বক্সা পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য আলাদা ‘মাস্টার প্ল্যান’ তৈরি করে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে পাঠাবেন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। শুক্রবার সকালে ডুয়ার্সের বক্সা পাহাড় এলাকা বন কর্তাদের নিয়ে পরিদর্শন করেন বনমন্ত্রী। পরিদর্শনের সময় এলাকার বেহাল রাস্তা, পারিশ্রুত পানীয় জল, শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য-সহ নানা উন্নয়ন মূল কাজ বলে বাসিন্দারা মন্ত্রীকে জানান। স্কুল জীবনে দেখা বক্সা পাহাড়ে তুলনায় বক্সা’র অবস্থা খারাপ বলে জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “৫ ডিসেম্বর মহাকরণে পযর্টন দফতর ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে, সেখানে বক্সা পাহাড়ের ১১টি গ্রামে শিক্ষা, পানীয় জল, স্বাস্থ্য পরিষেবার বিষয় আলোচনা করব। বক্সার জন্য আলাদা মাস্টার প্ল্যান তৈরি করে অনুমোদনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী দফতরে পাঠাব।” |
তিনি জানান, এখনকার মূল সমস্যা সান্তালা বাড়ি থেকে বক্সা দুর্গ পর্যন্ত বেহাল যোগাযোগ ব্যবস্থা। এলাকায় পর্যটনের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রাস্তার সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। এদিন পাহাড়ে উঠতে গিয়ে বড় বড় পাথর টপকাতে হয়েছে। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে গেলে রাস্তা তৈরি করতে হবে। বক্সা দুর্গ পর্যন্ত গাড়ি চলাচলের রাস্তা তৈরি করা যায় কী না তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলা হবে। বেহাল রাস্তার জন্য এলাকায় বন কর্মীরা টহল দিতে পারেন না। কেউ অসুস্থ হলে বাশের মাঁচায় করে আনা হয়। তার পরে আলিপুরদুয়ার বা কালচিনিতে নিয়ে যাওয়া হয়। দুর্গের অবস্থাও ভাল নয়। ঘরগুলি ভেঙে পড়েছে। এটা দ্রুত সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। পাশাপাশি, বন দফতরের তরফে বাসিন্দাদের মধ্যে ওষুধ বিলির জন্য বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের কর্তাদের বলা হয়েছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা রবীন্দ্র পাল সাইনি জানান, খারাপ রাস্তার জন্য বন কর্মীরা বক্সা পাহাড়ের নিয়মিত টহলদারি করতে পারেন না। স্থানীয় কয়েকজন যুবককে প্রশিক্ষণ দিয়ে বন সুরক্ষার কাজ করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ট্রেকিং-র জন্য রাস্তা সংস্কার ছাড়াও বন দফতরের ডরমেটরিটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজাভাতখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের আরএসপি’র উপপ্রধান সিনা ডুকপা জানান, মন্ত্রীকে রাস্তা ও পানীয় জলের ব্যবস্থার জন্য বলেছি। স্থানীয় সদর বাজারের বাসিন্দা ইন্দ্র শঙ্কর থাপা জানান, রাস্তায় জন্যই বক্সা পাহাড়ের উন্নয়ন পিছিয়ে পড়ছে। পানীয় জলের সঠিক ব্যবস্থা নেই।
|
গাছ কাটার নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাদুড়িয়া |
বাদুড়িয়ার চাতরা পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য আজগর মোল্লার বিরুদ্ধে একটি শিরীষ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। বাদুড়িয়া এবং গোবরডাঙার সংযোগকারী রাস্তার ধারে থাকে ওই গাছটি কাউকে কিছু না জানিয়ে বৃহস্পতিবার কেটে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে বলে আজগরের নামে মহকুমাশাসক, বিডিও এবং পূর্ত দফতরে অভিযোগ জানিয়েছেন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের গোলাম রসুল মোল্লা। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং চক্রান্তমূলক বলে দাবি করেছেন আজগর। তিনি বলেন, “গাছটি আমাদের জমিতে ছিল। আমিই লাগিয়েছিলাম। সম্প্রতি একটি সেতু ভেঙে যাওয়ায় চলাচলের অসুবিধা হচ্ছিল। পারাপারের জন্য সেখানে গাছটি রাখা হয়েছে। প্রধান, উপপ্রধানকে তা জানানো হয়েছিল। এখন তাঁরা সব কথা অস্বীকার করছেন।” মহকুমা প্রশাসন জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। |