|
|
|
|
|
নিফ্টের প্রবেশিকা |
নিফ্ট-প্রাক্তনীদের তালিকায় আছেন সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়, রীতু বেরির মতো ফ্যাশন দুনিয়ার প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্বরা।
আপনিও যদি এখানে পড়ার স্বপ্নই দেখে থাকেন, তবে আবেদনপত্র জমা দিন এখনই। লিখছেন কৌলিক ঘোষ। |
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজিতে (নিফ্ট) যখন পড়তে চান, তখন ধরেই নেওয়া যেতে পারে রঙ, নক্শা নিয়ে খেলতে ভালবাসেন আপনি। উদ্ভাবনী ক্ষমতা অন্য অনেকের থেকেই বেশি। সব কাজেই সৃজনশীল ভাবনা ফুটে ওঠে। যে কোনও কিছুকে নিজের মতো করে সাজাতে চান। এবং তাতে আপনি হতে চান সকলের থেকে আলাদা। সেই কারণেই বাঁধাধরা পড়াশোনার রাস্তা পাশে ফেলে অন্য পথ ধরার কথা ভাবছেন। এ বার সেই পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করুন। কারণ নিফ্টে ভর্তির জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা হয়েছে। সময়সীমা পেরনোর আগে সংগ্রহ করুন আবেদনপত্র।
নিফ্ট কেন্দ্রীয় সরকারের বস্ত্র মন্ত্রকের অধীন একটি প্রতিষ্ঠান। যেখানে পড়া যায় ফ্যাশন শিল্পে কেরিয়ার তৈরির উপযোগী বিভিন্ন ধরনের পাঠ্যক্রম। |
|
দেশ জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে নিফ্টের ১৫টি শাখা। সব মিলিয়ে পড়ানো হয় সাতটি পাঠ্যক্রম। ব্যাচেলর প্রোগ্রামস ইন ডিজাইন ( বি ডেজ) করা যায় ফ্যাশন ডিজাইন, লেদার ডিজাইন, অ্যাকসেসরিজ ডিজাইন, টেক্সটাইল ডিজাইন, নিটওয়্যার ডিজাইন এবং ফ্যাশন কমিউনিকেশন-এ। আর ব্যাচেলর প্রোগ্রাম ইন ফ্যাশন টেকনোলজি (বি এফ টেক) করানো হয় শুধুমাত্র অ্যাপারেল প্রোডাকশন -এর উপর। ভর্তি হওয়া যায় দ্বাদশের পরই।
|
বি ডেজ পাঠ্যক্রমটিতে আসন সংখ্যা সাকুল্যে ১৭৭০টি। এর মধ্যে ফ্যাশন ডিজাইনিং-এ রয়েছে ৩৯০টি, লেদার ডিজাইন-এ ১২০টি, অ্যাকসেসরিজ ডিজাইনে ৩৯০টি, টেক্সটাইল ডিজাইনে ৩৯০টি, নিটওয়্যার ডিজাইনে ২১০টি এবং ফ্যাশন কমিউনিকেশনে ২৭০টি। তবে দেশে নিফ্টের প্রতিটি শাখাতেই যে সবক’টি পাঠ্যক্রম করানো হয় তা নয়। ব্যাতিক্রম শুধু কলকাতা। এখানে বি ডেজ-এর ছ’টি পাঠ্যক্রমই চালু রয়েছে। অ্যাপারেল প্রোডাকশনের বি এফ টেক পাঠ্যক্রমে দেশে মোট আসন ৩৩০টি।
|
বি ডেজ পড়তে হলে যে কোনও স্বীকৃত বোর্ড থেকে ১০+২ পাশ করতে হবে। মাধ্যমিকের পর কোনও বিষয়ে ডিপ্লোমা পাশ করে থাকলেও নিফ্টের প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসতে পারবেন। তবে বি এফ টেক কোর্সটিতে ভর্তি হতে চাইলে ১০+২ পাশ করতে হবে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন এবং অঙ্ক নিয়ে। বয়সের দিক থেকে ২০১৩ সালের প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসতে হলে প্রার্থীর জন্ম হতে হবে ১৯৮৯-এর ১ অক্টোবরের পর। যাঁরা আগামী বছরই ১০+২ পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাঁরাও প্রবেশিকাটি দিতে পারবেন। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ওই প্রার্থীকে নিফ্টে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ১০+২ পাশ করার প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে।
|
