|
|
|
|
|
|
|
নজরদার |
|
পালকের নীচে নিদ্রা |
আমাদের বাড়ির দুটো স্নানঘরের জানলার পাশে ব্যালকনিতে অনেক পায়রার বাসা আছে। তারা সারা দিন বক্ম বক্ম বকেই চলে। এক দিন হঠাৎ দেখি একটা মা পায়রা তার সাথিদের ছেড়ে একা তার বাসায় বসে আছে। ও প্রতিদিন আমাকে দেখে উড়ে যেত, কিন্তু সে দিন ও ভয় পেল না। আমার মনে কৌতূহল হল, কী ব্যাপার! একটু পরে মা পায়রা উড়ে যেতে দেখি ওখানে দু’টি ডিম। কয়েক দিন পর দেখি দু’টি ফুটফুটে হলুদ রঙের ছানা চিঁ চিঁ করে ডাকছে। ওরা রাতেরবেলা শীতের কারণে মায়ের পালকের নীচে ঘুমোয়।
দীপাবলী দত্ত। চতুর্থ শ্রেণি, দিল্লি পাবলিক স্কুল, শিলিগুড়ি |
|
|
সর্দার মাছ |
আমাদের বাড়ির অ্যাকোয়ারিয়ামে একটি গোলাপি রঙের মাছ আছে। ওই মাছটা অন্য মাছেদের থেকে বড়। মাছটা সব সময় সর্দারের মতো আচরণ করে। মাছেদের খেতে দিলে দেখি ওই মাছটা অর্ধেকের বেশি খাবার গপাগপ খাচ্ছে। এবং ওর ভয়ে অন্য মাছেরা ধারেকাছেই আসছে না। এই পেটুক মাছটা মাঝে মাঝে অন্য ছোট মাছেদের মেরেও ফেলে। আবার অ্যাকোয়ারিয়ামের গায়ে আঙুল ঠেকালে মাছটা আঙুলটা খাবে বলে অ্যাকোয়ারিয়ামের ভেতরের দেওয়ালে মুখ দেয়।
অপাবৃতা মল্লিক। সপ্তম শ্রেণি, শ্রীরামপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় |
|
|
বারান্দায় ছাতারে |
আমাদের বারান্দায় প্রতিদিন অনেক ছাতারে পাখি এসে কিচিরমিচির করে। তাদের আসার কোনও সময়ের ঠিক নেই। তাদের দু’তিনটে বিস্কুট টুকরো করে দিলেই মহানন্দে খায়। এদের মধ্যে একটা খোঁড়া পাখি আছে। অন্যরা তার থেকে বিস্কুট কেড়ে খেয়ে নেয়। তাকে আলাদা করে খেতে দিই।
শুভঙ্কর মাইতি। দ্বিতীয় শ্রেণি, রামকৃষ্ণ নার্সারি বিদ্যালয়, পূর্ব মেদিনীপুর |
|
|
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে
থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা,
অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার
জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো: |
নজরদার,
রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|
|
|