জেলা কেন্দ্রীয় সংশোধানাগারে তাঁদের উপরে মানসিক অত্যাচার করা হচ্ছে বলে বর্ধমানের সিজেএমের কাছে অভিযোগ করলেন প্রদীপ তা ও কমল গায়েন খুনে অভিযুক্ত পাঁচ জন।
বৃহস্পতিবার একটি লিখিত দরখাস্তে তুষারকান্তি ভট্টাচার্য, সুরজিৎ তা, নারায়ণ সামন্ত, পতিতপাবন তা ও মন্টু ঘোষ নামে ওই পাঁচ বন্দি জানান, কয়েক দিন আগে নানা ওয়ার্ডে তল্লাশি চালিয়ে জেল কর্তৃপক্ষ দু’টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন। তার পর থেকেই তাঁদের উপরে মানসিক অত্যাচার চালানো হচ্ছে। জেলের হাসপাতাল ওয়ার্ডে থাকা সত্ত্বেও তাঁদের বিছানা থেকে নামিয়ে দিয়ে তল্লাশি হচ্ছে। এমনকী, তাঁদের খাবার তছনছ করেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। জেলে মোবাইল আমদানির জন্য তাঁদেরই দোষারোপ করা হচ্ছে বলেও ওই পাঁচ অভিযুক্তের দাবি।
এই পাঁচ জনের আইনজীবী বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “এ দিন বিচারের কাজে ওই পাঁচ জনকে সিজেএম আদালতে আনা হয়েছিল। তাঁরা মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ প্রথমে আদালতের গভর্নমেন্ট রেকর্ড অফিসার মারফত সিজেএম ইয়াসমিন আহমেদকে জানিয়েছিলেন। বিচারক তাঁদের লিখিত ভাবে অভিযোগ জানাতে বলেন। এর পরে তিনি এজলাসে বসে আমাকে ঘটনাটির কথা জানাতে বলেন। অভিযোগ শুনে বিচারক ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে জেল সুপারের রিপোর্ট তলব করেছেন।”
জেলা কেন্দ্রীয় সংশোধানাগারের সুপার মেইয়ামোদো গুঁই অবশ্য কয়েক দিন আগে জেলের ওয়ার্ডে তল্লাশি চালানোর সময় জোড়া মোবাইল উদ্ধারের কথা স্বীকার করেননি। তিনি বলেন, “ওই ধরনের ঘটনার কথা আমি জানি না। তবে মোবাইলের জন্য তল্লাশি তো আমাদের অনবরত চালাতে হয়। আদালতের নির্দেশে ঘটনাটির তদন্ত করব।” |