নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
নকশা অনুমোদন ছাড়াই অবৈধ ভাবে ১১ টি নির্মাণ কাজের অভিযোগ উঠেছিল। সেগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ল’ সেলের পরামর্শ চাওয়া হয়। ল’ সেল থেকে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানানো হয়। অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট নির্মাতাদের নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। এক জন নির্মাতা অবৈধ নির্মাণ কাজ ভেঙে দেওয়ার কথা জানালেও বাকিরা ফের সময় চেয়েছেন। তা নিয়েই পুরসভার অন্দরে জল্পনা শুরু হয়েছে। ওই সমস্ত অবৈধ নির্মাণগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করা হচ্ছে বলে সরব হয়েছেন বিরোধী বামেরা। ওই নির্মাতাদের আর্জি মেনে ফের সময় দেওয়া হবে, না কি অভিযান চালিয়ে অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হবে সে ব্যাপারে পুর কর্তৃপক্ষ এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানাননি। পুরসভার কর্মী আধিকারিকদের একাংশের অভিযোগ, বিষয়টি চাপা দিতে নানা ভাবে চেষ্টা চলছে।
পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের মেয়র পারিষদ সীমা সাহা বলেন, “ল’ সেলের পরামর্শ পাওয়ার পর অবৈধ নির্মাণগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুর কমিশনার শুনানি করেছেন। তার পর তাদের নোটিশ পাঠিয়ে অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে বলা হয়েছে। নির্মাতারা চিঠি পাঠিয়ে সময় চেয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। তবে তাদের আর্জি মানা হবে কি না আলোচনা করেই তা ঠিক করা হবে। অন্যথায় অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেবে পুরসভা।” ঘরে বাইরে চাপে পড়ে সম্প্রতি ২ দিন অভিযান চালিয়ে ৪টি ক্ষেত্রে অবৈধ নির্মাণের একাংশ ভাঙা হয়। এর পর অভিযান বন্ধ হয়ে পড়ায় প্রশ্ন ওঠে। প্রকাশ্যে না জানালেও আধিকারিক, কর্মীদের একাংশ অভিযোগ করেন, অভিযান চালাতে গেলে কয়েকজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা বাধা দিচ্ছেন। অবৈধ নির্মাণগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় পুরসভার ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে সমস্ত কাউন্সিলর এবং আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক ডাকার আর্জি জানিয়ে মেয়রের কাছে চিঠি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা মুন্সি নুরুল ইসলাম।
কংগ্রেস এবং তৃণমূল নেতৃত্ব আলাদা ভাবে জানিয়েছেন, অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক তাঁরাও চান। কংগ্রেসের জেলা সভাপতি শঙ্কর মালাকার বলেন, “অবৈধ নির্মাণ ভাঙার ব্যাপারে দলও একমত। শেঠ শ্রীলাল মার্কেট-সহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক বাণিজ্যিক ভবন তৈরির ক্ষেত্রে অবৈধ নির্মাণের যে অভিযোগ রয়েছে সেগুলির ক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হোক।” তৃণমূলের তরফে কৃষ্ণ পাল জানিয়েছেন, অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে সে ব্যাপারে জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। দলের কেউ তাতে বাধা দিচ্ছেন এমন নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন। |