জনপ্রতিনিধিদের ফেরানোর অধিকার থাক, চান সোমনাথ |
রাজনীতিতে নীতি, মূল্যবোধের অভাব এবং দুর্নীতির অনুপ্রবেশ বাগে আনতে জনপ্রতিনিধিদের ফিরিয়ে আনার অধিকার (রাইট টু রিকল) মানুষের হাতে থাকার পক্ষে সওয়াল করলেন লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মতে, গ্রামের পঞ্চায়েত থেকে দেশের সংসদ সর্বত্রই রাজনীতির নীতিগত অবক্ষয় হয়েছে। প্রাক্তন স্পিকারের কথায়, “এই অবস্থায় নির্বাচকদের ভূমিকা কী? মতই বা কী? পরের নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া তাঁদের কিছু করার নেই! সেই জন্যই জনপ্রতিনিধিদের ফিরিয়ে আনার অধিকার মানুষের থাকা উচিত। গণতন্ত্রের তাঁরাই তো সব চেয়ে শক্তিশালী অংশ।” একই সঙ্গে সোমনাথবাবুর আক্ষেপ, “রাইট টু রিকলের কথা আমি বললেও এই মতের গ্রাহক খুব বেশি নেই! তবে আমার তরুণ বন্ধুদের উপরে আস্থা আছে।” ইদানীং কালে সংসদের ভিতরে সাংসদদের আচরণ যে দেশের মানুষকে পীড়িত করে, তা-ও এ দিন ফের উল্লেখ করেছেন প্রাক্তন স্পিকার।
|
আবশ্যিক হচ্ছে সচিত্র পরিচয়পত্র |
এ বার থেকে কিড স্ট্রিটের বিধায়ক আবাসে অতিথিদের থাকার জন্য সচিত্র পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র আবাসের আধিকারিকদের দেখাতে হবে বলে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন। তবে আবাসে থাকতে গেলে বিধায়ক ও তাঁর স্ত্রী, সন্তানদের ক্ষেত্রে ওই নির্দেশ কার্যকর হবে না বলে বৃহস্পতিবার স্পিকার জানান। তাঁর বক্তব্য, “বিধায়কের সুপারিশে বহু মানুষ বিধায়ক আবাসে রাত্রিবাস করেন। কিন্তু সুপারিশ নিয়ে একাধিক ব্যক্তি এলে শুধুমাত্র এক জনের নাম-ঠিকানা নথিভুক্ত করে বাকি সঙ্গীদের সংখ্যা লিখে রাখা হয়। ফলে তাঁরা কে, কোথা থেকে এসেছেন তার নথি থাকছে না।” ফলে আবাসে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে আবাসিকদের হদিশ পেতে সমস্যা হতে পারে বলে স্পিকারের আশঙ্কা। নিরাপত্তার স্বার্থে এ বার থেকে বিধানসভার স্টিকার না-থাকলে কোনও গাড়ি ওই আবাসে রাখা যাবে না। প্রসঙ্গত, বিধায়ক আবাস তৈরি হয়েছিল প্রফুল্লচন্দ্র সেনের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন। তাঁর নামানুসারে এ দিন আবাসের সম্মেলন-কক্ষ উদ্বোধন করেন স্পিকার।
|
১০ বছরে শীতলতম নভেম্বর, শীত দূরেই |
দশ বছরের রেকর্ড ভেঙে নতুন চুড়োয় নভেম্বর। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে তিন ডিগ্রি কম। গত ১০ বছরে নভেম্বরে তাপমাত্রা এত নীচে নামেনি। এর আগে নভেম্বরে সব থেকে কম তাপমাত্রা ছিল ১৪.৩ ডিগ্রি। অর্থাৎ হাওয়া অফিসের হিসেবে ১০ বছরের মধ্যে এটাই শীতলতম নভেম্বর। তা হলে কি শীত পড়ে গেল? আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ বলছেন, “কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় শীত পড়তে এখনও দেরি আছে।” আবহবিদেরা বলছেন, পাকাপাকি ভাবে শীত পড়তে গেলে দিনের তাপমাত্রাও কমতে হবে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণও এতটা থাকলে চলবে না। এ দিন সর্বাধিক আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ।
|
কাশীপুরের রাধামোহন দে লেনে আগুনে পুড়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম গৌরী সামন্ত (৭৫)। বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ২টো নাগাদ স্টোভে রান্না করতে গিয়ে তিনি পুড়ে যান। আর জি করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
|
উচ্ছেদের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার প্রায় দেড় ঘণ্টা বেলেঘাটা রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন সংবাদপত্র বিক্রেতারা। পুলিশি হস্তক্ষেপে সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ অবরোধ ওঠে। |