|
|
|
|
|
|
দক্ষিণ কলকাতা: গড়িয়া, সোনারপুর |
নিউ গড়িয়া |
গতিহারা স্টেশন |
দেবাশিস দাস |
নির্ধারিত সময়েই শেষ হয়ে গিয়েছে নির্মাণের কাজ। কিন্তু তার পরে বেশ কয়েক মাস কেটে গেলেও চালু হয়নি নিউ গড়িয়া হল্ট স্টেশন। কবে এই স্টেশন চালু হবে, সে ব্যাপারেও কোনও ইঙ্গিত দিতে পারেননি মেট্রো এবং পূর্ব রেলের আধিকারিকেরা।
সোনারপুর, গড়িয়া, পঞ্চসায়র, চম্পাহাটি এবং বারুইপুর সংলগ্ন এলাকা থেকে যাতে সহজেই মেট্রো পরিষেবা পাওয়া যায়, তার জন্য গড়িয়া এবং বাঘাযতীন স্টেশনের মাঝে এই নতুন স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অত্যন্ত দ্রুত গতিতে স্টেশনটি নির্মাণের কাজ শেষ হয়। তাঁদের আশা ছিল, নির্মাণের কিছু দিনের মধ্যেই এই স্টেশনে ট্রেন থামবে। কিন্তু সেই আশা বাস্তবায়িত হয়নি। |
|
রেল দফতর সূত্রে খবর, পূর্ব রেলের শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার এই নতুন স্টেশনটি তৈরির দায়িত্বে ছিল মেট্রো। বর্তমানে সেটি পূর্ব রেলের আওতায়। ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে স্টেশনটি তৈরি হয়। সেখানে রয়েছে আপ ও ডাউন প্ল্যাটফর্ম থেকে আটটি প্রবেশ ও বাহির পথ, দু’টি চলমান সিঁড়ি-সহ অন্যান্য অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। গত মে মাস নাগাদ নির্মাণ শেষ হয়েছে। স্টেশনটি চালু হলে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ট্রেনগুলি থেকে নেমে অন্তত আরও ৩৫ হাজার যাত্রী নিয়মিত মেট্রোয় যাতায়াত করতে পারবেন বলে মেট্রো কর্তৃপক্ষের আশা।
মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, স্টেশনটি ঠিক সময়ে তৈরি হলেও কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি-র অনুমোদন পেতে দেরি হয়। তবে এখন অনুমোদন মিলেছে। কাজেই স্টেশনটি চালু করতে আর কোনও অসুবিধে নেই। মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক প্রত্যুষকুমার ঘোষ বলেন, “ওই স্টেশনটি কবে থেকে চালু হবে, তা ঠিক বলতে পারছি না। আমাদের শুধু স্টেশনটি তৈরি করে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল। আমরা কাজ শেষ করেছি। এখন ওই স্টেশনের দায়িত্ব পূর্ব রেলওয়ের।” |
|
তবে নতুন এই স্টেশনটির ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয়ে এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দা সোনাই পালের কথায়: “স্টেশনটির নির্মাণ হয়ে যাওয়ার পরে অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে। সেটি আদৌ চালু হবে কি না, তা নিয়ে আমাদের সংশয় রয়েছে।” এ বিষয়ে আশার আলো দেখাতে পারেননি পূর্ব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষও। পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ওই স্টেশন চালু হওয়া নিয়ে পূর্ব রেলের জনসংযোগ দফতরের কাছে এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দেশ এসে পৌঁছয়নি।’’
|
ছবি: সুব্রত রায় |
|
|
|
|
|