পরিবর্ত ছাড়া একমাত্র চিকিৎসককে বদলির অভিযোগ ঘিরে ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের বিক্ষোভ সামলাতে দায়িত্ব হস্তান্তরের নথি ছেঁড়া হল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাথাভাঙার পারাডুবি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওই ঘটনা হয়। তার পরেই ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একমাত্র চিকিৎসককে বদলির প্রতিবাদে দুপুর ২ টা থেকে প্রায় চার ঘন্টা মাথাভাঙা-ফালাকাটা রুটে চলা অবরোধ তুলে নেন ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা।
এদিন ওই অবরোধের জেরে দিনভর ভোগান্তির মুখে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের অভিযোগ, এমনিতেই পারাডুবি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র খুঁড়িয়ে চলছে। শয্যা নেই। সপ্তাহে চার দিন একজন চিকিৎসক বর্হিবিভাগে বসেন। বৃহস্পতিবার ওই চিকিৎসক সেখানকার এক ফার্মাসিস্টকে দায়িত্ব হস্তান্তর করলে কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাঁকে নিশিগঞ্জে বদলির নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানাজানি হয়। তার পরেই ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলনে নামেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনেই জমায়েত করে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরিস্থিতির জেরে স্বাস্থ্য কর্তারা দায়িত্ব হস্তান্তরের নির্দেশের কপি বাসিন্দাদের সামনে ছিঁড়ে ফেলার জন্য নির্দেশ পাঠান। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক প্রণব কুমার দত্ত বলেন, “নিশিগঞ্জে বদলির নির্দেশ পেয়েছিলাম। পরিবর্ত কেন দেওয়া হয়নি সে সব নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। সন্ধ্যা নাগাদ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গ্রামবাসীদের আস্থা ফেরাতে ফার্মাসিস্টকে দায়িত্ব হস্তান্তরের কাগজ ছিঁড়ে ফেলতে হয়।” এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী। তিনি বলেন, “ভবিষ্যতে চিকিৎসক বদলি ঘিরে যাতে এমন ঘটনার বাতাবরণ না রাখা হয় তা সিএমওএইচ কে দেখতে বলব।” কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মানিকলাল দাস জানান, যা বলার স্বাস্থ্য ভবন থেকে বলা হবে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের মুখপাত্র অসিত বিশ্বাস জানান, “এই ব্যাপারে সিএমওএইচের কাছে রিপোর্ট চাইব।” আন্দোলনকারীদের তরফে হরিগোপাল সরকার বলেন, “পারাডুবির বাসিন্দাদের কথা স্বাস্থ্যকর্তারা ভাবলে একমাত্র চিকিৎসককে বদলির এমন নির্দেশ দিতে পারতেন না। পরিস্থিতির জেরে আন্দোলনে নামতে হয়েছিল।” |