|
|
|
|
রায় সোমবার |
অটো-ভাড়াও ঠিক করার কথা রাজ্যের, বলছে কোর্ট |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বাস, ট্যাক্সি, লঞ্চ ইত্যাদি যানবাহনের ভাড়া বেঁধে দেয় রাজ্য সরকার। মোটর ভেহিকলস বা মোটরযান আইন অনুযায়ী অটোরিকশার ভাড়ার হার ঠিক করার দায়িত্বও সরকারের বলেই মনে করে কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার অটোর ভাড়া নিয়ে একটি জনস্বার্থের মামলার শুনানির সময় হাইকোর্টের অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি প্রতাপ রায় তাঁর এই মনোভাবের কথা জানিয়ে দেন। অসীম দাস-সহ চার জন এই জনস্বার্থের মামলাটি দায়ের করেছেন।
আবেদনকারীদের বক্তব্য, সব রকম গণপরিবহণের ভাড়া স্থির করে দেয় রাজ্য সরকার। একমাত্র ব্যতিক্রম অটো। দীর্ঘদিন ধরেই বাস, লঞ্চ ও ট্যাক্সির ভাড়া সরকারই ঠিক করে দিচ্ছে। কিন্তু অটোর ক্ষেত্রে ভাড়া ঠিক করা হয় চালক কিংবা মালিকদের ইউনিয়নগুলির খেয়ালখুশিমতো। তার ফলে একই দূরত্বের জন্য এক-এক এলাকায় এক-এক রকম ভাড়া দিতে হয় যাত্রীদের। বিভিন্ন রুটের ভাড়ার মধ্যে কোনও সামঞ্জস্যই নেই। অথচ আইন অনুযায়ী অটো পরিষেবাও গণপরিবহণ। কিন্তু অটোর ভাড়া ঠিক করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার নীরব।
আবেদনকারীদের আইনজীবী আদালতে বলেন, রাজ্য সরকার অটোর ভাড়া নির্ধারণ করে দিলে কিলোমিটার অনুযায়ী কত ভাড়া, তা যাত্রীদের জানা থাকবে। সব রুটেই নির্দিষ্ট দূরত্বে ভাড়া একই হবে। গণপরিবহণ আইন অনুযায়ী কখনওই কোনও ইউনিয়ন অটোর ভাড়া স্থির করে দিতে পারে না। কিন্তু কলকাতা-সহ সারা রাজ্যে সেটাই চলে আসছে।
অটোর ভাড়া স্থির করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কী করতে চায়, সরকার পক্ষের কাছে তা জানতে চায় ডিভিশন বেঞ্চ। তারা মনে করে, অটোর ভাড়া রাজ্য সরকারেরই স্থির করে দেওয়ার কথা। তবে ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন এই ব্যাপারে কোনও রায় দেয়নি। সরকারি আইনজীবী জানান, আগামী সোমবার তিনি সরকারের বক্তব্য হাইকোর্টকে জানাবেন। ওই দিনই ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার রায় দেবে।
বেসরকারি বাসের ভাড়া নিয়ে সরকার ও মালিক পক্ষের টানাপোড়েনে যাত্রীদের হয়রানি বাড়ছে। সরকারের বেঁধে দেওয়া শেষতম ভাড়ার হার বাস-মালিকেরা মানতে চাইছেন না। সরকারও ফের ভাড়া-বিন্যাসের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় বহু বাস বসে যাচ্ছে। যাত্রীরা অটোর উপরে নির্ভর করতে বাধ্য হচ্ছেন। মওকা বুঝে অনেক ক্ষেত্রেই যথেচ্ছ ভাড়া হাঁকছে অটো। যাত্রীদের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে বিরোধও বাধছে এখানে-সেখানে। শহরে, শহরতলি থেকে প্রায় রোজই অটোর দৌরাত্ম্যের খবর আসছে।
বাস-মালিকদের সংগঠনগুলি বিদ্যুৎ, টেলিফোনের মতোই গণপরিবহণ শিল্পে ভাড়া নির্ধারণের ব্যাপারে একটি নিরপেক্ষ নিয়ন্ত্রণ কমিশন গঠন করার জন্য ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছে। বিদ্যুতের মাসুল ঠিক করে দেওয়ার মতো ওই কমিশনও বাস, ট্যাক্সি এবং অন্যান্য যানবাহনের ভাড়া ঠিক করে দিতে পারবে। কিন্তু রাজ্য তাতে রাজি নয়।
|
মার্চের মধ্যে সব শিশুকে স্কুলে আনতে চায় রাজ্য |
রাজ্যে আগামী মার্চের মধ্যেই ৬ থেকে ১৪ বছরের সব শিশুকে স্কুলশিক্ষার আওতায় আনা হবে বলে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ২০১৩ থেকে রাজ্যে শিক্ষার অধিকার আইন চালু হচ্ছে। তাই ওই সময়ের মধ্যে ৬ থেকে ১৪ বছরের সব শিশুকে স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থা করতেই হবে রাজ্যকে। দুঃস্থ পড়ুয়াদের জন্য বৃহস্পতিবার চেতলার কৈলাস বিদ্যামন্দিরে একটি আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। সেই অনুষ্ঠানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মার্চের মধ্যে সব শিশুকে স্কুলে আনার আশ্বাস দেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি জানান, কলকাতায় দুঃস্থ ছেলেমেয়েদের জন্য ১৫টি আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হবে। ইতিমধ্যে কাশীপুরে এই ধরনের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয়টির উদ্বোধন হল। সেখানে ১০০ পড়ুয়া থাকতে পারবে। |
|
|
|
|
|