এক ঝলকে...
পৃথিবী
গাজা গাজা ইসলামাবাদ জেনিভা ওয়াশিংটন ডি সি
বুধবার গাজায় ইজরায়েলি বিমান হানায় নিহত হন জঙ্গি প্যালেস্তাইনি সংগঠন হামাস-এর সেনাপতি আহমেদ আল-জাবারি। তার পর গাজায় আক্রমণ চলছে, বোমায় বিধ্বস্ত হয়েছে হামাসের সদর দফতর, নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। ইজরায়েলে পাল্টা রকেট হানা চালাচ্ছে হামাস। ইজরায়েল গাজা সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ করছে, যে কোনও সময় তারা সরাসরি গাজায় স্থলপথে আক্রমণ করতে পারে। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব দু’পক্ষকেই সংযত হতে বলছেন। আপাতত সংযমের কোনও লক্ষণ নেই।

• পাকিস্তান সরকারের সিদ্ধান্ত, আফগান তালিবান বন্দিদের অনেককেই তারা মুক্ত করে দেবে। শনিবারও ১৩ জনকে মুক্ত করা হল। কাবুলের আশা, এই বন্দিমুক্তির সিদ্ধান্তে শান্তি-প্রতিষ্ঠায় তালিবানরা উদ্বুদ্ধ বোধ করবে।

• এত দিনে রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে স্পষ্ট রিপোর্ট বার হল যে ২০০৮ সালে শ্রীলঙ্কায় তামিল এল টি টি ই নিধনের নামে যে গণহত্যা চলে, রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংগঠন তখন কোনও সহায়তাই করতে পারেনি। রেড ক্রস গোষ্ঠী সেই সময়ই তাদের চূড়ান্ত অসহায়তা ও ব্যর্থতার কথা জানালেও রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে এই স্বীকারোক্তি এই প্রথম।

• মার্কিন সূত্র এ বার বলল, অ্যাবটাবাদে ওসামা বিন লাদেন-এর ঘাঁটি সম্পর্কে পাকিস্তানের কোনও কিছুই জানা ছিল না। তবে কেন পাকিস্তানিদের সঙ্গে তথ্য আলোচনা হল না? “হল না, আমরা ওদের বিশ্বাস করিনি বলে।”

• মিশরের প্রধানমন্ত্রী শিহাম কাণ্ডিলের উপর ভরসা রাখছিলেন কেউ কেউ। যদিও তিনি গিয়েছিলেন হামাস-এর প্রতি সমব্যথা জ্ঞাপন করতেই, তবু মিশরের ঐতিহ্য মনে করে আশা ছিল, কাণ্ডিল হামাসকে শান্ত করার চেষ্টা করবেন। হল একেবারে উল্টো। মিশর থেকে ওয়াশিংটন, কেউ থামাতে পারবে না তাদের: এটা প্রমাণ করতেই যেন বোমা পড়ল আরও ক’গুণ বেশি।
মস্কো
রাজদ্রোহের নতুন আইন জারি করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিরোধী রাজনীতিক এবং মানবাধিকার কর্মীদের মতে, নতুন আইনে ভিন্নমতাবলম্বীদের রাজদ্রোহের দায়ে কুড়ি বছর পর্যন্ত জেলে পাঠানো সহজ হবে। বিদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলে, বিশেষ করে বিদেশি প্রতিষ্ঠানে কাজ করলে এই আইনের সাহায্যে ‘বিদেশিদের তথ্য পাচার করে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ব্যাহত করা হচ্ছে’ এই যুক্তিতে শাস্তি দেওয়া যাবে। পুতিন বলেছেন, তিনি আইনটি খতিয়ে দেখবেন, এটাও দেখবেন যেন এই আইনের অপব্যবহার না হয়। কিন্তু সে কথার বিশ্বাসযোগ্যতা কতটা, তা নিয়ে পুতিনের রাশিয়ায় কেউ বাজি ধরবেন না।

