুনিও কম নেই। টিম হোটেল থেকে ইডেনের রাস্তা মুড়ে দেওয়া হচ্ছে বালির ‘বাঙ্কার’ দিয়ে। পিচের চার দিকে রক্ষী মোতায়েনও হয়ে যাচ্ছে শনিবার থেকে। পাশাপাশি শহরে ঢুকে পড়েছে বার্মি আর্মি। সিএবি কর্তাদের কাছে এজেন্ট মারফত পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে টিকিটের চাহিদা।
১-১ সিরিজের উত্তেজনাটা শহরে কিন্তু ভাল মতোই ঢুকে পড়েছে। সচিনরা ঢোকার আগেই। |