|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৪... |
|
সম্পাদনা কেন এত ত্রুটিপূর্ণ |
বইপোকা |
প্রমথ চৌধুরীকে যদি কেহ বলে তিনি চলিত ভাষা নামে একটি সহজ, আধুনিক ভাষা তৈরি করেন এবং সেই ভাষায় গদ্য লিখিতেন! না, এমন কথা অদ্যাবধি কেহ বলেন নাই। কিন্তু বঙ্গীয় গ্রন্থের সম্পাদকীয় টীকাভাষ্য রচনা যে পথে চলিতেছে তাহাতে অদূর ভবিষ্যতে এমন কথা কেহ হয়ত বলিয়াও ফেলিবেন! সম্ভাবনাটি মাথায় আসিল অনুরূপ একটি মন্তব্য পড়িয়া। বিশ্বভারতী-প্রকাশিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিঠিপত্র ২-এর টীকায় হু শি সম্পর্কে সম্পাদক সুপ্রিয়া রায় জানাইতেছেন, ‘প্রভাবশালী দার্শনিক ও সমালোচক। বেইজিং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক। তিনি pai-hua নামে একটি সহজ, আধুনিক চীন ভাষা তৈরি করেন এবং সেই ভাষায় কবিতা লিখতেন।’ কী আশ্চর্য, অধুনা অন্তর্জাল খুলিলেই দেখা যাইবে, পাই-হুয়া চিনের কথ্য ভাষার নিকটবর্তী একটি লেখ্য রূপ, বিংশ শতকের গোড়ার দিকে যে ভাষায় লিখিবার পক্ষে জোর সওয়াল করিয়াছিলেন হু-শি প্রমুখ। এটি ঠিক প্রমথ চৌধুরীর সবুজ পত্র আন্দোলনের ন্যায়। কোনও কৃত্রিম ভাষা হু শি তৈয়ার করেন নাই। তদুপরি, তাঁহার জীবনের সাল-তারিখ প্রসঙ্গে সম্পাদক লিখিয়াছেন ‘১৮৯১-?’। হু শি-র জন্ম ১৭ ডিসেম্বর ১৮৯১, মৃত্যু ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৬২। এতদ্ব্যতীত এই গ্রন্থে শতাধিক মুদ্রণ-প্রমাদ, সম্পাদকীয় নীতিতে বিস্তর অসঙ্গতি, তথ্যে বেশ কিছু অসম্পূর্ণতা। যেমন হরীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে শুধু ‘অভিনেতা’ শব্দটি আছে। তিনি যে সত্যজিৎ রায়ের ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’-এ জাদুকর বরফি, ‘সোনার কেল্লা’র সিধুজ্যাঠা সে সবের কোনও উল্লেখ নাই। Muirhead Bone কি কেবল স্কটিশ এচিং ও চিত্রশিল্পী! তিনি যে রবীন্দ্রপ্রতিকৃতি আঁকিয়াছিলেন সে তথ্য কই? |
|
|
|
|
|