‘রাজা হরিশ্চন্দ্র’ থেকে ‘মেরা নাম জোকার’! ‘আহা কী অনন্দ...’ থেকে ‘এই পথ যদি না শেষ হয়...’। মঞ্চের উপরে ছোট পর্দায় ভেসে উঠছিল ওই ছবি বা গানের খণ্ড দৃশ্যগুলি। তারই ফাঁকে পর্দায় দৃশ্যগুলি বিভিন্ন চরিত্র হাজির মঞ্চেও। গান বা সংলাপের সঙ্গে ঠোট মিলিয়ে অভিনয়। ১০০ বছরের পথ পেরিয়ে আসার ‘মনতাজ’ এ ভাবেই ফুটে উঠল। সোমবার শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে ১৩ তম শিলিগুড়ি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। মঞ্চে ডেকে নেওয়া হল অতিথিদের। প্রদীপ জ্বালিয়ে উৎসবের সূচনা করলেন ‘কাহানি’ ছবির পরিচালক সুজয় ঘোষ। |
শিলিগুড়ি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে (ডান দিক থেকে)
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, সুজয় বসু, বেদব্রত পাইন ও গৌতম দেব। ছবিটি তুলেছেন বিশ্বরূপ বসাক। |
মঞ্চে উপস্থিত অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, পোলান্ডের চলচ্চিত্র পরিচালক ডোরোটা কেজিয়েরজওস্কা, বিদেশি প্রযোজক আর্থার রেইন হার্ট, কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের অধিকর্তা যাদব মণ্ডল, চলচ্চিত্র পরিচালক বেদব্রত পাইন, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক শঙ্কর মালাকার। এ দিন উদ্বোধনী ছবি হিসাবে দেখান হয় ডোরোটা কেজিয়েরজওস্কার তৈরি ‘টুমরো উইল বি বেটার’। এ ছবির প্রযোজক আর্থার রেইন হার্ট। উৎসবের অন্যতম উদ্যেক্তা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী গত বছরই জানিয়েছিলেন এ বছর থেকে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের অঙ্গ হিসাবে শিলিগুড়িতে উৎসব হবে। সেই মতো আয়োজন করা হয়েছে। এর পর উত্তরবঙ্গ উৎসবও করা হচ্ছে। শিল্প-সংস্কৃতির উন্নয়নে আমরা সচেষ্ট। এর জন্য সরকারি ভাবে সমস্ত রকম সাহায্য করা হবে।” পরিচালক সঞ্জয় ঘোষ জানান, চলচ্চিত্র উৎসবকে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়ার এই প্রয়াস খুবই ভাল উদ্যোগ। উৎসবের মূল উদ্যোক্তা শিলিগুড়ি সিনে সোসাইটির তরফে তাদের মুখপত্র ‘সিনেভাস’-এর বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করা হয়। মোড়ক খুলে তার উদ্বোধন করেন চিটাগাং ছবির পরিচালক বেদব্রত পাইন। |
|
প্রস্তুতি। নাচ-গান-মূকাভিনয়ের উৎসব।
সোমবার, তারই মহড়ায় শিল্পীরা। |
|