বি ডেজ পাঠ্যক্রমগুলির ক্ষেত্রে প্রার্থীদের যাচাই করা হয় তিনটি পর্যায়ে। প্রথমে পাঁচটি বিষয়ের উপর নেওয়া হয় জনারেল এবিলিটি টেস্ট বা গ্যাট। বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে কোয়েন্টিটেটিভ এবিলিটি, কমিউনিকেশন এবিলিটি, অ্যানালিটিক্যাল এবিলিটি, ইংলিশ কম্প্রিহেনশন এবং জেনারেল নলেজ ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স। এর পর দিতে হয় ক্রিয়েটিভ এবিলিটি টেস্ট বা ক্যাট। এই পরীক্ষায় দেখে নেওয়া হয় প্রার্থীর নিজস্বতা, পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা এবং উদ্ভাবনী চিন্তাশৈলী। গ্যাট-এর জন্য বরাদ্দ থাকে দু’ ঘন্টা সময় আর ক্যাট-এর জন্য তিন ঘন্টা। অর্থাৎ মোট পাঁচ ঘন্টার পরীক্ষা। লিখিত এই দুই পরীক্ষায় সফল প্রার্থীদের ডাকা হয় ‘সিচুয়েশন’ টেস্টের জন্য। এতে হাতে-কলমে প্রার্থীকে বিভিন্ন কাজ করে দেখাতে হয় পরীক্ষকদের সামনে। এর পরেই চূড়ান্ত করা হয় মেধা তালিকা।
বি এফ টেক-এর জন্য অবশ্য কোয়েন্টিটেটিভ এবিলিটি, কমিউনিকেশন এবিলিটি অ্যান্ড ইংলিশ কম্প্রিহেনশন, অ্যানালিটিক্যাল অ্যান্ড লজিক্যাল এবিলিটি, জেনারেল নলেজ সাধারণ জ্ঞান এবং সাম্প্রতিক বিষয়াবলি ও কেস স্টাডি। চলতি কথায় যেটিকে বলা হয় জেনারেল এবিলিটি টেস্ট বা গ্যাট। বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে কোয়েন্টিটিভ এবিলিটি, কমিউনিকেশন এবিলিটি, অ্যানালিটিক্যাল এবিলিটি, ইংরেজি কম্প্রিহেনশন এবং সাধারণ জ্ঞান ও সাম্প্রতিক বিষয়াবলি। আর, ব্যাচেলর অফ ফ্যাশন টেকনোলজির জন্য রয়েছে কোয়েন্টিটিভ এবিলিটি, কমিউনিকেশন এবিলিটি অ্যান্ড ইংলিশ কম্প্রিহেনশন, অ্যানালিটিক্যাল অ্যান্ড লজিক্যাল এবিলিটি, সাধারণ জ্ঞান এবং সাম্প্রতিক বিষয়াবলি ও কেস স্টাডি।
গ্যাট ছাড়াও ‘ বি ডেস’ পাঠ্যক্রমটির জন্য রয়েছে ক্যাট বা ক্রিয়েটিভ এবিলিটি টেস্ট। এ ক্ষেত্রে দেখে নেওয়া হয় প্রার্থীর নিজস্ব দক্ষতা, পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা এবং উদ্ভাবনী চিন্তাশৈলী। গ্যাট-এর জন্য বরাদ্দ থাকে দু’ ঘন্টা, ক্যাট-এর জন্য বরাদ্দ তিন ঘন্টা সময়। অর্থাৎ মোট পাঁচ ঘন্টার পরীক্ষা। লিখিত এই দুই পরীক্ষায় সফল প্রার্থীদের ডাকা হয় ‘সিচুয়েশন’ টেস্টের জন্য। সে ক্ষেত্রে হাতে-কলমে প্রার্থীকে বিভিন্ন কাজ করে দেখাতে হয় পরীক্ষকদের সামনে। এর পরেই চূড়ান্ত করা হয় মেধা তালিকা। ডিজাইনের কোর্সের ক্ষেত্রে তিনটি হার্ডলস পেরোতে হলেও ব্যাচেলর অফ ফ্যাশন টেকনোলজির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র গ্যাট অর্থাৎ জেনারেল এবিলিটি টেস্টটি দিলেই চলে।
প্রসঙ্গত, এ বার থেকে ব্যাচেলর অফ ফ্যাশন টেকনোলজি পরীক্ষাটি অনলাইনে দেওয়া যাবে। তবে, যারা খাতায়-কলমে দিতে আগ্রহী তারা নির্দিষ্ট দিনে পরীক্ষা কেন্দ্রে বসে লিখিত পরীক্ষাটি দিতে পারে। তবে ব্যাচেলর ডিজাইন পরীক্ষাটি অন লাইনে দেওয়া যাবে না।
|
|
অনলাইনে আবেদনপত্র পাওয়া যাবে ৬ নভেম্বর থেকে ২০১৩-র ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। আর, কেউ সরাসরি আবেদনপত্র-সহ তথ্যপুস্তিকা নিতে চান তারা ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত নিফ্টের যে কোনও শাখা থেকে তা সংগ্রহ করতে পারে। অনলাইন বা অফ লাইনে আবেদন করার শেষ দিনটি হল ১৪ জানুয়ারি। অনলাইন অর্থাৎ কম্পিউটার বেসড টেস্টটি হবে ২০১৩-র ৬ এবং ৭ এপ্রিল। আর, নির্দিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে খাতায়-কলমে বসে (পেপার বেসড টেস্ট) পরীক্ষা দিতে পারেন ১০ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে ১৫ এপ্রিল। বিস্তারিত তথ্যের জন্য বা অনলাইনে আবেদনের জন্য দেখে নিতে পারেন www.nift.ac.in ওয়েবসাইটটি।