ইয়াঙ্গন
আগামী কাল, সোমবার ঐতিহাসিক দিন। সে দিন মায়ানমারে প্রথম, একেবারে প্রথম বার পা রাখবেন কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট। স্বাধীনতার পরই হোক, আর সেখানে সামরিক জুণ্টা সরকারের শাসন প্রতিষ্ঠার পরই হোক, মার্কিন দৃষ্টিতে ব্রাত্য ছিল এই দেশ। সুতরাং বারাক ওবামার এই সফর ঐতিহাসিক তো বটেই। মায়ানমার ক্রমশ মুক্ত হচ্ছে, এবং তার সঙ্গে পাল্টাচ্ছে তার আন্তর্জাতিক সম্পর্কও। এমনই হাতে হাত মিলিয়ে এগোচ্ছে এই দুই প্রক্রিয়া যে প্রেসিডেন্ট ওবামার সফরটির আগে-আগেই মায়ানমার সরকার প্রায় পাঁচশো বন্দিকে মুক্ত করে দিল। অথচ বহু যুগ ধরে অগ্রাহ্য হয়ে এসেছে এই রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির দাবি। ছবিতে: এত দিনের শত্রুদেশ আমেরিকার পতাকা ভাঁজ করছেন বর্মী তরুণী।

আথেন্স, মাদ্রিদ, লিসবন, রোম
গ্রিস, স্পেন, পর্তুগাল, ইতালি ইউরোপের চারটি দেশে কর্মীদের সাধারণে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল ইউরোপিয়ান ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস (ই টি ইউ সি)। তাদের দাবি, চারটি দেশে একযোগে ধর্মঘট এই প্রথম। স্পেন এবং পর্তুগালে ধর্মঘট সবচেয়ে বেশি সফল। গ্রিসে আগের সপ্তাহেই দু’দিন টানা ধর্মঘট হয়েছে, তাই বুধবারে সাড়া মিলেছে তুলনায় কম। ইতালিতে বিক্ষিপ্ত প্রতিবাদ হয়েছে নানা জায়গায়। গ্রিসের অর্থনীতি তো অগাধ সঙ্কটেই, কিন্তু অন্য দেশগুলিতেও মন্দা ক্রমশ বাড়ছে, বাড়ছে বেকারত্ব। তার ওপর সরকারি খরচ কমানোর ধাক্কায় আরও কর্মী ছাঁটাই হচ্ছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতেই ধর্মঘটের ডাক। ইউরোপের বিপন্ন দেশগুলির সরকারি ঋণের বোঝা কী ভাবে কমানো যায়, সেটাই কঠিন প্রশ্ন।

নিউ ইয়র্ক
দিনটাও বিশেষ, হেতুও বিশেষ। ১২-১২-১২ তারিখ তো বার বার আসবে না, হারিকেন স্যান্ডির মতো মহাবিপর্যয়ও সহসা ঘটে না। দেশজোড়া দুর্গত মানুষজনকে সাহায্যের জন্য অভূতপূর্ব কনসার্ট পরিকল্পিত হল ১২ ডিসেম্বর, নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়্যার-এ। অংশ নিতে চলেছেন বিটলস্-মহানায়ক পল ম্যাকার্টনি, এবং তাঁর সঙ্গে ব্রুস স্প্রিংস্টিন, ক্যানি ওয়েস্ট।

শেষ পাত
বাড়িতে মারিজুয়ানার চারা লাগাতে চান? তা বেশ, তবে ছ’টার বেশি লাগাবেন না কিন্তু, তা হলে পুলিশে ধরবে। রসিকতা? ঠিক, তবে উরুগুয়েতে আর ক’মাসের মধ্যে এমন একটা আইন সত্যই চালু হতে পারে। প্রেসিডেন্ট হোসে মুহিকা এই মর্মে আইসভায় বিল পেশ এনেছেন। বিল পাশ হলে দেশে শর্তসাপেক্ষে মারিজুয়ানার চাষ করা যাবে, সেবন করা যাবে, এমনকী মারিজুয়ানা ক্লাবও খোলা যাবে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি রাজ্যেও ‘বিনোদনের জন্য’ মারিজুয়ানার ব্যবহার আইনসিদ্ধ করার উদ্যোগ হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা কেবল বেআইনি চোরাচালান বাড়ায়, তার চেয়ে মেনে নাও এটাই অর্থনীতির বুদ্ধি। কাজ হবে কি?


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.