গোষ্ঠী সংঘর্ষে আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল ক্যানিংয়ের জীবনতলা। তার জেরে ভাঙচুর হল পুলিশের গাড়ি। পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ৩ জন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার রাতে ঘুটিয়ারিশরিফ রেল স্টেশনের কাছে।
ঘটনার সূত্রপাত কী ভাবে?
পুলিশ সূত্রের খবর, শিয়ালদহ স্টেশন থেকে দুই গোষ্ঠীরই কিছু লোকজন মঙ্গলবার রাতে ঘুটিয়ারিশরিফ ফিরছিলেন। কামরায় বসা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। বচসা চলতে থাকে স্টেশনে নামার পরেও। ক্রমশ বচসা থেকে দু’পক্ষই মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। ঘুটিয়ারিশরিফের নারায়ণপুরের অঞ্চল সভাপতি ও তৃণমূল নেতা সালাউদ্দিন সর্দারও মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। তাঁর লোকজনই ঘুটিয়ারিশরিফ ফাঁড়িতে খবর দেয় যে ক্যানিং-২ ব্লক তৃণমূল সহ-সভাপতি দেবী লস্করের ভাই পিন্টু লস্করের নেতৃত্বে তাঁদের উপরে হামলা হচ্ছে। পুলিশ যাওয়ার আগে দু’পক্ষই নিজেদের এলাকা সাধুর মোড়ে চলে যায়। পুলিশ সাধুর মোড়ে পৌঁছলে হঠাৎই সালাউদ্দিনের লোকজন তাদের উপরে চড়াও হয়। |
পুলিশের জিপ ভাঙচুর করা হয়। মারধর করা হয় ফাঁড়ির এ এস আই তরুণকুমার গুহকে। পুলিশ কর্মী আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে ক্যানিংয়ের এসডিপিও বিশ্বজিৎ মাহাতো, সিআই জয়প্রকাশ পাণ্ডে এবং জীবনতলা থানার ওসি রাম মণ্ডলের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। সালাউদ্দিন-সহ মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে তরুণবাবু অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই নজিবর সর্দার, মজফ্ফর হোসেন সর্দার, নিয়ামত সর্দার ও হাসিবর রহমান সর্দার নামে চারজন তৃণমূল সমর্থককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সহ-সভাপতি শক্তি মণ্ডল বলেন, “এই ধরনের ঘটনা নিন্দনীয়। যারাই এই ঘটনা ঘটাক না কেন তা মেনে নেওয়া যায় না। আইন আইনের পথেই চলবে। আমরা বিষয়টি দলগত ভাবে ঘটনার তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানাব।”
জীবনতলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ এবং তার জেরে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশ কর্মী আহত হওয়ার ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। চলতি বছরেরই ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ায় জীবনতলায় পারগাথি এলাকায় দলীয় একটি মিছিলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে গেলে তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। চারজন পুলিশকর্মী জখম হন। এমনকী এখ পুলিশকর্মীর রাইফেলও ছিনতাই করে হামলাকারীরা। পরে অবশ্য পুলিশ ওই এলাকা থেকে রাইফেলটি উদ্ধার করে। |