|
|
|
|
|
|
উত্তর কলকাতা
|
জমছে আবর্জনা |
অবহেলার ফল |
কৌশিক ঘোষ |
রাস্তা জুড়ে খড়ের গাদা। ডাঁই হয়ে পড়ে আছে অন্য আবর্জনাও। কটূ গন্ধে টেকা দায়। অভিযোগ, এমন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন উত্তর কলকাতার মেছুয়ার ফলপট্টি এলাকার ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা।
ফলপট্টি এলাকা কলকাতা পুরসভার ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। এখানেই চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের মুখ থেকে শুরু করে বালমুকুন্দ মক্কর রোড, মদনমোহন বর্মণ স্ট্রিট, রামলোচন মল্লিক স্ট্রিট, সৈয়দ স্যালি লেন এবং বল্লভ দাস স্ট্রিটের বেশিরভাগ জায়গা জুড়েই পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এই অঞ্চলে ঠিকমতো জঞ্জাল পরিষ্কার হয় না।
সমস্যা কোথায়?
শহরে জঞ্জাল অপসারণের দায়িত্ব কলকাতা পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের। কিন্তু, এই ওয়ার্ড ব্যতিক্রম। |
|
গত বামবোর্ড ২০০৯-এ এই অঞ্চলের বেশিরভাগ জায়গার জঞ্জাল অপসারণের দায়িত্ব পার্কিং দফতরকে হস্তান্তর করে। পুরসভার পার্কিং দফতর এখানে দরপত্রের মাধ্যমে পার্কিং ফি আদায়ের জন্য একটি সংস্থাকে নিয়োগও করে। এই সংস্থাকেই পার্কিংয়ের অংশে আবর্জনা পরিষ্কার করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। আশা ছিল, পার্কিংয়ের দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি আবর্জনা দ্রুত সরাতে পারবে। বাকি এলাকার আবর্জনা পরিষ্কারের দায়িত্ব জঞ্জাল অপসারণ দফতরের।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, সংস্থাটি ঠিকমতো আবর্জনা পরিষ্কার করে না। জঞ্জাল অপসারণ দফতরের দায়িত্বে থাকা অংশের অবস্থাও খারাপ। স্থানীয় কাউন্সিলর সিপিএমের রীতা চৌধুরী বলেন, “পার্কিংয়ের দায়িত্বে থাকা সংস্থা আবর্জনা পরিষ্কার করেই না। জঞ্জাল অপসারণ দফতরে অভিযোগ জানাতে গেলে তারা পার্কিং দফতরকে জানাতে বলে।”
জঞ্জাল অপসারণ দফতরের এক আধিকারিক জানান, ভ্যাট অপরিষ্কার থাকার অভিযোগ ঠিক নয়। ওই অঞ্চলে সব সময় ফল কেনাবেচা চলে। তাই ভ্যাট দ্রুত নোংরা হয়ে যায়। এত দ্রুত ভ্যাট পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। অভিযোগ এলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পুরসভার জঞ্জাল বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার বলেন, “পার্কিংয়ের অংশে সংশ্লিষ্ট সংস্থাটির জঞ্জাল অপসারণ করার কথা। কিন্তু তারা তা ঠিকমতো করে না। |
|
আমাদের বাকি ভ্যাট-সহ কিছু রাস্তা পরিষ্কার করার কথা। তা আমরা ঠিকমতো করি। বাকি অংশের দায়িত্বও জঞ্জাল অপসারণ দফতরকে ফিরিয়ে দিলে সুবিধা হয়।”
পুরসভার মেয়র পারিষদ (পার্কিং) রাজীব দেব বলেন, “পার্কিংয়ের দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি ঠিকমতো আবর্জনা পরিষ্কার করছে না বলে অভিযোগ এসেছে। প্রথমে তাদের জানানো হবে। কাজ না হলে এই সংস্থাকে বরখাস্ত করা হবে। জঞ্জাল অপসারণ দফতরকে দায়িত্ব হস্তান্তরের ব্যাপারে আলোচনা করব।” যদিও পার্কিংয়ের দেখভালের দায়িত্ব পাওয়া সংস্থাটির পক্ষ থেকে সরফরাজ আহমেদ বলেন, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। দিনের বেলার গাড়ি পার্কিং ও বেচাকেনার জন্য ময়লা পরিষ্কারে অসুবিধা হয়। আমরা রোজ রাতে বাজার শেষ হয়ে যাওয়ার পরে আবর্জনা পরিষ্কার করি।” |
ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী |
|
|
|
|
|