নিজস্ব সংবাদদাতা • অন্ডাল |
এয়ারগান দিয়ে বাঁদর মেরে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল অন্ডালের এক সিপিএম নেতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরেই মাটি খুঁড়ে বনকর্মীরা দেহটি উদ্ধার করেন। তবে রাত পর্যন্ত পুলিশ ওই নেতাকে গ্রেফতার করেনি।
যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই কুমার মুখোপাধ্যায় ঘটনাচক্রে বর্ধমানের অন্ডালে সিপিএমের উখড়া লোকাল কমিটির সদস্য। বাড়ি স্থানীয় পাঠকপাড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, বাড়িতে পোষা কুকুরকে খাওয়ানোর জন্য কুমারবাবু প্রায়ই নিজের এয়ারগান দিয়ে পাখি মারেন। এ দিন সকালে ছাদে একটি বাঁদরকে বসে থাকতে দেখে তিনি সেটিকেও গুলি করে মারেন। পরে এক দিনমজুরকে দু’শো টাকা দিয়ে মাটিতে দেহটি পুঁতিয়ে দেন।
এলাকার লোকজনই বন দফতরে খবর দিয়েছিলেন। দুপুরে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খুঁড়ে বাঁদরের মৃতদেহ তোলেন। উখড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে পশু চিকিৎসক ডেকে দেহটি পরীক্ষা করানো হয়। দেখা যায়, বাঁদরের মাথায় গুলি লেগেছে। দেহটির ময়না-তদন্তের জন্য অন্ডাল ব্লক প্রাণিসম্পদ বিকাশ কেন্দ্রে পাঠানো হয়। বন দফতরের তরফে উখড়া ফাঁড়িতে বাঁদর খুনের লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। কুমারবাবু অবশ্য দাবি করেন, “ভুল করে বাঁদরটিকে মেরে ফেলেছি। তবে মৃতদেহ পোঁতার জন্য কাউকে টাকা দিইনি। স্থানীয় বাসিন্দারাই সংস্কার মেনে কবর দিয়েছে।” |
বন দফতরের লাউদোহা রেঞ্জ অফিসার হরিদাস ভট্টাচার্য জানান, ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী এমন ঘটনা অপরাধ ও শাস্তিযোগ্য। প্রাথমিক তদন্তে অপরাধের সত্যতা মিললে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হতে পারে। দোষ প্রমাণ হলে তিন বছর জেল, জরিমানা অথবা দুই-ই হতে পারে। পুলিশ জানায়, বন দফতরের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। প্রয়োজনে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হতে পারে, চাইলে তিনি আত্মসমর্পণও করতে পারেন। বারবার চেষ্টা করেও সিপিএমের উখড়া লোকাল কমিটির সম্পাদক সুশান্ত মুখোপাধ্যায়ের ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। দলের জেলা কমিটির সদস্য তুফান মণ্ডল বলেন, “ঠিক কী ঘটেছে, দলীয় পর্যায়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।” |