|
|
|
|
এবিজি-বিদায় |
হলদিয়া ঘুরে নালিশও শুনলেন দিল্লির তিন কর্তা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা ও হলদিয়া |
হলদিয়া বন্দর ছেড়ে এবিজি চলে যাওয়ার পরে টনক নড়ল কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রকের। সেই সঙ্গে ছিল এ রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সম্প্রতি সামিল দুই কংগ্রেসি মন্ত্রীর চাপ। তারই ফলশ্রুতিতে শনিবার হলদিয়া বন্দরের পণ্য খালাস ব্যবস্থা সরেজমিনে ঘুরে দেখলেন জাহাজ মন্ত্রকের তিন প্রতিনিধি। এবিজি-র হাতে থাকা ২ এবং ৮ নম্বর বার্থেও যান তাঁরা। প্রতিনিধি দলে ছিলেন ইন্ডিয়ান পোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনার্দন রাও, মন্ত্রকের ডিরেক্টর (পোর্ট ডেভেলপমেন্ট) সম্বিৎ ত্রিপাঠী ও বিশেষজ্ঞ (পিপিপি) অনুজ অগ্রবাল।
হলদিয়ায় এবিজি-কে রাখার পক্ষে সওয়াল করে শ্রমিক ও অফিসারেরা মন্ত্রকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে এবিজি-র ছাঁটাই শ্রমিকদের এ দিন দেখা মেলেনি। হলদিয়া বন্দরের বিভিন্ন বার্থ ঘুরে দেখার পর বন্দরের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মণীশ জৈনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা।
সূত্রের খবর, বন্দর কর্তৃপক্ষ মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের জানিয়েছেন, এবিজির দু’টি বার্থে পণ্য খালাসের আলাদা কোনও গুরুত্ব নেই। তার চেয়ে ইডেন চ্যানেল চালু করা, সময়ে ড্রেজিংয়ের ভর্তুকি পাওয়া, শালুকখালি-ডায়মন্ডহারবারে কন্টেনার জেটি নির্মাণের মতো বিষয়ে মন্ত্রক যাতে আরও সহযোগিতা করে, তার জন্য অনুরোধ করেছেন তাঁরা। বন্দর কর্তাদের দাবি, আইনশৃঙ্খলা জনিত কোনও সমস্যায় নয়, এবিজি হলদিয়া ছেড়েছে ব্যবসায়িক কারণে। বন্দর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এবিজি চলে যাওয়ায় ফের টেন্ডার ডেকে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে। বন্দরের স্বার্থ রক্ষার জন্য অন্য বার্থগুলিতে যারা লাইসেন্স নিয়ে কাজ করছে, তাদের উপরও রয়্যালটি বসানো হবে। এ দিন মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা ২ এবং ৮ নম্বর বার্থে এবিজি-র বসানো মোবাইল হারবার ক্রেনগুলিও দেখেন।
কেন এই হলদিয়া সফর? জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন দিল্লির প্রতিনিধিরা। সম্বিৎ ত্রিপাঠী বলেন, “যা দেখলাম, কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রীকে জানিয়ে দেব। এর বাইরে কিছু বলা যাবে না।”
জাহাজ মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল হলদিয়া ডক বাঁচাও কমিটি। এই কমিটিতে বন্দরের অধিকাংশ অফিসার ও পাঁচটি শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। কেবল তৃণমূল অনুমোদিত শ্রমিক সংগঠন এই কমিটি থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। কমিটির নেতাদের সঙ্গে মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের বৈঠক ঘিরেও একপ্রস্ত নাটক হয়। বন্দর কর্তৃপক্ষ এক অফিসারকে ওই বৈঠকে রাখার জন্য চাপ দিলে কমিটি জানিয়ে দেয়, বন্দরের কোনও প্রতিনিধি থাকলে তাঁরা বৈঠকে বসবেন না। শেষ পর্যন্ত মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা আলাদা ভাবে কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন।
মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বন্দরের সিংহভাগ অফিসারই এবিজিকে ফেরানোর দাবি তোলেন। কোনও ভাবে তা সম্ভব না হলে নতুন করে টেন্ডার ডেকে (টন প্রতি ন্যূনতম ৭৫ টাকা দরে) বন্দরের পক্ষে লাভজনক শর্তে পণ্য খালাসের ব্যবস্থা করার দাবি জানান তাঁরা। কমিটির এক কর্তার দাবি, মন্ত্রকের কর্তারা তাঁদের জানিয়েছেন, বন্দরের অনেক কিছুই জানা ছিল না। জাহাজ মন্ত্রককে সবই জানানো হবে।
|
|
|
|
|
|