|
|
|
|
সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ |
ভাইকে গুলি পন্টির, খুন নিজেও |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
সম্পত্তি নিয়ে গোলমাল। তা মিটিয়ে ফেলার জন্যই আলোচনায় বসেছিলেন দু’ভাই। কিন্তু কথাবার্তা চলার সময়ই একে অপরকে গুলি করে খুন করলেন পন্টি চাড্ডা এবং তাঁর ভাই হরদীপ চাড্ডা।
উত্তরপ্রদেশের বিতর্কিত শিল্পপতি বছর পঞ্চান্নর গুরুপ্রীত ওরফে পন্টি রাজ্যের মদ ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রণ করতেন। এ ছাড়াও চাড্ডাদের চিনি, কাগজ কল, জমিবাড়ি, চলচ্চিত্র, মাল্টিপ্লেক্স ইত্যাদির ব্যবসা রয়েছে। এই সব সম্পত্তি ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে পন্টি এবং হরদীপের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল অনেক দিন ধরেই। বিশেষ করে জমির
|
পন্টি চাড্ডা |
মালিকানা নিয়ে। এই নিয়ে শনিবার দুপুর একটা নাগাদ পন্টি তাঁর দক্ষিণ দিল্লির ছত্তরপুরের খামার বাড়িতে ভাই হরদীপের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রথম দিকে কথাবার্তা ভাল ভাবেই চলছিল। এর পরেই আলোচনা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পন্টি এবং হরদীপ দু’জনেই দু’জনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। জখম অবস্থায় দু’জনকে এইমস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খামার বাড়িতে ঠিক কী হয়েছিল তা নিয়ে অবশ্য ধোঁয়াশা রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দু’ভাই দু’জনের উপরে গুলি চালিয়েছে। তবে অন্য একটি সূত্রের খবর, প্রথমে হরদীপ পন্টিকে গুলি করে। এর পরে পন্টির দেহরক্ষী হরদীপকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। জখম হয়েছেন তাঁদের দেহরক্ষীরাও।
হরদীপের আইনজীবী গৌরাঙ্গ কান্থ বলেন, “বাবা কুলবন্ত সিংহ চাড্ডার মৃত্যুর পর থেকেই দু’ভাই আলাদা হয়ে যেতে চেয়েছিলেন। সম্পত্তির ভাগ নিয়েও পন্টি এবং হরদীপের মধ্যে একটা সমস্যা চলছিল। কিন্তু তার যে পরিণতি এই রকম মারাত্মক হবে তা ভাবতে পারিনি।”
বস্তুত এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিক বার বিতর্কে জড়িয়েছেন মায়াবতী এবং অখিলেশ যাদব ঘনিষ্ঠ পন্টি। প্রথমে এই শিল্পপতির সঙ্গে সপা-র সম্পর্ক ভাল ছিল। কিন্তু বসপা উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতা দখল করার পরেই ধীরে ধীরে মায়াবতীর ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন চাড্ডা। অভিযোগ, মায়াবতীর হাত মাথায় থাকার কারণেই তিনি রাজ্যের একচ্ছত্র মদের কারবারি হয়ে উঠেছিলেন। সেই কারণেই কম দামে মদ এনে অত্যন্ত চড়া দামে বেচতেন তিনি। কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল পন্টির বিরুদ্ধে। গত ফেব্রুয়ারিতে দিল্লি, মোরাদাবাদ, নয়ডা এবং লখনউয়ে পন্টির বাড়ি এবং অফিস মিলিয়ে মোট ১৩টি জায়গায় আয়কর দফতর তল্লাশি চালিয়েছিল। চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন পন্টি। হিন্দি ছবি ‘জো বোলে সো নিহাল’-এর প্রযোজনা করেছিলেন তিনি। পন্টির বাড়িতে গুলি চালানোর ঘটনাও এই প্রথম নয়। এর আগে ৫ অক্টোবর পন্টির মোরাদাবাদের বাড়িতে গুলি চলেছিল। তবে সেবার কোনও অঘটন ঘটেনি। এ বার পন্টির ছত্তরপুরের খামার বাড়ি থেকে গুলির শব্দ পেয়ে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং ফরেন্সিক দল। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দু’টি পিস্তল এবং কিছু বুলেট উদ্ধার করেছে। সংগ্রহ করা হয়েছে আঙুলের ছাপ। |
|
|
|
|
|