|
|
খেয়াল রাখুন |
|
সদ্য কলেজ উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের অনলাইন মারফত চাকরির সন্ধান দিতে তৈরি হল স্টেপ আপ কেরিয়ার বিল্ডার্স। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এর জন্য দেশের বিভিন্ন ধরনের কলেজের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছেন তাঁরা। জোট বাঁধছেন বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থার সঙ্গেও। কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ঘুরে কর্মী নিয়োগ করার ঝামেলা থেকে রেহাই দিতেই এই ব্যবস্থা বলে দাবি প্রতিষ্ঠানের। সদ্য যাঁরা কলেজের গণ্ডি পেরিয়েছেন, তাঁরা চাকরির খোঁজ করতে পারবেন স্টেপ আপের নিজস্ব পোর্টালে। এমনকী প্রার্থী নিজের পছন্দের চাকরি পাওয়ার উপযুক্ত কি না, তা যাচাই করে নেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে। শুধু তাই নয়, যদি দেখা যায় কর্পোরেট সংস্থার চাহিদা অনুযায়ী প্রার্থীর দক্ষতায় কোনও ঘাটতি আছে, তবে তাদের অনলাইন পরিষেবার মাধ্যমে সেই দক্ষতা অর্জন করার সুযোগও দেবে স্টেপ আপ। |
|
আপনার প্রশ্ন
বিশেষজ্ঞের উত্তর |
|
|
|
প্রশ্ন: দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ি। বিষয়ের মধ্যে রয়েছে পদার্থ বিজ্ঞান, গণিত। আমি ন্যাশনাল ডিফেন্স সার্ভিস পরীক্ষার খুঁটিনাটি জানতে আগ্রহী।
গৌরব সরকার, শেওড়াফুলি |
|
উত্তর: ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন অর্থাৎ ইউ পি এসসি আয়োজন করে ন্যাশনাল ডিফেন্স সার্ভিস এগজামিনেশন। পরীক্ষাটি বছরে দু’বার হয়। এর মাধ্যমে আর্মি, নেভি, এয়ারফোর্স এবং ইন্ডিয়ান নাভাল অ্যাকাডেমিতে ভর্তির সুযোগ পাওয়া যায়। শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক দিয়ে ন্যাশনাল ডিফেন্স আকাডেমির আর্মি শাখার জন্য যে কোনও বিষয়ে ১০+২ উত্তীর্ণ হলেই চলে। তবে এয়ারফোর্স, নাভাল আকাডেমি এবং ইন্ডিয়ান নেভির জন্য ১০+২ স্তরে বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে আসা জরুরি। বিশেষত অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে গণিত ও পর্দাথ বিজ্ঞান থাকতে হবে। পরীক্ষার দু’টি ধাপ। প্রথমে হয় লিখিত পরীক্ষা। ও তার পর সার্ভিস সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি)-এর টেস্ট/ইন্টারভিউ। লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয় দু’টি বিষয়ের উপর। অঙ্ক এবং জেনারেল এবিলিটি টেস্ট। অঙ্কের জন্য বরাদ্দ ৩০০ নম্বর এবং জেনারেল এবিলিটি টেস্টের জন্য ৬০০। অর্থাৎ মোট ৯০০ নম্বরের পরীক্ষা। পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে ৯০০ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ডাকা হয় এসএসবি টেস্ট এবং ইন্টারভিউ-এর জন্য। এখানেও মোট ৯০০ নম্বর বরাদ্দ। চার-পাঁচ দিন ধরে প্রার্থীর শারীরিক এবং মানসিক দক্ষতা যাচাই করা হয়। লিখিত পরীক্ষা এবং এসএসবি ইন্টারভিউ-এর মাধ্যমে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা তৈরি হয়। |
|
|
|
|
|